বিশ্বজমিন
নির্বাচনে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি
মানবজমিন ডেস্ক
(৯ মাস আগে) ৪ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৮:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:১২ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরার প্রতি আবেদন জানিয়েছেন নিউ হোপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন। সোমবার গুতেরার কাছে এ নিয়ে তিনি একটি চিঠি লিখেছেন। এতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনের একটি অতি জরুরি বিষয় আপনার নজরে আনতে আমি এই চিঠি লিখছি। এই অঞ্চলের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার নিয়ে গভীর উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে আমি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা অবিলম্বে এখানে হস্তক্ষেপ করে এবং বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায্য এবং বিশ্বাসযোগ্য হবে কিনা তা নিয়ে গুরুতর সন্দেহের জন্ম দিয়েছে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহ দেশের সকল প্রধান দলকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া অপরিহার্য। এটি নিশ্চিতের জন্য আমি অবিলম্বে জাতিসংঘের কাছে অনুরোধ করছি যাতে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণায় চাপ দেয়া হয়।
নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের পাশাপাশি, দেশের অভ্যন্তরে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবেলা করার জন্য একটি শক্তিশালী মেকানিজম প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ দেয়া প্রয়োজন। মানবাধিকার সুরক্ষা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো জাতির সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অপরিহার্য। তাই আমি অবিলম্বে নিম্নোক্ত বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য
জাতিসংঘের কাছে আন্তরিকভাবে আবেদন করছি:
১। বিএনপি সহ সকল প্রধান দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা।
২। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা, যা নিরপেক্ষ হবে এবং সকল রাজনৈতিক দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করবে।
৩। এমন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত হয় এবং এই নির্বাচন প্রক্রিয়া যে কোনও ধরণের অযাচিত প্রভাব বা কারসাজি থেকে মুক্ত থাকে।
৪। চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন নিরীক্ষণ এবং মোকাবেলা করার জন্য মানবাধিকার বিষয়ক নতুন মেকানিজম চালু করতে হবে, যাতে সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
চিঠির শেষে গুতেরার উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে আপনার হস্তক্ষেপ বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এবং দেশটির জনগণের জন্য স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতে অবদান রাখবে।
জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ খুবই জরুরী
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি সহ প্রধান বিরোধী দল গুলোকে যেভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে কঠিন চাপে রেখেছে, এমন অবস্থায় কোনভাবেই সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবেনা। তাই জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন ব্যাবস্থা করে এই জাতি ও দেশ এবং গনতন্ত্রকে রক্ষা খুবই জরুরী।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি সহ প্রধান বিরোধী দল গুলোকে যেভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে কঠিন চাপে রেখেছে, এমন অবস্থায় কোনভাবেই সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবেনা। তাই জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন ব্যাবস্থা করে এই জাতি ও দেশ এবং গনতন্ত্রকে রক্ষা খুবই জরুরী।
UN intervention is necessary to establish civil rights
100% right
একটি জাতিকে রক্ষার জন্যে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি...
একটি জাতিকে রক্ষার জন্যে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি..
একটি জাতিকে রক্ষার জন্যে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি...
RIGHT
একটি জাতিকে রক্ষার জন্যে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি...
বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য আমি জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাই।
এটা কোন নির্বাচন নয়।এটা হচ্ছে এ টিম আর বি টিম এর নিলজ্জ খেলা।
U N should take very urgent action.
দেশকে রক্ষার জন্য ও জাতিকে রক্ষার জন্যে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি
এমন উদ্যোগ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ
একটি জাতিকে রক্ষার জন্যে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি
আওয়ামী লীগ পারে বটে! ২০১৪ সালে বিরোধী দলের আন্দোলন তুবড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেছে। তখন বলা হয়েছিল নিয়ম রক্ষার জন্য এটা করা হয়েছে। পরে সকলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করা হবে। এক সময় ধীরে ধীরে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। ফলে সেই সুযোগে আওয়ামী লীগ 'আবার সকলের অংশগ্রহণে আরেকটি নির্বাচনের' ওয়াদা বেমালুম চেপে যায় এবং পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকে। পাঁচ বছর পরে ২০১৮ সালে আবার নির্বাচনের সময় আসে। তখন বলা হয়েছে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হবে। বিরোধী দলগুলো বিশ্বাস রাখতে পারে। ফলে বিরোধী দল আস্বস্ত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর সময় বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের ওপর হামলা চলতে থাকে। ফলে তাঁরা ভোটের জন্য জনগণের কাছে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। বিরোধী দলশূন্য মাঠে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হলেও আওয়ামী লীগ জিতে আসার সম্ভাবনা হয়তো ছিলো। তবুও বেশি নিশ্চয়তার জন্য আগের রাতে ভোট করার কথা রটে যায় পরদিন সকালে। বিরোধী দল কিছুই করতে পারেনি। সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে। মেয়াদ শেষে আবার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসে। এবার তফসিল ঘোষণার আগেই বিরোধী দলকে মাঠের বাইরে ছিটকে ফেলা হয়। এখন তাঁদের ত্রাহি মধুসূদন। বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার অভিনব কায়দা আবিষ্কৃত হয়েছে। ইতোপূর্বে বিরোধী দলের বহিষ্কৃত কয়েকজন এবং কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করা একজনকে নৌকার প্রার্থী করতে গিয়ে নিজ দলের পুরোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। নিজ দলের প্রার্থীকে ডামি প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের অভূতপূর্ব উদাহরণ সৃষ্টি করা হয়েছে। জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলে রেখে সম্ভবতঃ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বৈধতার প্রশ্ন ধোপে টিকবে কি টিকবেনা সন্দেহ থেকে নিজ দলের লোকজন দিয়ে ডামি প্রার্থী দাঁড় করানো হতে পারে। কৌশলের মারপ্যাচ। অনেক বিশ্লেষক টকশো গরম করে দিনকে দিন বলতে দেখা গেছে এবার '১৪, '১৮- এর মতো নির্বাচন করা সহজ হবেনা। তাঁদের ধারণা একপাশে, অন্যপাশে তফসিল ঘোষণা ও নমিনেশন পেপার সাবমিট হয়ে গেছে এবং নির্বাচনের জোরালো আয়োজন দেখা যাচ্ছে। বিরোধী দল বলছে নির্বাচন করতে দেয়া হবেনা। আগামী বছরের ০৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে যাবে- অবস্থা এখন পর্যন্ত সেরকমই। সকল দলের সম্মিলনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়তো হবেনা, তবে কিছুটা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতে অসুবিধা হবেনা। মেকআপ ও সাজগোছ ছাড়াও প্রকৃতির অবদান অকৃত্রিম অপরূপ সৌন্দর্য্য থাকতে পারে। আবার সেজেগুজে মেকআপ দিয়ে সৌন্দর্য্য তুলে ধরা যায়। প্রথমটা অকৃত্রিম। পরেরটা কৃত্রিম। দেখতে হবে কোনটার কদর বেশি। কোনটা বেশি গ্রহণযোগ্য। সাজুগুজু করা নির্বাচন শেষ পর্যন্ত দাতা দেশগুলো মেনে নিলে ভালো। কিন্তু, তাঁদের কাছে নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য হবে কিনা তার ওপর আমাদের আগামী দিনের সুখশান্তি বহুলাংশে নির্ভর করে।