ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

খেলা

এশিয়া কাপ ফাইনাল আজ

ভারতের ৮ম নাকি শ্রীলঙ্কার ৭ম

আতিকুল ইসলাম
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবারmzamin

অম্ল-মধুর গ্রুপপর্ব এবং সুপার ফোর শেষে এশিয়া কাপ গড়িয়েছে ফাইনালের মঞ্চে। আজ বিকাল সাড়ে ৩টায় কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ভারতের সামনে মহাদেশীয় টুর্নামেন্টটির ৮ম এবং শ্রীলঙ্কার সামনে ৭ম শিরোপা জয়ের সুযোগ রয়েছে।

ফেভারিট কে?
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে অধিকাংশের বাজির ঘোড়া থাকতে পারে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা ভারতের পক্ষেই। ৭ম স্থানীয় শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনাও কম নয়। ২০২৩ এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্যন্ত ১৪টি আসরে মোট ২২ বার দেখা হয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কার। এর মধ্যে ১১টি করে জয় দুই দলের। তবে সবশেষ সুপার ফোরে লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়ে আত্মবিশ্বাসে কিছুটা এগিয়ে থাকবে ভারতীয়রা। ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চলে আসে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের বিষয়টি। এতে বেশ এগিয়ে ভারত। এখন পর্যন্ত ১৬৬টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এতে ৯৭ জয় ভারতের। ৫৭ জয় শ্রীলঙ্কার। 

রোড টু ফাইনাল
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করে ভারত। বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়া সেই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পায় ভারতীয়রা। এরপর গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সুপার ফোরে পৌঁছায় রোহিত-কোহলিরা। পাকিস্তানকে ২২৮ রানে বিধ্বস্ত করে সুপার ফোর যাত্রা শুরু করে ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে স্কাই ব্লু’রা। তবে সুপার ফোরে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৬ রানে হারে ভারত।

বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপ যাত্রা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ রানের জয়ে সুপার ফোরের টিকিট পায় লঙ্কানরা। বাংলাদেশকে ২১ রানে হারিয়ে সুপার ফোরের যাত্রা শুরু করে দাসুন শানাকার নেতৃত্বাধীন দলটি। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে ৪১ রানে হারে শ্রীলঙ্কা। এরপর সুপার ফোরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেটের জয়ে ফাইনালে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা। 

এশিয়া কাপে দুই দলের অতীত রেকর্ড

ভারত
এশিয়া কাপের সফলতম দল ভারত। টুর্নামেন্টটিতে সর্বোচ্চ ৭ বার শিরোপা জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। ১৯৮৪ সালে উদ্বোধনী আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ১৯৮৬ এশিয়া কাপে অংশ নেয়নি দলটি। আয়োজক দেশের ক্রিকেট বোর্ড শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে টুর্নামেন্ট বর্জন করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত টানা তিন আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ১৯৯৭ সালেও ফাইনালিস্ট দল তারা। সেবার শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতীয়দের।

২০০০ সালে প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে আগের চার আসরের ফাইনাল খেলা ভারত। এরপর ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে রানার্সআপ হয় তারা। ২০১০ সালে এশিয়া কাপের ১০ম আসরে পঞ্চম শিরোপা জেতে ভারত। ২০১২ এবং ২০১৪- টানা দুই আসরে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় তারা। এরপর ২০১৬ এবং ২০১৮ এশিয়া কাপে ষষ্ঠ ও সপ্তম কাপ জেতা ভারত সবশেষ ২০২২ আসরে বাদ পড়ে সুপার ফোরে। এবার ৮ম শিরোপার সুবাদ পাচ্ছে ভারতীয়রা। এশিয়া কাপের ১৫ আসরে ৬৪ ম্যাচে ৪২ জয় এবং ১৯ হার ভারতের।

শ্রীলঙ্কা
এশিয়া কাপে শিরোপা জয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে শ্রীলঙ্কা। প্রতিযোগিতাটির ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন লঙ্কানরা। চলতি আসরে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে একমাত্র শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের সবকটি আসর খেলেছে। ১৯৮৪ সালে প্রথম আসরে রানার্সআপ হয় তারা। ১৯৮৬ সালে ঘরের মাঠে প্রথম শিরোপা জয় করে শ্রীলঙ্কা। এরপর ১৯৮৮, ১৯৯০-৯১ এবং ১৯৯৫ সাল- টানা তিন আসরে রানার্সআপ হয় লঙ্কানরা। ১৯৯৭ সালে নিজেদের আঙিনায় দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জেতে শ্রীলঙ্কা। ২০০০ সালে রানার্সআপ হওয়ার পর ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে টানা দুবার শিরোপা জেতে লঙ্কানরা। ২০১০ সালে ষষ্ঠবারের মতো রানার্সআপ হয় দলটি। 

অর্থাৎ, ১৯৮৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এশিয়া কাপের দশটি আসরের সবকটি ফাইনাল খেলেছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের ফাইনালিস্ট হওয়ার ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে ২০১২ সালে। এশিয়া কাপের ১১তম আসরে প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে লঙ্কানরা। যদিও ২০১৪ সালে পরের আসরে ফের চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। তবে ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে আবারো প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে শ্রীলঙ্কা। সবশেষ ২০২২ আসরে ষষ্ঠ এশিয়া কাপ জেতে দলটি। ‘ব্যাক টু ব্যাক’ শিরোপা জয়ের সুবাস পাচ্ছে লঙ্কানরা। ১৬ এশিয়া কাপে অংশ নিয়ে ৬৫ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয় ৪৮টি। হার ২৩ ম্যাচে।

খেলা থেকে আরও পড়ুন

খেলা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status