অনলাইন
যে খবর এখনো অজানা
স্টাফ রিপোর্টার
(১১ মাস আগে) ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:১৪ অপরাহ্ন
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে কি হবে না- এ নিয়ে ছিল বিস্তর গুঞ্জন। বিরোধী আন্দোলন আর বিদেশি চাপের কারণে কেউ কেউ বলছিলেন তফসিল ঘোষণায় বিলম্ব হতে পারে। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সরকার ঝুঁকি নিতে চায়নি। তাই দ্বিতীয় চিন্তার সুযোগ দেয়নি কাউকে। এ সময় সরকারের পাশে এসে দাঁড়ায় আঞ্চলিক ও বৃহৎ শক্তি। তাদের চ্যালেঞ্জ, কেউ কিছু করতে পারবে না। আর তখনই দলবদলের খেলা শুরু হয়ে যায়। আগে রাজনীতিকরা দলে ভেড়ানোর চেষ্টায় লিপ্ত থাকতেন। হাল আমলে একটি শক্তিশালী মহল এই কাজটি করছে। এতে লাভ যেমন হয়েছে, তেমনি ক্ষতিও হয়েছে। ভয়ে অনেকেই বাড়িছাড়া হয়েছেন। কেউ কেউ নানা অজুহাতে দেশ ত্যাগ করেছেন। মজার ঘটনা হচ্ছে, অনেকদিন যাবৎ বিদেশে রয়েছেন এমন রাজনীতিকদের সঙ্গেও ভিন্ন পেশার একজনের মাধ্যমে নির্বাচনে যোগ দেয়ার নানামুখী চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কৌশলে নেতারা নিজেদেরকে রক্ষা করেছেন। এমন একজন নেতা নাকি বলেছেন, আগে আমার নেতাকে ছেড়ে দেন। তারপর বিবেচনা করে দেখবো। শেষ অব্দি এই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। দলবদলের খেলায় ভয় আর টাকা প্রাধান্য পায়। বলা হয়, আপনার নামে যেসব মামলা রয়েছে সেগুলো দ্রুত সচল এবং বিচার সম্পন্ন হবে। এই বয়সে সারাজীবন জেলেই থাকতে হবে। অনেকের কাছেই এসব প্রস্তাব যায়। নব্বইভাগ প্রস্তাব আঁতুড় ঘরেই মারা যায়। কেউ কেউ রাজি যে হননি তা কিন্তু নয়। দল ছাড়ুন। স্বতন্ত্র হয়ে যান। টাকা পয়সা যা লাগে আমরা দেবো। দর উঠেছিল ৩ কোটি টাকা। এছাড়া লোভনীয় কিছু প্রস্তাবও ছিল। একদিকে টাকা অন্যদিকে ভয়। রাজনীতিকরা কোনটা বেছে নেবেন? বেশির ভাগ রাজনীতিক এই প্রস্তাবে সায় দেননি। এর মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে মানবজমিন অনুসন্ধানী টিমের কথা হয়েছে। তারা বলছেন, সকালে এক গ্রুপ, রাতে অন্য গ্রুপ এসে চাপ দিয়েছে। লোভ দেখিয়েছে। বলেছে, আপনার কিছু করতে হবে না। শুধু মনোনয়ন পেপারে সই করবেন।আপনার জমাও দিতে হবে না। আমরা জমা দেবো। স্বতন্ত্র হতে পারেন অথবা নতুন কোনো দলে নাম লেখাতে পারেন।
বিদেশে অবস্থানরত একজন বিএনপি নেতাকে প্রস্তাব দেয়া হয়, তিনি যা চান তাই দেয়া হবে। কোনো দলে বা স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারেন। এমনকি নৌকা প্রতীকেও আপত্তি নেই। এই নেতার সঙ্গে দু’দফা বৈঠক হয়। তিনি বারবারই বলছিলেন তার নির্বাচন করার ইচ্ছা নেই। এক পর্যায়ে তিনি জানান, আপনারা যখন এত করেই বলছেন আমি রাজি হতে পারি। তবে একটি শর্তে। আর সেটা হচ্ছে, আমার নেতাকে মুক্তি দিতে হবে। তারপর অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।এরপর আলোচনা ভেস্তে যায়। একজন সাবেক মন্ত্রীকেও এ প্রস্তাব দেয়া হয় নরমে গরমে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে চাপ দেন। মোটা অংকের টাকার কথাও বলেন। কৌশল করে তিনি বিদেশ চলে যান। বিরোধী দলের এমন কোনো সাবেক এমপি নেই যাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছেনি। নানা অজুহাতে তারা দাওয়াত কবুল করেননি। কেউ বলেছেন, আমি অসুস্থ। কেউ কেউ বলেছেন, সক্রিয় রাজনীতি করার ইচ্ছা নেই। দল যেহেতু নির্বাচনে নেই সে জন্য আমার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। এ সময় নানাভাবে বোঝানো হয়। বলা হয়, বুঝতেই তো পারেন। না বললে পরিণতি কী হতে পারে। দু’একজন টোপ গিলেছেন। অনেকে কায়দা করে বেঁচে গেছেন।তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা আগে একটি পাঁচতারকা হোটেলে বিরোধী শিবিরের অপেক্ষাকৃত তরুণ ৩ নেতার সঙ্গে বৈঠক হয়। কিন্তু এই নেতারা উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে ভয় আর লোভের কাছে আত্মসমর্পণ করেননি। তারা যে ঝামেলার মধ্যে পড়েননি তা কিন্তু নয়।
