অনলাইন
সম্পদ লুট করতে ভিন্নভাবে আসতে চায় বিদেশিরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ২ অক্টোবর ২০২৩, সোমবার, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৩০ অপরাহ্ন

মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে নিজের মধ্যে কোন ভয় বা আতঙ্ক নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, এটা তাদের জন্য সঙ্কটের কারণ হবে যারা ঘুষের টাকায় তথা দুর্নীতি করে আমেরিকায় বাড়ি-গাড়ি করেছে। ভিসা না পেলে সেখানকার সম্পদ কীভাবে দেখভাল তথা রক্ষা করবে? তা নিয়ে তারা শঙ্কিত বলে মনে করেন তিনি। মার্কিন ভিসানীতিসহ বর্তমান রাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে ‘জাগো নিউজ’-এর সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মাতামাতির পেছনে সংবাদ মাধ্যমের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। বলেন, আমাদের সংবাদ মাধ্যম বিদেশিদের বক্তব্য শুনলেই লাফিয়ে ওঠে।
বিদেশে যখন ইলেকশন হয়, আমেরিকায় যখন ইলেকশন হয় কোনো বিদেশি সাংবাদিক তাদের খবরও দেয় না। কোনো রাষ্ট্রদূত কিংবা বিদেশি সম্মানিত নোবেল লরিয়েটের আমেরিকার ইলেকশন নিয়ে কথা বলার সাহস নেই। বিদেশিরা কিছু বললেই ফলাও করে প্রচার করা হয় মন্তব্য করে ড. মোমেন বলেন, আমাদের দেশের মানুষের মন-মানসিকতাও ভাল না। বিদেশিরা বললেই বলে ভালো, আর দেশি লোক হলে সম্মান দেয় না, এটা দুঃখজনক। রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের আগে আমেরিকার নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, আমি আমেরিকার নাগরিক ছিলাম। নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে এসেছি।
আমেরিকায় এভাবে এক পয়সাও খরচ করা যায় না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা টাকা কিভাবে খরচ করেন তা আল্লাহই ভাল জানেন। তাদের ছেলেমেয়েরা সব বিদেশে। আমরা যাদের সুশীল বলি, তাদের একটি বিরাট অংশের ছেলেমেয়ে বিদেশ থাকে। তারা অনেকেই আসলে পলিটিক্যাল অ্যাকটিভিস্ট (সক্রিয় কর্মী), তারা রাজনীতি করেন। সরাসরি রাজনীতিতে সাপোর্ট না পেয়ে তারা হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন বানিয়ে ফেলেন! এটি বানিয়ে তারা রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠির বক্তব্য প্রচার করেন আর দেশ-বিদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন।
আমাদের দেশে যদি হিসাব করেন সুশীল সমাজ দেখবেন অধিকাংশই রাজনৈতিক অ্যাকটিভিস্ট। মন্ত্রী বলেন, পেপারে দেখলাম ২৯ জন সচিবের একাধিক ছেলেমেয়ে বিদেশে থাকেন। বিদেশে কিন্তু থাকা খুব ব্যয়বহুল, এটি খুব সহজ নয়। তার মানে তাদের কত পয়সা? কেউ কেউ হয়তো কাজকর্ম করে, কিন্তু তারপরও বিদেশে পড়াশোনার ব্যয় মিটানো সহজ নয়।
বিদেশিরা কখনো বাংলাদেশের মঙ্গল চাইবে না এমন মন্তব্য করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ভারতবর্ষ সম্পদে ভরপুর ছিল। বিদেশিরা একের পর এক আসতে লাগলো। সব শেষে এলো বৃটিশরা। দেশটাকে একেবারে ছারখার করে দিয়ে গেলো! মন্ত্রী বলেন, ফের তারা (অন্যভাবে) আসতে চায়, যাতে বাকি সম্পদ লুট করতে পারে। ড. মোমেন বলেন, বিদেশিরা আমাদের মঙ্গলের জন্য আসে না। বড় বড় ইস্যুতে কথা বলে, মানবাধিকার অমুক-তমুক, এগুলো সব ভাঁওতাবাজি। এটা খুবই দুঃখজনক যে আমাদের অনেক লোক এ ধরনের ভাওতাবাজির শিকার হয়। চলতি বছরে প্রায় ৬০টি দেশে নির্বাচন হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ২৫টি দেশে নির্বাচন হবে।
কোনো গল্প শুনেছেন? কোনো সরকারের রাষ্ট্রদূতরা সেই নির্বাচন নিয়ে কোনো বক্তব্য দিয়েছেন? কেউ দেননি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রশ্নে আমেরিকা বা ভারতে কোন কথা হয় না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কিন্তু বাংলাদেশে একটা সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে যে নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাস কম। আমরা আমাদের নির্বাচন করবো। আমরা চাইবো আমাদের নিজেদের তাগিদেই স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন। আমরা যে কাজ করছি সেটি গ্রহণযোগ্য কি-না? সেটা নির্বাচনের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই হবে।
পাঠকের মতামত
Thank,s.
