বাংলারজমিন
নাগরিক পরিষদের ব্যানারে জাহিদ-মনসুরের যত অপকর্ম
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
৪ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার
নাগরিক পরিষদের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল এবং ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে দীঘিনালা উপজেলা নাগরিক পরিষদের সভাপতি মো. জাহিদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুরের বিরুদ্ধে। তারা প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুটি ঘরও বাগিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়াও একটি বিশেষ বাহিনীর নাম ব্যবহার করে জাহিদ তার বড় ভাই বেলাল হোসেনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা দু’জনই বেকার। কিন্তু ব্যবসায় লাখ লাখ টাকা খাটান। দু’জন যেখানেই যান এক মোটরসাইকেলে একসঙ্গেই যান। এলাকায় নিজেদের বিশেষ বাহিনীর কাছের মানুষ বলে পরিচয় প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি একটি কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আসে। সেখানে শোনা যায়, জাহিদ নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন এক ব্যবসায়ীকে। তার কাছে সেই নেতা ১ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা দিতে বলেন।
জাহিদ-মনসুর প্রভাব দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুটি ঘর নিয়েছেন। একটি জাহিদের শাশুড়ি জোহরা বেগমের নামে আরেকটি মনসুরের ভাই আব্দুর রহিমের নামে। জোহরা বেগমের ঠিকানায় গিয়ে সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কোনো ঘরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কিন্তু জোহরার বসবাসযোগ্য ৩টি বসতঘর রয়েছে।
হুমকির বিষয়ে জাহিদের বড় ভাই বেলাল বলেন, জাহিদ আমার ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে আমাদের ঠকাচ্ছে। একটি বিশেষ বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙিয়ে আমাকে হুমকি দিয়েছেন। সে বিশেষ বাহিনী দিয়ে আমার বসতঘর গুঁড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধি বলেন, এদের প্রধান কাজ হলো মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা। এদের ভয়ে এলাকার মানুষজন মুখ খুলতে ভয় পায়।
এ বিষয়ে জাহিদ হাসান বলেন, আমার শাশুড়ির নামে একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ পাই। ঘরটি আমার জায়গায় নির্মাণ করেছি। এ বিষয়ে জাহিদের শাশুড়ি জোহরা বেগমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে জাহিদ কথা বলতে দেননি। এ ছাড়াও অন্য অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি অসম্মতি প্রকাশ করেন। মনসুরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বলেন, কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায় সংগঠন নিবে না। কেউ অপকর্মে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরাফাতুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়ার একটি নীতিমালা রয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
মন্তব্য করুন
বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]