ঢাকা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিঃ

ভারত

শ্রাদ্ধের সময় মৃত মেয়ের টেলিফোন- ‘বাবা, আমি বেঁচে আছি, ভালো আছি’

বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা

(১ বছর আগে) ২১ আগস্ট ২০২৩, সোমবার, ১:৪১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

বলিউডের যে কোনো হিন্দি ছবির চিত্রনাট্যকেও হার মানাতে পারে এই কাহিনি। বিহারের পূর্ণিয়ার আকবরপুরের বাসিন্দা অংশুকুমারী নিখোঁজ হয়ে যান একমাস আগে। স্থানীয় থানায় এফ আই আর করেন মেয়েটির বাবা বিনয় মন্ডল। পুলিশ গরুখোঁজা করেও সন্ধান পায়নি অংশুকুমারীর। এরপর গত শনিবার অংশুর বয়সী একটি মেয়ের লাশ পাওয়া যায় স্থানীয় একটি খালে। মেয়েটির মুখ ক্ষত বিক্ষত হয়ে গিয়েছিলো। অংশুর বাবা এবং তার পরিজন দেহের জামাকাপড় দেখে শনাক্ত করেন- এই লাশ অংশুরই। লাশ দিয়ে দেওয়া হয় বিনোদ মন্ডলের হাতে। বিনোদ দেহের  শেষকৃত্য করেন। অপঘাতে মৃত্যু বলে অংশুর শ্রাদ্ধশান্তি হচ্ছিলো সোমবার। হঠাৎ টেলিফোন বেজে উঠলো বিনোদের। টেলিফোনে ভেসে এল অংশুর কণ্ঠস্বর- বাবা, আমার শ্রাদ্ধ করছো কেন? আমি বেঁচে আছি। ভালো আছি।  হঠাৎ মৃত মেয়ের টেলিফোন পেয়ে হকচকিয়ে যান বিনোদ মন্ডল। 

তিনি শ্রাদ্ধর কাজ নিজের বাবার হাতে দিয়ে অংশুর টেলিফোনে  ভিডিও কল করেন। অন্য প্রান্তে অংশু সজল চোখে জানায়- প্রণয়ীর সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল সে। তার বিয়ে হয়ে গেছে। সে এখন পূর্ণিয়ারই জনকপুরাতে সুখে ঘরকন্না করছে। মুহূর্তে পাল্টে যায় মন্ডল পরিবারের ছবি। মৃত মেয়ে জীবিত থাকার খবরে উল্লাসের জোয়ার বয়ে যায় পরিবারে। প্রশ্ন হলো, তাহলে কোন মেয়ের লাশ দাহ করলেন বিনোদরা? মৃত মেয়েটির আসল পরিচয় কি? আকবরপুর থানা জানাচ্ছে এই মেয়েটি অনার কিলিং এর শিকার। মেয়েটির পরিবার তাকে হত্যা করে মুখ চোখ বিকৃত করে খালে ফেলে দেয়। পরিবারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।     
 

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

ভারত সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status