অনলাইন
সাইদা মুনা তাসনিম আইএমও’র সহ-সভাপতি নির্বাচিত
কূটনৈতিক রিপোর্টার:
(১ বছর আগে) ২৯ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার, ১:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:১৫ অপরাহ্ন

ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) ৩৩তম অ্যাসেম্বলির প্রথম সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন
বৃটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং আইএমওতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সাইদা মুনা তাসনিম। ২৭ শে নভেম্বরের সভায় উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিদের ভোটে তিনি অ্যাসেম্বলির সহ-সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে জয় পান। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা। এটি শিপিং সুরক্ষা ও নিরাপত্তা এবং জাহাজ দ্বারা সামুদ্রিক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে। আইএমও’র কাজ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সহায়তা করে। বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্প ও সরকারের সকল নিয়ন্ত্রক, আর্থিক, আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য লন্ডনে অনুষ্ঠিত ১৭৫টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত মর্যাদাপূর্ণ আইএমও সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে (প্রথম সহ-সভাপতি) এবারই প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। এতে আইএমওতে নিযুক্ত সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি যুবরাজ খালিদ বিন বান্দার আল সৌদ প্রেসিডেন্ট হন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএমও’র কোনো নির্বাচনে এটাই প্রথম বাংলাদেশের জয়। ২০২১ সালে আইএমও’র এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সদস্য পদে নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত জয় পায়নি বাংলাদেশ। তাছাড়া চলতি বছরের মাঝামাঝিতে অনুষ্ঠিত আইএমও'র মহাসচিব পদের নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল বাংলাদেশ। মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে দেশে দেশে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণাও চালানো হয়েছিলো। কিন্তু ভোট শুরুর কয়েক মিনিট আগে রহস্যজনক কারণে ঢাকা তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়। এ নিয়ে সেই সময় ব্যাপক বিতর্কও হয়েছিল! আগামী ১লা ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় আইএমও'র এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল নির্বাচনে ফের প্রার্থী হয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ সি'র ২০টি সদস্য পদে মোট ২৫টি দেশ প্রার্থী হয়েছিল। গতকাল কাতার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে ২০ সদস্য পদে এখন ২৪টি দেশ লড়ছে। পরপর দু'টি নির্বাচনে (এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল ও মহাসচিব পদে) বাংলাদেশের কাঙ্খিত ফল না আসায় এবারের তৃতীয় চেষ্টাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। মর্যাদার প্রশ্নে তৃতীয় দফার এ লড়াইয়ে ঢাকাকে জিততেই হবে।