ভারত
সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরও রাজ্যসভায় দিল্লি সার্ভিস বিল পাস
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(১ বছর আগে) ৮ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
জুডিশিয়ারি অর্থাৎ বিচার বিভাগ না লেজিসলেশন মানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া আইনসভা- কার ক্ষমতা বেশি সেই দ্বন্দ্ব হয়তো এবার কাটলো। দিল্লির প্রশাসনিক দায়িত্ব যে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের সুপ্রিম কোর্টের এই স্পষ্ট রায়ের পরও দিল্লির প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পর্কিত বিলটি লোকসভায় পাস হওয়ার পর রাজ্যসভাতেও পাস হলো ১৩১-১০১ ভোটে। ওড়িশার বিজু জনতা দল এবং অন্ধ্রর ওয়াইএসআর কংগ্রেস বিজেপিকে সমর্থন করায় দিল্লির সার্ভিস বিল পাসের ক্ষেত্রে তারা জিতলো। বিলটি এবার রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্যে যাবে। তাঁর অনুমোদন পেলেই বিলটি আইনে রূপান্তরিত হবে। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিলটি অনুমোদিত হওয়ায় দিল্লি প্রশাসনের ওপর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অধিকার আরও কায়েম হলো। দিল্লির আমলা, আইএএস কিংবা আইপিএস অফিসারদের পোস্টিং, বদলি বা অন্যান্য ব্যাপারে দিল্লির নির্বাচিত সরকার আম আদমি পার্টির থেকেও বেশি ক্ষমতাধর হলো কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিষয়টিকে আগণতান্ত্রিক এবং বিজেপির গা জোয়ারি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের সুস্পষ্ট রায়ের পরও কেন্দ্র যদি এই আইন প্রবর্তন করে তাহলে তা হবে বিচার বিভাগের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা। সুপ্রিম কোর্ট যেখানে দিল্লির আমলা এবং পুলিশ অফিসারদের নিয়োগ এবং বদলির ব্যাপারে নির্বাচিত আম আদমি সরকারের কর্তৃত্ব থাকবে বলে রায় দিচ্ছে সেখানে আদালত অবমাননা করে কেন্দ্রীয় সরকার আইন প্রণয়ন করছে। গণতন্ত্রের এই ভুলুন্ঠন মানা যায় না।
উল্লেখযোগ্য, রাজ্যসভায় বিলটি অনুমোদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আট বছরের দ্বন্দ্বের অবসান হলো। ২০১৫ সাল থেকে দিল্লির প্রশাসনিক দায়িত্ব কাদের তাই নিয়ে লড়াই চলছে। বর্তমানের সিদ্ধান্তের ফলে এটাই সম্ভবত শেষ কথা হলো- জুডিশিয়ারি নয়, লেজিসলেশনই অন্তিম সিদ্ধান্ত নেয়।