শেষের পাতা
কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতির আত্মহত্যা
স্টাফ রিপোর্টার
৪ জুন ২০২৩, রবিবার
রাজধানীর সরকারি কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াসিম রানা (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ঢামেকে ময়নাতদন্ত করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চিতলমারী উপজেলার গ্রামের বাড়িতে মরদেহ দাফন করা হবে। সূত্র বলছে, দাম্পত্য কলহের জেরে ভিডিও কলে স্ত্রীকে রেখে চানখাঁরপুলে একটি বাসায় রানা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার (জান্নাতি) কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক।
রানার বন্ধু ইমরান হোসেন বাবু জানান, রানা ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায়। কয়েকদিন ধরে রানার খুব মন খারাপ ছিল। সে সব সময় হতাশাগ্রস্ত থাকতো। একা ও চুপচাপ থাকতো। তবে কী চিন্তা করতো সে ব্যাপারে কিছু বলতো না। তাই আমি তাকে বলেছিলাম, “বন্ধু, তুমি কিছুদিনের জন্য কক্সবাজার ঘুরে আসো”। তিনি বলেন, এক বছর আগে তার বাবা মারা যান। এক ভাই ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। গত নভেম্বরে সে ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছে। তিন বছর কষ্ট করার পর সে এই পদ পেয়েছিল। অথচ সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলো। ও আমার অনেক কাছের বন্ধু ছিল। বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
রানার স্ত্রী সানজিদা আক্তারের প্রতিবেশী মাইদুল ইসলাম বলেন, সানজিদা আপুকে আমরা জান্নাতি আপু বলে ডাকি। রানা ভাইয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে অনেকদিন হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সেটা পাবলিকেলি জানানো হয়নি। জান্নাতি আপু রূপগঞ্জের তারাবোর একটি বাসায় থাকতেন। সামান্য মতবিরোধের কারণে রানা ভাই এত বড় কাজ করে বসলেন।
সরজমিন দেখা যায়, তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মর্গের সামনে রাত দেড়টার সময় আহাজারি করছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক সহ-সভাপতি জানান, আমরা জানতাম সানজিদার সঙ্গে প্রেম ছিল। বিয়ে হয়েছিল কিনা তা সঠিক জানি না। তবে যাই হোক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল রহস্য উন্মোচন করে বিচারের দাবি জানান কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা।