অনলাইন
ডেঙ্গুতে সেপ্টেম্বরেই ৩৯৬ জনের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৭:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন

শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯৬ জনে। এমাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৫৯৮ জনে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণহানি হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৯৮৯ জনের। মৃতদের মধ্যে নারী ৫৫৭ জন এবং পুরুষ ৪৩২ জন। ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৩৫০ জন এবং রাজধানীতে ৬৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শনিবার সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৪২৫ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭৫১ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৬৭৪ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২ হাজার ৪২৫ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯৫৯ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৩৭৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬ হাজার ৫৮০ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩ হাজার ৪০৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ৮৩ হাজার ২২২ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৪ জন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৪৩ জন এবং নারী ৭৯ হাজার ৭৬৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৮ জন।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাই মাসে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্ট শনাক্ত ৭১ হাজার ৯৭৬ জন এবং মৃত্যু ৩৪২ জন। সেপ্টেম্বরে শনাক্ত ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৯৬ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের দেয়া তথ্যের চেয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।