বিশ্বজমিন
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির আশা গাজাবাসীর
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২৯ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৩৬ অপরাহ্ন

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক ভর করছে গাজাবাসীর মধ্যে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই আবার শুরু হবে হামলা। এমন হুঙ্কারে তটস্থ গাজার সাধারণ মানুষ। তারা আশা করছেন এই যুদ্ধবিরতি আরও দীর্ঘায়িত হোক। ৭ই অক্টোবরের পর ইসরাইলের নৃশংস হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে গাজা। চারদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ। বহুতল অট্টালিকা মাটিতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আছে। খাবার, পানি, ওষুধ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক যেসব সাহায্য যাচ্ছে সেখানে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফিলিস্তিনিরা দাবি করছেন, ইসরাইলের বোমা হামলায় গাজা, দখলীকৃত পশ্চিমতীর সহ বিভিন্ন স্থানে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা আগে মূল্যায়ন করা হোক।
ওদিকে দুই বিদেশি ও ১০ ইসরাইলি জিম্মিকে হামাস মুক্তি দেয়ার পর ইসরাইলের জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে। এমন অবস্থায় দখলীকৃত পশ্চিমতীরের জেনিনে অভিযান চালানোর সময় ইসরাইলি সেনারা হাসপাতালগুলো ঘিরে রেখেছে। হাসপাতালের স্টাফ, কর্মকর্তা বা ডাক্তারকে সেখানে কাজে যেতে বাধা দিচ্ছে। ৭ই অক্টোবর থেকে গাজায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৫,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। ওদিকে জেনিন থেকে আল জাজিরার রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ইসরাইলি সেনারা শুধু হাসপাতালই নয় ইয়ামুন শহরে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে। এর ভিতর যারা অবস্থান করছেন তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে বলছে তারা। নাবলুস শহরে আল আসকার শরণার্থী ক্যাম্পেও অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। রামাল্লাহর উত্তরে আল জালাজুন শরণার্থী ক্যাম্প থেকে কিছু মানুষকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে। আল জাজিরার সাংবাদিক ইমরান খান দখলীকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে বলছেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিক থেকে অভিযান শুরু হয়ে চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। আকাশে ড্রোন উড়ছে। জেনিনে এটাই দৃশ্যত সবচেয়ে বড় অভিযান। তিনটি ভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চলছে।
আজ ২৯শে নভেম্বর। ১৯৪৭ সালের এদিন ফিলিস্তিনকে ভাগ করার একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে। তা রেজ্যুলুশন ১৮১ নামে পরিচিত। এতে একটি আরব রাষ্ট্র এবং একটি ইহুদি রাষ্ট্র সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি। ১৯৭৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৯শে নভেম্বরকে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।