জনাব সম্পদ কি আর বাকি আছে। কিছু ইট কাঠ ছাড়া সবই তো লুট হয়ে বেগম পাড়ায় চলে গেছে। এখন তো আমাদের অবস্থা এমন শূন্য নদীর তীরে রহিনূ পড়ি যাহা ছিল নিয়ে গেল আপনাদের তরী
বিদেশীরা সম্পদ লুট করে তাদের নিজ দেশে নিয়ে য্যাবে,আার আাপনারা লুট করে আামেরিকা কানাডায় নিয়ে যাবেন।তাদের আার আাপনাদের মধ্যে পার্থক্য হলো,তারা দেশ প্রেমিক আাপনারা তাও না।
আমরা নিজেরাই বিশ্বস্ততার সাথে ন্যায়ের পথে থেকে কাজ করি না বলেই আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
The statement is very true. We are believing anyone and also not believing self.
নিজেদের গোয়ার্তমির জন্য আজকে জনগণ বিপদ গ্রস্ত। ক্ষমতাকে আকরে ধরে রাখার জন্য আজকে সাধারণ জনগণকে বলির পাঠা বানানো হচ্ছে।
মোমেন সাহেবের কথা গুলো অনেক মুল্যবান ,তার বক্তব্য সমর্থন যোগ্য
যাচাই বাছাই ধানাই ফানাই করে পনেরো বছর পার করে দিছেন এমন কোন দেশ আছে যেখানে নির্বাচনের দিন মানুষের বদলে কুকুর ঘুমায়? এমন কোন দেশ আছে ভোটের আগের রাতে ব্যালট ভরে দেয় দলিয় কর্মিরা আর পুলিশরা ? কত লিখবো লিখার শেষ নেই এতদিন গায়ের জোরে পার পেয়ে গেছেন এখন বিশ্বে আপনারা চিহ্নিত ভূয়া গনতন্ত্রের মডেল হয়ে গেছেন লজ্জা থাকলে চুপ থাকবেন এই না আমেরিকা ইংলেনড লবিংয়ে লাখ লাখ ডলার খরচ করে ফলাফল শূন্য নিয়ে আসলেন ।তাই বুঝি এখন তারা লুটেরা হয়ে গেছে - সব মানুষকে বোকা ভাবেন কিন্তু মানুষ এখন আর বোকা নেই।
Sir আন্নে মনে হয় হাগল হই গেছেন,,,,,
তোমরা যে কত ভালো নির্বাচন করতে পারো এটা তো জাতি দেখে ফেলছে দিনের ভোট রাতে কর অতএব তোমাদেরকে আর কেউ বিশ্বাস করে না। পৃথিবীতে এরকম ভোট হয় বলে আমার জানা নেই তাই বিশ্ববাসী তোমাদের পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেখতে চাই।
একটা দেশ সুযোগ পেলে ব্যবসার নামে আরেক দেশ কে শোষন করবেই। আমাদের দেশ অবশ্যই ব্যতিক্রম কারন আমরা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে সব কিছু বিকিয়ে দিতে পারি এবং তার জন্য আমাদের বিদেশীদের অপেক্ষা করতে হয়না।
আমাদের সম্পদতো আমরাই লুটপাট করে শেষ করে দিচ্ছি বিদেশীরা আর কিইবা সম্পদ লুট করবে লুট করার মতো কিছু আছে কি?
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন/ বাংলাদেশে 'দুই বেগমের যুদ্ধে' ভারত-চীন এক শিবিরে, যুক্তরাষ্ট্র অন্যদিকে
দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ/ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]