খেলা
কানাডা থেকে বাংলাদেশিদের জন্য সামিতের বার্তা
স্পোর্টস ডেস্ক
৯ মে ২০২৫, শুক্রবার
হামজা চৌধুরীর আগমনের পর পাল্টে গেছে দেশের ফুটবলের চিত্র। বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার আগ্রহ বাড়ছে প্রবাসী খেলোয়াড়দের মাঝে। এই তালিকায় সবার উপরের নামটি সামিত সোমের। বাংলাদেশি পাসপোর্টের পর বাকি ছিল শুধু তার ফিফা প্লেয়ার্স কমিটির অনুমোদন। সেটিও পেয়ে গেছেন দু’দিন আগে। আগামী ১লা জুন কানাডা থেকে দেশের বিমানে চড়বেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামতে রোমাঞ্চিত সামিত নিজেও। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় সে কথাই জানিয়েছেন কানাডা জাতীয় দলের হয়ে দুই ম্যাচ খেলা এই মিডফিল্ডার। বাফুফের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত সেই ভিডিওতে দেশের ফুটবল সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সামিত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের হয়ে ফুটবল খেলতে পারাটা আমার জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর। সবাইকে তাদের অসাধারণ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’ গত ২০শে এপ্রিল জন্মনিবন্ধন হাতে পান সামিত। এরপর চলতি মাসের প্রথম দিন কানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্র পাওয়ার পর ৫ই মে পেয়ে যান বাংলাদেশি পার্সপোর্টও। এত অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুতই এসব প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে যাদের জন্য, তাদেরকেও ধন্যবাদ দিতে ভুলেননি সামিত। ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার বলেন, ‘যারা প্রক্রিয়াকে দ্রুত সময়ে করতে সাহায্য করেছেন আর একে (বাংলাদেশে হয়ে খেলা) সম্ভব করে তুলেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ।’ সামিতের জন্ম কানাডায়। বা-মা দু’জনই বাংলাদেশি। ফলে হামজা চৌধুরীর মতো তারও পাসপোর্টের জন্য বেগ পেতে হয়নি। বর্তমানে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব ক্যাভালরি এফসিতে খেলছেন সামিত। এর আগে ২০১৬তে কানাডার অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে ৭টি ও ২০১৮তে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জার্সি গায়ে খেলেছেন ৪ ম্যাচ। ২০২০-এ কানাডা জাতীয় দলের হয়েও দুই ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১০ই জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হওয়ার কথা আছে সামিতের। এর আগে গত ২৫শে মার্চ ভারতের বিপক্ষে এই বাছাইপর্বের ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে খেলা হবিগঞ্জের ছেলে হামজা চৌধুরীর।