অন্য দলগুলোর নেতাদের সঙ্গেও হয়েছে একাধিক বৈঠক।এরমধ্যে একটি দল বেশির ভাগ নির্বাচনেই অংশ নিয়েছিল।তবে এবার তারা আগে থেকেই বলে আসছিল, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু তফসিলের আগে প্রচণ্ড চাপ তৈরি করা হয় তাদের ওপর। দেয়া হয় নানা প্রস্তাব। দলটির নেতারা প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বলেন, পীর সাহেব মুরিদদের কাছে কথা দিয়েছেন। তিনি তো এটার বরখেলাপ করতে পারেন না। একপর্যায়ে মাহফিলের কথা বলে সব নেতা একযোগে ঢাকা ত্যাগ করেন।
ডান-বাম সবার কাছেই প্রস্তাব যায়। কারাগারেও রাত-দুপুরে তাদের তৎপরতা ছিল। একেবারে যে সফল হননি তা নয়। অনেকে আবার বিনীতভাবে প্রস্তাবে সায় দেননি। একজন শীর্ষনেতার সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়। যেখানে আসন ভাগাভাগি ছাড়া মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাবও ছিল।
যে মানুষকে টাকা দিয়ে কেনা যায় না, সে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান দামী উপঢৌকন। এ জাতির অবৈধ সরকার তার অবৈধ টাকাতে চড়া দামেও কিনতে পারে নাই জাতির সূর্যসন্তানদের! যার জন্য এত আয়নাবাজি ক্যাসিনো বানিজ্য, আনভির তানভির দরবেশী নাটক! আদর্শ সামনে থাকলে মানুষ অনেক বড় কিছু করে দেখাতে পারে! এর উদাহরণ দেখিয়ে দিল দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকেরা!
সময়ের সাহসী রিপোর্টার।।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এই ধরণের কাজ করেই তাদের দৈন দশা আরো বেশী ফুটিয়ে তুলছে। তাদের অবস্থা দেখে প্রায় ১৫ বছর আগের একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। পহেলা ফাল্গুনে এক শহুরে মেয়ে খায়েশ করে গ্রামীন স্টাইলে শাড়ী পড়ে এসেছিল। খারাপ ছিল না। ভালই লাগছিল তাকে। কিন্তু বিপত্তি হল ব্যস্ত সড়কের মোড়ে এসে। হঠাৎ ছুলন্ত পাড়ের অংশটা তার জুতার নিচে পরে টান খেল। মেয়ে পরে পরে অবস্থা। সেটা থেকে বাঁচতে পারলেও শাড়ির আচল মারাত্মক ভাবে ঢিলে হয়ে গেল। মেয়ে তো আর নিয়মিত শাড়ি পড়ে না। তাই যতই ঠিক করতে যায় ততোই খুলে যায়। শেষে দুই নারী আর এক পুরুষ তাকে সহযোগিতা করে সড়কের এক পাশে নিয়ে আসে। এর পর আর ঘটনাটা দেখার সুযোগ হয়নি। আওয়ামীলীগের অবস্থা এখন ঐ মেয়েটার মতই। তৈথৈচব অবস্থা। যতই সামলানোর চেষ্টা করছে ততোই খুল্লাম-খুল্লা সব দেখা যাচ্ছে। তাদের কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে যে অন্তর্বাসটুকু বাকি আছে সেটাও যাতে খসে যায় তার জন্য প্রাণান্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিপদ হল, আওয়ামীলীগ যখন জিতে তখন তারা জিতে। যখন হেরে যায় পুরো দেশ হেরে যায়। তারা যখন চুড়ান্ত ভাবে উদোম হয়ে যাবে সেটা পুরো জাতিকে উদোম করে ছাড়বে। সবচাইতে বেশী দুঃখজনক হল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দলে এখন এতটুকু বুদ্ধিসম্পন্ন কোন নেতা নেই যারা প্রকৃত অবস্থাটা আঁচ করে দলটাকে বাঁচাতে পারে।
এখন পিকচার পরিস্কার, নুতন সূর্য, নুতন দিন,ইন শা আল্লাহ্।
একটা কথা আছে যে, সময় বড়ই বেরহম হয়। আজ হয়তো গনতন্ত্রকামীদের সময় খারাপ যাচ্ছে, কিন্তু সময় সবসময় এমন যাবেনা। মানুষ অমর নয়, সময় ঘুরে যাবে কিন্তু রয়ে যাবে মীর জাফরদের নাম আর তাদের পরবর্তী প্রজন্ম। তাদের জন্য একটি কথাই প্রযোজ্য - সময় বড়ই বেরহম হয়। চিরজীবন তাদের নাম উচ্চারিত হবে ঘৃনার সাথে। যারা এইসব চাপ, ভয় এবং প্রলোভনে নীতি - নৈতিকতা বিসর্জন দেননি, তাদেরকে জাতি বীর হিসেবেই মনে রাখবে।
জয় বাংলা ।
বিএনপিকে আগাছা মুক্ত করতে সহযোগিতা করায় আওয়ামিলীগকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারলাম না।
অপ্রকাশিত সত্যি কথা কিন্তু সময়ের অপেক্ষা মাত্র প্রকৃত রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তন কখন এবং কিভাবে হয়।
Thank you, good reporting.
