বাংলারজমিন
কোটালীপাড়ায় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারমহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় রামশীল ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডের ৫ জন দুস্থ মহিলার উন্নয়ন কর্মসূচির ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে সাক্ষী গ্রহণ করেছে তদন্ত কমিটি। গতকাল বেলা ১১টায় রামশীল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তারা উপস্থিত হয়ে অভিযোগকারীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এর আগে একই এলাকার বাসিন্দা তুষার গাইন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে রামশীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাস ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অবনি রায়ের বিরুদ্ধে ওয়ার্ডটির ৫ জন ভিডাব্লিউবি দুস্থ মহিলার কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পুষ্পেন কুমার সিকদারকে আহ্বায়ক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শ্রীময়ী বাগচিকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু তাহের হেলাল, একাডেমিক সুপারভাইজার জসিম উদ্দিন ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা জয়কৃষ্ণ গুপ্ত। এ বিষয়ে রামশীল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিহির তালুকদার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য প্রদান করেছি। আশা করি সত্যতা প্রমাণে সক্ষম হয়েছি। অভিযোগকারী তুষার গাইন বলেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে তদন্ত কমিটির কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে জবানবন্দি দিয়েছি। জবানবন্দিতে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। কারণ অভিযোগে যে সম্পা বসুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তিনি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ভোটার ছিলেন, আমার অভিযোগের পর গত ১৩্ই সেপ্টেম্বর তার ভোট এই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে আনা হয়েছে। এ ছাড়া লিপিকা সরকার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের ভোটার ছিলেন, তার ভোটটি ১৭ই সেপ্টেম্বর ৯নং ওয়ার্ডে আনা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় যে তারা আগে এই ইউনিয়নের ভোটার ছিলেন না। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পুষ্পেন কুমার সিকদার বলেন, আমরা অভিযোগের বাদী-বিবাদীসহ সর্বমোট ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছি, এ মাসের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।