ঢাকা, ১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ রমজান ১৪৪৬ হিঃ

ভারত

বিলকিস বানো মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন- বিরলের মধ্যে বিরলতম তাহলে কী!

বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা

(১ বছর আগে) ১৮ আগস্ট ২০২৩, শুক্রবার, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪০ অপরাহ্ন

গোধরা কাণ্ডে বিলকিস বানো যখন গণধর্ষণের শিকার হন তখন তাঁর বয়স একুশ এবং তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর তিন বছরের কন্যাকে আছড়ে মেরে ফেলে ধর্ষকরা। তাঁর আরও সাত পরিবারের সদস্যকে হত্যা করা হয়। এরপরও এই ঘটনাকে কেন্দ্র অথবা গুজরাট সরকার রেয়ারেস্ট অফ দ্য রেয়ার আখ্যা দিচ্ছে না। তাহলে কোন ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলা হবে? অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল এস রাজুর কাছে জানতে চান বিচারপতি বি নাগরত্নম এবং উজ্জ্বল ভুইয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নেয়া হয় যে এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়, তাহলেও বেছে বেছে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের জেলবাস থেকে রেহাই দেয়া হলো কেন? এক যাত্রায় পৃথক ফল হলো কেন? যারা গুড কন্ডাক্ট নিয়ে দীর্ঘদিন জেল খাটছে তাদের কেনো মুক্তি দেয়া হলোনা? 
এর আগে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস রাজু সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিলেন, অভিযুক্তরা যেহেতু চোদ্দ বছর জেল বাস করেছেন এবং জেলের মধ্যে তাদের খারাপ ব্যবহারের কোনও নজির নেই, তাই তাদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট সরকার।

এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতিরা বিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে এই প্রশ্নগুলি তোলেন। এদিকে এর আগে আরেক বিচারপতি কে জোসেফ প্রশ্ন তুলেছিলেন, ধর্ষণকারীদের একজনকে হাজার দিনের, অন্য আরেক জনকে ১২০০ দিনের এবং তৃতীয় জনকে ১৫০০ দিনের পারল কিভাবে দেয়া হয়েছিল! বিচারপতিরা এই প্রশ্নও তোলেন যে এক উত্তরপ্রদেশেই ২২০০ বন্দি আটকে আছে বিভিন্ন জেলে দীর্ঘদিন। এদের সম্পর্কে তাহলে কী ব্যাবস্থার সুপারিশ করবে কেন্দ্র? 
এস রাজু জানান, সুপ্রিম কোর্টেরই সুপারিশ আছে রেয়ারেস্ট অফ রেয়ার কেস না হলে অপরাধীদের যেন সংস্কারের সুযোগ দেয়া হয়। সেই মর্মেই এই এগারোজনকে রেমিশন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সব পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য এদিন সুপ্রিম কোর্ট শুনেছে। তবে, এই মসমলায় এখনও কোনও রায় হয়নি।

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

ভারত সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status