খেলা
সময় চেয়েছে পাকিস্তান, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই বিসিবি’র সর্বোচ্চ প্রাধান্য
স্পোর্টস রিপোর্টার
১১ মে ২০২৫, রবিবার
ভারত-পাকিস্তান হামলা-পাল্টা হামলার প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটাঙ্গনেও। ইতিমধ্যে ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ আইপিল এবং পাকিস্তানের পিএসএল স্থগিত হয়েছে। একই কারণে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর নিয়েও তৈরী হয়ছে সংশয়। সিরিজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও কিছুদিন সময় পেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।
গতকাল বিসিবিতে এক জরুরী সভায় বসেন বোর্ড পরিচালকরা। এরপর সন্ধ্যায় বিসিবির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এই সফর নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। বিসিবি বিবৃতিতে বলেছে, ্তুবাংলাদেশ জাতীয় দলের আসন্ন পাকিস্তান সফর নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)-এর সঙ্গে সক্রিয় ও চলমান আলোচনা চলছে। বিসিবি আবারও জোর দিয়ে জানাচ্ছে যে খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বদা বোর্ডের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সফর সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্তই সতর্কতার সঙ্গে নেয়া হবে এবং তা দল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করা হবে। ২১শে মে পাকিস্তান যাওয়ার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বাংলাদেশের। সেই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ দলের ১৪ মে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। পাকিস্তান সফর বাতিল হলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজটি নিয়েও শঙ্কা হতো। তবে বিসিবি জানিয়েছে নির্ধারিত সময়েই সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে বাংলাদেশ। তারা বিবৃতিতে আরও জানায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ এবং পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ জাতীয় দল পূর্বনির্ধারিত সূচিতেই সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফর করবে। সেখানে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে, যা আগামী সপ্তাহে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।্থ তবে বিসিবির একজন শীর্ষ পরিচালক দৈনিক মানবজমিনকে জানিয়েছেন, সিরিজ নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে চায়নি পিসিবি। বিসিবির কাছে তারা আরও কিছুদিন সময় চেয়েছে। তিনি বলেন, ‘সিরিজের আয়োজক তো পাকিস্তান। তাদের কাছ থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসা উচিত। যদি তারা নিতে না পারে তখন আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বলতাম। এ নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করেছি, পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তারা সিরিজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও কিছুদিন সময় চেয়েছেন। তবে যেহেতু দুই সপ্তাহেরও কম সময় বাকি আছে, আমরা বলেছি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই সবার আগে। তেমন মনে আমরা সিরিজটি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধও করতে পারি। তবে আগে দেখা যাক পিসিবি কি সিদ্ধান্ত নেয়, এরপর বাকিটা আমরা বিবেচনা করবো। সিরিজ শুরুর আগে নিরাপত্তা দেখতে পর্যবেক্ষক দলও পাঠাতে পারে বিসিবি।’ তবে পিসিবির জন্য ইতিবাচক ব্যাপার হতে পারে ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার বিষয়টি। যদিও এতেও যে সিরিজ হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া যায় সেটা নয়। তবে অন্তত সিরিজ আয়োজনের লাইফলাইন পেতে পারে তারা। তবে সমস্যা আছে আরও একটি। ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতের কারণে পিএসএল পিছিয়ে গেছে বেশ কয়েকদিন। সেক্ষেত্রে এটি শেষ করে আবার বাংলাদেশ সিরিজ আয়োজন করা মোটেও সহজ কাজ হবে না পিসিবির জন্য। যদিও পিএসএলের বাকি ৮ ম্যাচ মাঠে গড়াবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।