খেলা
ইউরোপার ফাইনালে প্রিমিয়ার লীগের তলানির দুই দল ইউনাইটেড-টটেনহ্যাম
স্পোর্টস ডেস্ক
(৮ ঘন্টা আগে) ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

চলতি মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর টটেনহ্যাম হটস্পারের দশা একেবারেই বেহাল। যথাক্রমে ১৫ আর ১৬ নম্বরে অবস্থান দল দু’টির। আর কিছুটা এদিক-সেদিক হলে সম্ভাবনা ছিলো অবনমনেরও। তবে ইউরোপা লীগে নিজেদের অনন্যভাবে মেলে ধরেছে এই দুই ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাব। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-১ গোলে ফাইনালে পৌঁছে গেছে রেড ডেভিলরা। অন্য ম্যাচে বোডো/গ্লিমটের বিপক্ষে ফিরতি লেগে ২-০ আর দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্পার্সরা।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে এদিন ১১টির মধ্যে ৫টি শট লক্ষ্যে রাখে ইউনাইটেড। বিপরীতে সফরকারীদের সমপরিমাণ শটের মধ্যে লক্ষ্যে থাকে কেবল ১টি। বিলবাওয়ের মাঠে প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয়ে স্বস্তি নিয়েই নিজেদের মাঠে নামে ইংলিশ জায়ান্টরা। তবে শুরুতে মিকেল হাউরাগিজারের গোল কিছুটা আতঙ্কই ছড়ায় ওল্ড ট্রাফোর্ডের গ্যালারিতে। ১-০ গোলে বিরতি থেকে ফিরে গোলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে থাকে স্বাগতিকদের। রুবেন আমেরিমের ছেলেদের গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের শেষ পর্যায় পর্যন্ত। ৭২তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে চমৎকার এক বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যাসন মাউন্ট। মিনিট সাতেকের মধ্যে সতীর্থের ফ্রি কিক থেকে হেডে দ্বিতীয় গোলটি করেন ক্যাসেমিরো। ৮৫তম মিনিটে গোলপোস্টের একদম মুখেই ট্যাপ ইনে জালে বল জড়ান রাসমুস হয়লুন্দ। এক-একটি গোলে যেনো বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠছিলো ওল্ড ট্রাফোর্ড। যোগ করা দ্বিতীয় মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে ফাঁকা পোস্টে ফের জাল খুঁজে নেন মাউন্ট। অন্য ম্যাচে প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৩-১ গোলের জয়ে এগিয়ে থেকে গ্লিমটের মাঠে নামে টটেনহ্যাম। এদিন ফিরতি লেগে নরওয়েইন ক্লাবটিকে সুযোগই দেয়নি সফরকারীরা। ম্যাচ জুড়ে ৬৯ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রাখলেও কাজের কাজটা করতে পারেনি স্বাগতিক দল। আক্রমন-পাল্টা আক্রমণে গোলশূন্য বিরতিতে যায় দু’দল। মাঠে ফিরে ৬ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে ব্যবধান আরও বাড়ায় ইংলিশ জায়ান্টরা। ৬৩ ও ৬৯তম মিনিটে গোল দু’টি করেন ডমিনিক সোলাঙ্কে ও পেদ্রো পোরো।
সবশেষ ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে ইউরোপা লীগ (তৎকালীন উয়েফা কাপ) জেতে স্পার্সরা। ২০০৭-০৮ মৌসুমে লীগ কাপ জয়ের পর আর কোনো ট্রফিও জেতা হয়নি ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটির। ২১শে মে বিলবাওয়ের মাঠ সান মামেসে গড়াবে ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটির ফাইনাল। এই ‘অল ইংলিশ ফাইনাল’ জিতে প্রিমিয়ার লীগের তলানির দিকে থাকা দল দু’টির মধ্যে কারা আগামীবার চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলবে, তা জানা শুধু সময়ের অপেক্ষা।