অনলাইন
খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সাবেক বিএমএ নেতৃবৃন্দের বিবৃতি
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৩:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:২৮ অপরাহ্ন
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি করেছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক নেতৃবৃন্দ। রোববার বিএমএ‘র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক ও সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়, অন্যথায় তার শারিরীক যেকোনো ক্ষতির দায়ভার সরকাকেই বহন করতে হবে এবং এ অন্যায় কাজ দেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবেই লিপিবদ্ধ থাকবে। বিবৃতিতে বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনে আপোষহীন নেত্রী। সারাদেশে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। অসুস্থতার কারণে বারবার হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তথাপি তার প্রতি ফ্যাসিস্ট সরকারের হিংসামূলক কর্মকাণ্ড ও অপপ্রচার বন্ধ হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে আজ মানবাধিকার ও বিবেকের মৃত্যু ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৯ই আগস্টে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আজ পর্যন্ত চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তিনি দীর্ঘদিন আর্থাইটিস, ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনী ও হৃদরোগে ভূগছেন। চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত তাকে বিদেশে উন্নত মাল্টি ডিসিপ্লিনারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের পরমর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু সরকার সেদিকে কোনো কর্ণপাত না করে চিকিৎসার মতো মানবিক বিষয়টিতেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।
বিএমএ‘র সাবেক নেতারা বলেন, আমরা চিকিৎসক সমাজসহ দেশবাসী জানে সুস্থ ও সচল অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া করাবন্দী হয়েছেন। পরবর্তীতে চিকিৎসার চরম অবহেলায় তিনি আজ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত। পাশাপাশি পুরনো আর্থাইটিস ও ডায়াবেটিসের সুচিকিৎসা না হওয়ায় সেগুলোও জটিল আকার ধারণ করেছে। এই সকল বিষয়ের দায়ভার বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারকেই নিতে হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার থেকেও বারবার বিদেশে সুচিকিৎসার দাবি তোলা হয়। ইতোমধ্যেই দেশের বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, সাবেক আমলাসহ বিশিষ্টজনেরা তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে কারামুক্তি দিয়ে বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি এডভান্সড সেন্টারে প্রেরণের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন সরকার এ বিষয়ে নিশ্চুপ।
আমরা বিএমএ’র সাবেক নেতৃবৃন্দ তথা দেশের সমগ্র চিকিৎসক সমাজ দাবি জানাচ্ছি- রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে তাকে কারামুক্তি ও বিদেশে প্রেরণের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। অন্যথায় তার শারিরীক যেকোনো ক্ষতির দায়ভার সরকাকেই বহন করতে হবে এবং এ অন্যায় কাজ দেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবেই লিপিবদ্ধ থাকবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, ১. অধ্যাপক ডাঃ গাজী আব্দুল হক ২. অধ্যাপক ডাঃ বায়েছ ভূঁইয়া ৩. অধ্যাপক ডাঃ মোস্তাক রহিম স্বপন ৪. অধ্যাপক ডাঃ রফিকুল কবীর লাবু ৫. ডাঃ খুরশিদ জামিল চৌধুরী ৬. অধ্যাপক ডাঃ মঈনুল হাসান সাদিক ৭. অধ্যাপক ডাঃ আজিজ রহিম ৮. অধ্যাপক ডাঃ শামিমুর রহমান ৯. ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ১০. ডাঃ রফিকুল হক বাবলু ১১. অধ্যাপক ডাঃ হারুন-আল-রশিদ ১২. অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মাহবুবুল আলম ১৩. অধ্যাপক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনার ১৪. ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন জীবন ১৫. ডাঃ শহিদুল আলম ১৬. ডাঃ মোঃ আব্দুস সালাম ১৭. ডাঃ শহিদ হাসান ১৮. অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল মান্নান মিয়া ১৯. ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস ২০. অধ্যাপক ডাঃ এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু ২১. অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন ২২. অধ্যাপক ডাঃ সুমন নাজমুল হোসেন ২৩. ডাঃ মোঃ ওবায়দুল কবীর খান ২৪. ডাঃ জহিরুল ইসলাম শাকিল ২৫. ডাঃ এম এ সেলিম ২৬. ডাঃ ওয়াসিম হোসেন ২৭. অধ্যাপক ডাঃ মওদুদুল আলামগীর পাভেল ২৮. ডাঃ শাহ মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ২৯. অধ্যাপক ডাঃ সাইদুর রহমান ৩০. ডাঃ মোহাম্মদ আলী ৩১. ডাঃ এ কে এম মুসা ৩২. ডাঃ মোঃ আক্তারুজ্জামান ৩৩. ডাঃ আমিরুজ্জামান খান লাভলু ৩৪. ডাঃ শাহ্ মোঃ হাফিজুর রহমান মুজাহিদ ৩৫. ডাঃ আসফারুল হাবীব রোজ ৩৬. ডাঃ মোঃ আব্দুল মুত্তালিব ৩৭. ডাঃ মোফাখ্খারুল ইসলাম ৩৮. ডাঃ খায়রুল ইসলাম ৩৯. ডাঃ প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস ৪০. ডাঃ খালেকুজ্জামান বাদল ৪১. ডাঃ হাসান জাফর রিফাত ৪২. ডাঃ রেহান উদ্দিন খান ৪৩. ডাঃ এম এ কামাল ৪৪. ডাঃ মোঃ আবুল কেনান ৪৫. ডাঃ সাইফ উদ্দিন নেছার আহমেদ তুষান ৪৬. ডাঃ মজিবুল হক দোয়েল ৪৭. ডাঃ সায়েফউল্লাহ ৪৮. ডাঃ নিখিলেন্দু ৪৯. ডাঃ মোস্তফিজুর রহমান শামীম ৫০. ডাঃ আবু হাসান লাল্টু ৫১. ডাঃ মোঃ ওয়াসিম ৫২. ডাঃ মোঃ আবুল কালামসহ বিএমএ’র শতাধিক সাবেক নেতৃবৃন্দ।