খেলা
স্মিথের সেঞ্চুরি, সিরাজের ৪ উইকেট
স্পোর্টস ডেস্ক
৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার
দ্বিতীয় দিনের প্রথম ওভারেই দুইবার বল সীমানা ছাড়া করেন স্টিভেন স্মিথ। এতে তিনি পৌঁছে যান ‘ম্যাজিক্যাল থ্রি ফিগারে’। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৩২ সেঞ্চুরির মালিক এখন স্মিথ। রেকর্ড ৪১টি সেঞ্চুরি রয়েছে সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের। সাবেক ওপেনার ম্যাথিউ হেইডেনের ঝুলিতে রয়েছে ৩০টি সেঞ্চুরি। শতক দিয়ে স্মিথের নাম ওঠে গর্বের আরো কিছু রেকর্ডে। আর ম্যাচ থেকে ক্রমে ছিটকে পড়ছিল ভারত। তবে দ্রুতই নিজেদের ফিরে পায় ভারতীয়রা।
দিনের প্রথম সেশনে তুলে নেয় চার উইকেট। পরে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ থামে ৪৬৯ রানে। বল হাতে চার উইকেট নেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।
ব্যক্তিগত ১৬৪ রানে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজের বলে উইকেটের পেছনে শ্রীকর ভরতের গ্লাভসে ক্যাচ দেন হেড। এতে ভাঙে স্মিথ-হেডের ২৯০ রানের জুটি। ইংল্যান্ডের মাটিতে এটি স্টিভেন স্মিথের সপ্তম সেঞ্চুরি। এতে গর্বের এক রেকর্ডের দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহকে ছুলেন তিনি।
ইংল্যান্ডে সফরকারী কোনও ব্যাটসম্যানের সর্বাধিক ১১ সেঞ্চুরির রেকর্ড অজি লিজেন্ড ডন ব্র্যাডম্যানের। দ্বিতীয়ং সর্বাধিক সাত সেঞ্চুরি স্মিথ-ওয়াহর। অন্য এক রেকর্ডে ইংলিশ ব্যাটার জো রুটের রেকর্ড স্পর্শ করলেন স্মিথ। টেস্টে ভারতের বিপক্ষে সর্বাধিক ৯ সেঞ্চুরির কৃতিত্ব রুট-স্মিথের। ভারতের বিপক্ষে আটটি করে সেঞ্চুরি রয়েছে রিকি পন্টিং এবং দুই ক্যারিবীয় লিজেন্ড গ্যারি সোবার্স ও ভিভ রিচার্ডসের। ফাইনালের প্রথম দিনের শুরুতেই উইকেটের দেখা পায় ভারত। রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন উসমান খাজা।
দলীয় ৭১ রানে উইকেট হারান অপর ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (৪৩)। সেখানেই শেষ ভারতের উল্লাস! এরপর পুরো দিনে স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেড মিলে রীতিমতো ভারতীয় বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরান। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন দুজনেই। ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২৭ রান নিয়ে ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা শেষ করে অজিরা।
১৫৬ বলে ১৪৬ রানে হেড এবং ২২৭ বলে ১৪ চারে ৯৫ রানে অপরাজিত থাকেন স্মিথ। গতকাল দলীয় ৩৬১ রানে উইকেট হারান ট্রাভিস হেড। পরে দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন ক্যামেরন গ্রিন (৬)। পেসার মোহাম্মদ শামির বলে শুভমন গিলের হাতে ক্যাচ দেন সর্বশেষ আইপিএল মাতানো অজি ব্যাটার। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারি (৪৮) ছাড়া বাকিরা সাজঘরে ফেরেন ওই ‘সিঙ্গেল ডিজিট’ নিয়ে। লাঞ্চের পর ১২.৩ ওভার খেলে অল আউট হয় অজিরা। মোহাম্মদ শামি ও শার্দল ঠাকুর নেন দুটি করে উইকেট। এক উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা।