অনলাইন
'নিজ কাজের প্রতিশোধ হিসেবে বন্দী আদিলুরের' মুক্তি দাবি 'আতঙ্কিত' কেনেডি পুত্রের
তারিক চয়ন
(৬ দিন আগে) ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৪২ অপরাহ্ন

গত বছরের শেষের দিকে সপরিবারে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর এডওয়ার্ড টেড কেনেডির পুত্র এবং দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা এডওয়ার্ড টেড কেনেডি জুনিয়র। সপ্তাহব্যাপী ওই সফরকালে সরকারের তরফে তাদের জন্য আতিথেয়তার কোনো ঘাটতি ছিল না। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও সাক্ষাৎ করেছিলেন।
নিজ দেশে ফেরার পর ঢাকা সফরের স্মৃতিচারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে (বর্তমান এক্স) কেনেডি জুনিয়র দুটি পোস্ট করেছিলেন যার একটিতে তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে নিজ পরিবারের ছবি শেয়ার করে তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে লিখেছিলেনঃ বাংলাদেশ ভ্রমণের সময়, আমার পরিবার এবং আমি অনুপ্রেরণাদায়ীর সাথে দেখা করে সম্মানিত বোধ করছি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষুদ্রঋণের জনক, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষক। তিনি রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস-এর শক্তিশালী অংশীদারই কেবল নন, লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করার জন্য ২০০৬ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারও পেয়েছেন।
পৃথক টুইটে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্য সিনেটের সাবেক সদস্য টেড কেনেডি জুনিয়র বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানের সাথে নিজেদের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেনঃ আমার পরিবারের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ভ্রমণের সময়, আমরা দেশের শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খানের সাথে সাক্ষাৎ করে সম্মানিত বোধ করছি। তিনি সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অক্লান্তভাবে কাজ করছেন, তিনি (মানবাধিকার সংগঠন) অধিকারের সেক্রেটারি।
ওই টুইটে আদিলুর যে ২০১৪ সালে তার আরেক চাচা, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর রবার্ট এফ. কেনেডির স্মরণে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষায় অদম্য সাহস দেখানো মানুষদের দেওয়া 'রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছিলেন সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন কেনেডি জুনিয়র।
কিন্তু, টেড কেনেডি জুনিয়রের বাংলাদেশ সফরের এক বছর না পেরুতেই আদিলুর এবং অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানকে (বৃহস্পতিবার) দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের দুদিন বাদেই আদিলুর এবং এলানের মুক্তি দাবি করেছেন কেনেডি পুত্র। আদিলুরের সাথে নিজের ছবি এক্সে পোস্ট করে তিনি (শনিবার) লিখেছেনঃ আমি বাংলাদেশে থাকাকালীন অধিকার এর মানবাধিকার চ্যাম্পিয়ন আদিলুর খানের সাথে দেখা করেছিলাম। আমি আতঙ্কিত যে, তিনি যে কাজ করেছেন তার প্রতিশোধ হিসেবে তিনি এখন নাসির উদ্দিন এলানের সাথে বন্দী।
উল্লেখ্য, ওই পোস্টের সাথে "আদিলুর ও এলানকে মুক্ত করো" লেখা হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করেছেন টেড কেনেডি জুনিয়র।
।পাঠকের মতামত
এদেশে বুদ্ধিজীবী নাম ধারিরা পংকিল রাজনীতির ধজ্বাধারী।অন্যভাবেও বলা যায়, ওনাদের আলু পটলের ন্যায় ক্রয়/বিক্রয় করা যায়।এরা নীতি আদর্শ বর্জিত শ্রম দাস।
শিরোনাম পড়ে আমি চমকিত
এদেশের বাকি বুদ্ধিজীবীরা এত নির্লিপ্ত কেন? কেন তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না।ভবিষ্যতের জন্য এগুলো বাজে উদাহরণ হয়ে থাকল।যারা করাচ্ছে তাদের দেশেও এগুলি ভাইরাস হয়ে ছড়িয়ে পড়বে।