অনলাইন
রাষ্ট্রীয় মর্যাদা চান না সিরাজুল আলমের পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ মাস আগে) ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার, ৪:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

ছবি: জীবন আহমেদ
চলে গেছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান। মৃত্যুর পর রাজনীতির এ রহস্য পুরুষকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানো হোক- এমনটা চান না তার পরিবার। শুক্রবার সিরাজুল আলম খানের ছোটভাই ফেরদৌস আলম খান গণমাধ্যমকে এমনটাই জানান। তিনি বলেন, দাদা ভাই সিরাজুল আলম খান সবসময় প্রচারণার বাহিরে থেকেছেন।
তিনি মৃত্যুর আগে তার কিছু আশার কথা বলে গিয়েছেন। তিনি মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা চান না। সিরাজুল আলম খান বলে গেছেন তাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা না হয়। এমনকি দাফনের সময় তাকে কাফনের বদলে মায়ের কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দাফন করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, মায়ের শাড়িটাই আমার কাছে পতাকা। আমি এই পতাকা নিয়েই আমি চলে যেতে চাই।
সিরাজুল আলম খানের ভাতিজি ব্যারিষ্টার ফারাহ আলম খান বলেন, চাচা বলে গেছেন- মৃত্যুর পরে আমাকে কোথাও রাখার দরকার নেই। আমাকে যেনো ডিসপ্লে করা না হয়।
আগামীকাল সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সিরাজুল আলম খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মায়ের কবরের পাশেই শায়িত করা হবে।
এর আগে দুপুর আড়াইটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সিরাজুল আলম খানের। ৮২ বছর বয়সী সিরাজুল আলম খান উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ৭ই মে থেকে শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। পরে ২০শে মে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১লা জুন তাকে কেবিন থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়।
পাঠকের মতামত
লোক দেখানো রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে কি হবে? এদেশে মুক্তিযুদ্ধ বলি আর মুক্তযোদ্ধা বলি সবই এক পরিবার অবদান!
পুরো ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলই আপনার জন্য ডিসপ্লে সেলুট বস।
সত্যিকার দেশ প্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত, তারা দেশের কাছে কিছুই আশা করেন না, কি পেলেন তারা? না সন্মান না অন্য কিছু.. ভাল থাকবেন বীর
স্বাধীন বাংলাদেশের যে কয়জন সপ্ন দেখেছেন তাদের মধ্যে জনাব সিরাজুল আলম খাঁন অন্যতম। তারা একটি দেশের সপ্ন দেখেছেন, দেশও পেয়েছেন। কিন্তু যেই সপ্ন নিয়ে স্বাধীন করেছেন এই দেশ তার সপ্নের দেশ নয়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার আক্ষেপও কম ছিল না। চেষ্টা করেছেন সবার জন্য একটি দেশ দিতে # সেই দেশে আজ গনতন্ত্রহীন। মহান স্বাধীনতার এই যোদ্ধা এই অগণতান্ত্রিক সরকারের সম্মান নিবেন না বলে যে ওসিয়ত করেছেন এতে বাংলাদেশের মানুষের কাছে তার সম্মান আরো বেড়ে গেছে। মরহুম খাঁন সাহেবের জান্নাত কামনা করছি।
Pray for him he was a great man. He didnot want anything from anyone.
লাল সালাম, কমরেড। শ্রেণিহীন শোষিত হাজার কোটি জনতার হৃদয়ে তুমি বেঁচে থাকবে। যুগে যুগে তুমি হবে বিপ্লবের অনুপ্রেরণা। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।।।
May Allah give him jannah
সিরাজুল আলমরাই ছিলেন স্বাধীনতার মুল কারিগর ! উনাদের অবদান ছাইচাপা দিয়ে রাখাযাবেনা।
ইনি লাস ডিসপ্লে, রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, পুষ্পমাল্য এমনকি কাফনের নুতন কাপড়ও চাননি। বেঁচে থাকতেও নিভৃতচারি ছিলেন। ইসলামের বিধান সম্পূর্নরূপে অনুসরণ করেছেন। আসুন আল্লাহর কাছে তার মাগফেরাত কামনা করি।
তিনি যা বলে গেছেন এক কথায় অসাধারণ। মৃত ব্যাক্তিকে ফুল এবং কোথাও রেখে শ্রদ্ধা নিবেদন ইসলাম সমর্থন করেনা বলে এর কোন দাম নেই, এতে মৃতের কোন লাভ হয়না। যত তারাতারি সম্ভব দাফন করাই উত্তম। বুঝা-ই যাচ্ছে উনি খুব মমতাময়ী মা ভক্ত ছিলেন, এই গুণের কারণে মহান আল্লাহ উনাকে জান্নাত দান করবেন।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান বরাবরই ছিলেন একজন অভিমানী! তাকে সবাই একজন রহস্য-পুরুষ আখ্যায়িত করে জোর করে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে! অনেকে কিছু না করে অনেক কিছু পেয়েছে আর সিরাজুল আলম খানদের মতো কিছু বড় বড় নেতারা সব কিছু করেও অনেক ব্যাথা নিয়ে নিভৃতে স্বাধীনতার মানে খুঁজতে খুঁজতে অনন্তে যাত্রা করছে! আসলে অভিমানীরা কখনো যেতে না ! তারা বরাবরই চেতনাবাজদের কাছে হেরে যায়!
আল্লাহ আপনাকে সহ সকল মুমিনকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আমীন।
Salute to the complete human soul
আমার নিজ এলাকার (নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা) গর্বিত সন্তান হিসেবে আপনাকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
পুরো ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলই আপনার ' ডিসপ্লে'।
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
ভিসা নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী/ ছেলের ভিসা বাতিল করলে করবে
এমপি বাহারের আবেদনে সাড়া মেলেনি/ ঘরের বউকে ঘরে তুলতে বললেন আদালত
এনডিটিভি'তে সাগরিকা সিনহা/ শেখ হাসিনার ধারণা, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]