খেলা
ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া
স্পোর্টস রিপোর্টার, হাংজু (চীন) থেকে
৩ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার
নারী ক্রিকেটারদের হাত ধরেই হাংজু এশিয়াডে একমাত্র পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হারের পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে একমাত্র ব্রোঞ্জটি নিশ্চিত করে জ্যোতি-নাহিদারা। র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকার সুবাদে নারী দলের মতো পুরুষ ক্রিকেট দলও সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে। আগামীকাল পুরুষ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে সাইফ-আফিফদের প্রতিপক্ষ বাছাই পর্ব থেকে উঠে আসা মালয়েশিয়া। এদিন সকালে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। আজ প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত খেলবে নেপালের বিপক্ষে এবং পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ হংকং।
বক্সার সেলিমের কঠিন পরীক্ষা আজ
৩৭ বছরের খরা কাটানোর অপেক্ষায় বাংলাদেশের বক্সার সেলিম হোসেন। এশিয়ান গেমসের ৫৭ কেজি ওজনশ্রেণির কোয়ার্টার ফাইনালে আজ জাপানের শুদাই হারাদার বিপক্ষে বক্সিং রিংয়ে নামবেন সেলিম। হাংজু জিমনেশিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে এই বাউট। এই ম্যাচকে সামনে রেখে গেমস ভিলেজে নিজ কোচ শফিউল ইসলাম মাসুদকে সঙ্গে করে অনুশীলন করে যাচ্ছেন তিনি। কোয়ার্টার ফাইনাল জিতলেই সেমিফাইনালে জায়গা করে নেবেন সেলিম। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হবে পদক। এর আগে শ্রীলঙ্কা ও তাজিকিস্তানের প্রতিপক্ষকে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছেন সেলিম।
ভারোত্তোলক মাবিয়ার আক্ষেপ
বরাবরের মতো হাংজু এশিয়ান গেমসে সুবিধা করতে না পেরে আক্ষেপ করছেন এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। কাল জিয়াংশু জিমনেশিয়ামে প্রত্যাশা মতো ওজন তুলতে না পেরে তিনি বলেন, ‘অপরিচ্ছন্ন জায়গাতে অনুশীলন করার কারণে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাংজুতে আসার একদিন আগেও রক্তের প্লাটিলেট ছিল দেড় লাখ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুর্বল শরীর নিয়ে খেলার কারণে ফল ভালো হয়নি।’ মেয়েদের ৬৪ কেজি ওজন শ্রেণিতে ‘বি’ গ্রুপে পাঁচ প্রতিযোগীর মধ্যে চতুর্থ হন মাবিয়া। তুলেছেন ১৭৫ কেজি। স্ন্যাচে সর্বোচ্চ ৭৭ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ৯৮ কেজি ওজন তোলেন। তার গ্রুপে সর্বোচ্চ ২১৫ কেজি তোলেন ইন্দোনেশিয়ার সাবিথা রামদানি।
হকিতে ৪১ বছর পেছনে বাংলাদেশ
১৯৮২ দিল্লি এশিয়াডের হকিতে ভারত ১২-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। ৪১ বছর পর এশিয়াডে আবার বাংলাদেশের পোস্টে ১২ গোল দিলো ভারত। গতকাল হাংজু এশিয়ান ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে আশরাফুল-জিমিদের দল। হারের ব্যবধান ১২-০। একটি গোলও শোধ দিতে পারেননি রাসেল মাহমুদ জিমিরা। দুই হাফে ছয়টি করে গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে মানদ্বীপ সিং ও হারমানপ্রীত সিং দুটি হ্যাটট্রিক করেন। এছাড়া অভিষেক, গুরজান্ত সিং, নীলকান্ত শর্মা, অমিত রহিদাস ও ললিত কুমার একটি করে গোল করেন। হাংজু এশিয়ান গেমস হকিতে পাকিস্তানের মতো দল উড়ে গেছে ভারতের সামনে। হেরেছে ১০-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে। সিঙ্গাপুর ও উজবেকিস্তানের জালেও ১৬ গোল দিয়েছে ভারত। এমন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা দলের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশও।
২০১০ গুয়াংজু এশিয়াডে বাংলাদেশকে ৯-০ গোলে হারায় ভারত। তবে এশিয়াড হকিতে বাংলাদেশের বড় দুটি পরাজয়ের একটিও ভারতের কাছে নয়। দ্বিতীয় বড় হার ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ১৪-০ গোলে। তারও আগে ১৯৭৮ সালে নিজেদের প্রথম এশিয়াডে বাংলাদেশ ১৭-০ গোলে হেরেছিল পাকিস্তানের কাছে। এটিই এশিয়াডে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। গতকাল প্রথম কোয়ার্টারে বাংলাদেশ কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সময়ের সঙ্গে ম্যাচ পরিণত হয় একতরফায়। প্রথম কোয়ার্টার শেষে স্কোরলাইন ২-০। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ৬-০। তৃতীয় কোয়ার্টারে ৮-০। শেষ কোয়ার্টারে ১২-০। এবারের এশিয়াডে এটিই সবচেয়ে বড় পরাজয় রোমান সরকারের দলের। এই ম্যাচ দিয়েই এশিয়াড হকিতে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে বাংলাদেশ। গ্রুপে দুটি জয় এসেছে সিঙ্গাপুর (৭-৩) ও উজবেকিস্তানের (৪-২) বিপক্ষে। জাপানের কাছে ৭-২ আর পাকিস্তানের কাছে ৫-২ গোলে হার। ৫ ম্যাচে ৩ হার আর ২ জয়ে বাংলাদেশের চতুর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। চতুর্থ হলে গতবারের ষষ্ঠ স্থান হারিয়ে এবার লড়তে হবে সপ্তম স্থানের জন্য। সপ্তম হওয়াও অবশ্য কঠিন। অথচ যাওয়ার আগে বাংলাদেশের দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ বলেছিলেন সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন তার।