খেলা
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে নিষিদ্ধ হতে পারে ভারতের ফুটবল
স্পোর্টস ডেস্ক
২১ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
ফুটবল ফেডারেশনের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কখনোই মেনে নেয় না ফিফা। তাহলে কি ফিফার নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে যাচ্ছে ভারত ফুটবল দল? এমন প্রশ্নই উঠছে এখন। ভারত জাতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচও ব্যাপারটা নিয়ে খুব শঙ্কিত।
২০০৮ সাল থেকে অল-ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (আইএফএফ) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন প্রফুল প্যাটেল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তার তৃতীয় মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সংবিধান অনুযায়ী আর নির্বাচন করতে পারবেন না প্যাটেল। কিন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। বিষয়টিতে নজর দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তিনজনের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস (সিওএ) গঠন করে তাদের ওপর ফেডারেশনের দায়িত্ব ন্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। প্যাটেল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে এতে। এই কমিটির অধীনে জুনের শেষ দিকে নির্বাচন দেয়ার কথা থাকলেও শোনা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরের আগে আর সেটি সম্ভব নয়। আইএফএফ’র নির্বাচন নিয়ে এতো টালবাহানা পছন্দ হচ্ছে না ফিফার। সত্যিই কী ঘটছে জানার জন্য গতকাল ভারতে আসার কথা ছিল ফিফা প্রতিনিধি দলের। সিওএ’র কর্তারা তাদের সন্তুষ্ট করতে না পারলে কপালে শনি আছে ভারতের। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে কুয়েত ও ইন্দোনেশিয়াকে ফিফার নিষেধাজ্ঞা পেতে হয়েছে। ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে। নয়তো সমস্যায় পড়ে যাবো। আমাদের নিজেদেরকে সংঘবদ্ধ হতে হবে। কাউন্সিল (সিওএ) ফুটবলীয় বিষয়গুলো পরিচালনা করতে পারবে না। সময় চলে যাচ্ছে অথচ সামনে কী আছে তার জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি না।’ ফেডারেশনের এসব জটিলতার জন্য স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দায়ী করছেন স্টিমাচ। নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘যখন আমি কোচ হয়েছিলাম, ভেবেছিলাম পরিস্থিতি ভালো হবে। ভেবেছিলাম সবাই জাতীয় দলকে উপরের দিকে তোলার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু কিছু পার্টি আছে যারা শুধু নিজেদের প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তারা বুঝেই না একটা দলকে তুলতে গেলে কত সময় লাগে।’ স্টিমাচের অধীনে বর্তমানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০৬ নম্বরে অবস্থান করছে ভারত। টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করেছেন সুনীল ছেত্রীরা। কিন্তু তাদের সব পরিশ্রম বিফলে যাবে যদি ফিফা নিষিদ্ধ করে বসে ভারতকে।