বিশ্বজমিন
বাংলাদেশের ওপর অযৌক্তিক চাপ আসছে, জাতিসংঘের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৫:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসছে তখন বাংলাদেশের ওপর বিভিন্ন পক্ষ থেকে অযৌক্তিক, অযাচিত এবং আরোপিত রাজনৈতিক চাপ আসছে। জাতিসংঘের মহাসচিবের শেফ দ্য ক্যাবিনেট আর্ল কোর্টনে র্যাট্রের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এমন অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। চিঠিতে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি জাতিসংঘ ও তার সেক্রেটারিয়েট, সংস্থা ও স্থানীয় কার্যালয়গুলো বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যেতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশ আশা করে, জাতিসংঘ শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টায় বিশ্বস্ত অংশীদার হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবে।
চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও মানুষের সম্মান রক্ষায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে এসব মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে ৩০ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের একজন ক্রুসেডার এবং তিনি দেশের মানুষের ভোট, খাদ্য ও সুন্দর জীবনযাপনের অধিকার নিশ্চিত করতে অনেক কষ্ট করেছেন। শেখ হাসিনা তার ১৫ বছরের মেয়াদে হাজারো নির্বাচন, উপ-নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন, আঞ্চলিক নির্বাচন ও মেয়র নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। খুবই ছোটখাটো কিছু ঘটনা ছাড়া সবগুলো নির্বাচনই ছিল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এখন তিনি একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করতে সংকল্পবদ্ধ। কিন্তু একইসঙ্গে বিক্ষোভের নামে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি পোড়ানো ও মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনাগুলো তিনি সহ্য করবেন না, যা বিরোধী দল নিয়মিত করে আসছে। এই প্রসঙ্গে আমরা জাতিসংঘের কাছ থেকে আরও পরামর্শ নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি উদ্যমী ও সহযোগিতামূলক মনোভাবসম্পন্ন সদস্য রাষ্ট্র। আমরা প্রবলভাবে আশাবাদী যে, জাতিসংঘ বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রগতি ও জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা অব্যাহত রাখবে। আমরা আরও প্রত্যাশা করব যে, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা পক্ষপাতহীনতা, সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে চলে সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখবে। যদি তাদের প্রতিবেদনগুলোতে ভুল তথ্য ও বস্তুনিষ্ঠতার অভাব থাকে এবং এগুলো যদি উপাত্ত-নির্ভর না হয়, তাহলে তারা তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে, যা সংস্থাটির সামগ্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি এক অশনিসংকেত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
পাঠকের মতামত
সবাই তো ডায়ালগের কথা বলেছিল আপনারা তো তাদের পরামর্শ রাখেন নি । এখন আবার পরামর্শ চাচ্ছেন কেমন হয়ে গেল না ?
জনপ্রিয় থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভয় কোথায় ? সংবিধান আপনারাইতো পরিবর্তন করেছেন দোস কেন অন্যকে দিচ্ছেন ?
তাহলে তারা তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে, যা সংস্থাটির সামগ্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি এক অশনিসংকেত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে.? মমেন সাহে কি বলে এই সব...? এই র্মূখ্যগুলোতো দেখি, জাতিসংঘকেও বাংলাদেশের জনগনের বিপক্ষে দাড় করিয়ে ছাড়বে..! উনকি জাতিসংঘকে উপদেশ দিচ্ছে না কি তাদের এই বিপদে দেশের নাম দিয়ে তাদের পিঠ রক্ষার জন্য উপদেশ চাচ্ছে? র্নিলজ্জাতার ও তো একটা সীম থাকা উচিৎ..? দেশের সাধারন জনগনের আস্থা তো অনেক আগেই হােরিয়েছে এখন গুটি-কয়েক আওয়ামী সর্মথকের আস্থা হারানোর সময় হয়েছে...??
যেখানে ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশের ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরার প্রতি আবেদন জানিয়েছেন নিউ হোপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন। এর চারদিন পর ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন বাংলাদেশের ওপর অযৌক্তিক চাপ আসছে / বরং সত্য বললে জাতিসংঘের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ অযৌক্তিক, অযাচিত এবং আরোপিত রাজনৈতিক চাপ / মন্ত্রী অবৈধ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে তালিয়া বাজিয়ে চলেছেন; যেখানে গোটা জাতির পক্ষ থেকে মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন জনতার পক্ষে কথা বলছেন / দুটো সংবাদই মানব জমিন ছাপিয়েছে।
এদের সবাই চিনে জানে, এরা দলেবলে সত্য বলে না। মিথ্যা বলতে বলতে সত্যটা ভুলে যাওয়াই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সত্য কিভাবে বলতে হয়, তা তলানিতে পড়ে যাওয়াতে এটি তাদের অচেনা লাগে!! গোয়েবলসএর অনুকরণে মিথ্যা বলাকেই জীবনের শ্রেয় কাজ মনে করে।
চাপ বাংলাদেশের উপর আসছে না, চাপ আসছে আওয়ামী সরকারের উপর, আওয়ামীলীগের উপর। বাংলাদেশ ও আওয়ামীলীগ এক কথা নয়। বাংলাদেশ একটি দেশের নাম আর বাংলাদেশে গুম, খুন, হত্যা, চুরি,ভোটচুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাসী, বাসে আগুন দেয়া, সংখ্যালঘুদের নিরযাতন এমন কোন অপকর্ম বাকি নেই যে আওয়ামীলীগ করে না। আর তাছাড়া ভোটচুর বলতে আওয়ামীলীগকেই বোঝায়।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তো আওয়ামীলীগ একটি অবৈধ দল । যে সরকার একটি অবৈধ দল দ্বারা পরিচালিত সেই সরকারও অবৈধ। ওতএব মোমেন আপা, এসব বলে কি লাভ?
পৃথিবীতে একমাত্র স্ত্যবাদী, যৌক্তিক কথা শান্তিপ্রিয় মানষ বলতে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের আওয়ামী ব্যতিত অন্যরা এবং জাতিসংঘ, আমেরিকা, ইউরোপ অযথা আওয়ামীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, অযৌক্তিক শান্তি শৃঙ্খলা বিগ্নকারী বলে। এবার জাত সংঘের বারটা বাজায়ে ছাড়বে আওয়ামী লীঘ।
বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে নাকি জাতিসংঘ বাংলাদেশ সরকারের উপর অযৌক্তিক চাপ প্রয়োগ করছে তাই প.রা মন্ত্রি জাতিসংঘকে সতর্কতার প্রলেপে হুমকি দিয়েছে। যদি জাতিসংঘ তাদের অবস্থান পরিবর্তন না করে তবে জাতিসংঘের খবর আছে! আসলে কি আর বলবো আওয়ামীলীগ এমনই এক প্রজাতি যারা নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপের অধিবাসীদের মত সভ্য জগতের সাথে কোন দূরতম সম্পর্কও রাখতে চায় না। বরং সম্পর্কের কোন চেষ্টা করা হলে তাদেরকে তীর ধনুক মেরে কিংবা ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেওয়া হবে। এরই নাম আওয়ামীলীগ।
এই পত্রটি জাতিসংঘ কে ১৯ নম্বেবর দিয়েছিলো কিন্তু তার পরও জাতিসংঘ ওদের বিরুদ্ধে?
জাতীর সামনে একটুও কি লজ্জা লাগে না এদের নিলজ্জাহীন ভাবে মিথ্যাচার করে।
এদের পৃথীবি ছোট হয়ে আসতেছে,সাহস থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেখো জনগন কাকে চায়।
এই রকম ভাঁওতাবাজির ইলেকশন করে কেন জনগণের করের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় করবেন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়। গনতন্ত্রের নামে আপনারা তামাসা করছেন। সরাসরি রাজতন্ত্র অথবা বাকশাল ঘোষণা করে ফেলেন। অন্তত জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় হবেনা। তখন আর কেউ বলতে পারবেনা তত্তাবধায়ক সরকার চাই।কারন গনতন্ত্র থাকবেনা যখন তখন আর কিষের তত্তাবধায়ক সরকার।
আমরা বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান করছি। যদি তারা এটা না করে, তাদের কপালে দুঃখ আছে। জনগনের ভোট নিয়ে বাটপারী অনেক হইছে।
নিজেই নিজেদের দোষ স্বীকার করলো তাহলে!!!
একটি মাত্র মানুষের একটি মাত্র ব্যক্তির ক্ষমতার বেআইনি অবৈধ লালসা চরিতার্থ করতে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একটি মাত্র মানুষের অবৈধ মনোবাসনা পূরণ করতে সমস্ত মানবাধিকার ভূলুন্ঠিত করা হয়েছে এই বাংলাদেশে। একটি মাত্র মানুষের দম্ভ আর দাম্ভিকতার কাছে হেরে গেছে দেশের সরকার বিরোধি সব রাজনৈতিক দলের বাকস্বাধীনতা কথা বলার সব অধিকার। একটি মাত্র মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে দেশের সমস্ত প্রশাসনিক নির্বাহী নিরাপত্তা ও বিচার বিভাগ। সে আর কেউ নয় বিশ্ব মিথ্যুক অবৈধ সরকার স্বৈরাচারীনি শেখ হাসিনা।
যে যাই বলেন ভাই, আমরা একটি সুসঠু নিরবাচন চাই।
চাপ যাতে না আসে সে ব্যবস্থা নিন। সবাই তা চাচ্ছে, জনগন, আন্তর্জাতিক জগত, তাতো ভালোর জন্য। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।
সবাই তো ডায়ালগের কথা বলেছিল আপনারা তো তাদের পরামর্শ রাখেন নি । এখন আবার পরামর্শ চাচ্ছেন কেমন হয়ে গেল না ?
"বাংলাদেশের ওপর অযৌক্তিক চাপ আসছে..." - from India.
ক্রুসেডার এর অর্থ কি বুঝলাম না
জাতিসংঘ এখন গুরুত্বপূর্ণ কেনো হয়ে গেলো এদের কাছে,কয়দিন আগেও তো কাদের কা কু বলে বলেছিল জাতিসংঘের মতামতের এখন তেমন গুরুত্ব নেই।