Salute to the people who didn't surrender to pressure.
মানবজমিনের এই অনুসন্ধান শতভাগ সত্য,তবে বি এন পি যে অনেকদিন বেচে থাকবে এই দেশে তা ফাইনাল হয়ে গেছে।আর এই জাতি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য বি এন পি জামাতের খুবই প্রয়োজন।
বি এন পি এখন আগাছামুক্ত।
মানবজমিন এ জন্য ভালো লাগে।
হলুদ সাংবাদিকতার মাঝে আপনাদের বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন আমাদের আলোর পথ দেখায়।
দাদাদের এবারের বিনিয়োগ বিফলে যেতে পারে।
বাংলাদেশের রাজনীতি একেবারে পচে যায়নি, এই আশা তাহলে এখনো জেগে আছে !
দেখতেছি, শুনতেছি এবং চিন্তা করতেছি আমাদের ছেলে-মেয়েদের সময়কাল কেমন যাবে.......
বিএনপির ১০০% নেতারা সরকারের লোভের কাছে এবং ভয়ের কাছে নত হয় নাই দেখে বুকটা ভরে গেছে। আমি গর্বিত যে আমাদের দেশে এখনো মানুষ আছে যাদের বিবেক মরে যায়নি। যারা শত রকম কঠোর এবং ভয়ংকর বিপদের মধ্যেও নিজেকে বিক্রি করেনাই। আমি তো মনে করেছিলাম বাংলাদেশের মানুষ পচে গিয়েছে। তাদের বিবেক শেষ। আমি সত্যিই গর্বিত। গর্বিত এবং গর্বিত। আমি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা মানুষ। আমি কখনো বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী হবনা। তবুও আমি তাদের কে স্যালুট জানাই।
দেশপ্রেমিক ঈমানদার বান্দা যে আছেন, তার অনুসন্ধানী রিপোর্ট এটি। তবে তাদের বেশিরভাগ বিরোধী শিবিরে এবং ঈমানী পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। মহান আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন, আমিন।
এই কথা গুলোর ভিত্তি কি৷৷৷ আপনারা একজন নেতার নাম নিয়ে কিছু বলতে পারেন না।। কাদের কে এই অফার গুলো দেওয়া হয়েছে একজন মিডিয়ায় আসে বলুক।।। এতে করে দেশবাসী জানতে পারবে
রাজনীতি, নির্বাচন, সরকার গঠন, নীতি নির্ধারনী সিদ্ধান্ত নেওয়া, সবকিছুই/কোনো কিছুই এখন আর রাজনীতিবিদদের হাতে নাই। উদভ্রান্ত উটের পিঠে চলেছে এদেশ?
নির্বাচনের নামে তামাশা করার কি দরকার ছিল??? জনগণের টাকা এই ভাবে অপচয় করার কি দরকার ছিল???
আওয়ামী লীগ যে দেউলিয়া এটাই তার প্রমাণ।
নীতি নৈতিকতা মরে যায়নি , ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধারা এভাবেই নতি স্বীকার না করে দেশের স্বাধীনতা এনেছিলো।
মিডিয়া এখন জানলেও জনগণ জানে আরও আগে থেকেই। শাজাহান ওমরই তার উৎকৃষ্ঠ উদাহরণ।
আলহামদু লিল্লাহ্। আওয়ামী লীগ দায়িত্ব নিয়ে বিএনপিকে আগাছামুক্ত করে দিল।
এত কিছু করার কি দরকার। আবার বাকশালের ঘোষণা দিলে সব লেঠা চুকে যায়।
বুঝতেই তো পারছেন পরিণতি কি হবে? যত টাকা লাগে আমরা দেবো, আপনি শুধু মনোনয়ন পেপারে সই করবেন, যা করার আমরাই করবো!
এতো হাংগামার কোন প্রয়োজন আছে কী ? পার্লামেন্ট এখনো সজল। নির্বাচন প্রথা বাতিল করে আজীবন একদলীয় শাসনের আইন পাশ করলেই লেঠা চুকে যায়।
???...
এটা কি সুষ্ঠু নির্বাচন? জনগণ হতাশ ও বিস্মিত!
বাজার দরে লেখা