খেলা
কে এই দীপু?
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার
নিয়মিত যারা বাংলাদেশ ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখেন তারা বেশ ভালোভাবেই শাহাদাত হোসেন দীপুর নামটা শুনেছেন। বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে পরিচিত নাম দীপু। সবশেষ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ দলে ছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। সেই আসরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেকও হয় তার। তবে সেখানে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ঘরোয়া সার্কিটে মূলত লংগার ভার্সনেই ভালো করেছেন দীপু। সেই দীপুকেই কিনা হঠাৎ করে টি-টোয়েন্টি অভিষেক করানো হলো। তবে এবার নিজের আসল জায়গায় অভিষেক হয়েছে তার। ১০২তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে তার।
২০২০-এ যুব বিশ্বকাপ জয়ের পরের দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় দীপুর। এরপর ২২ ম্যাচে ৩৬.৩৯ গড়ে সংগ্রহ এক হাজার ৩৮৩ রান। দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ১১ ফিফটিও। এরমধ্যে খেলেছেন ১৫৯ রানের ইনিংস। সাদা পোশাকে জাতীয় দলে খেলার দাবি জানিয়ে আসছিলেন নিজের ব্যাটে। ঘরের মাঠে গত জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটার। কিন্তু সেবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার সুযোগ হয়নি। শেষমেশ সুযোগটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। গতকাল বাংলাদেশের ১০২তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয়েছে তার। দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার মমিনুল হক সৌরভ তাকে ক্যাপ পরিয়ে বরণ করে নিয়েছেন টেস্ট পরিবারে। যদিও ব্যাট হাতে তার শুরুটা ভালো হয়নি। ৫৪ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। তবে যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ইঙ্গিত দিয়েছেন একজন টেস্ট ব্যাটার হিসেবে নিজের যোগ্যতার। এর আগে এশিয়ান গেমসে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের ৩ ম্যাচ দীপু করেছেন মাত্র ২৬ রান। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২১ ও ভারতের বিপক্ষে করেছেন ৫। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করারই সুযোগ হয়নি তার।
দীপুর ছোট্ট ক্যারিয়ারটাও যে খুব সুখকর তা নয়। ক্রিকেটার হওয়ার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে আসা দীপু বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপির ট্রায়াল থেকে বাদ পড়েছিলেন। এই বাদ পড়াটা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। অভিমানে ক্রিকেটটাই ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে পরে মান ভেঙে ফেরেন ক্রিকেটে। নিজের পরিশ্রম আর আর মেধা দিয়ে জায়গাও করে নিয়েছেন জাতীয় দলে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলটার মিডল অর্ডার সামলেছেন এই দীপু। এরপর থেকে তার ওপর নজর রেখেছে বিসিবি। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করার পুরস্কারটা মিলেছে। এখন তার লক্ষ্য শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার।