শেষের পাতা
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ শতাংশ, মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২ জুন ২০২৩, শুক্রবার
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার। গত বছরেও জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা একই ছিল। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে এ তথ্য জানান। সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমরা উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসব এবং ৭.৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবো বলে আশা করছি। চলতি অর্থবছরেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭.৫০ শতাংশ। তবে সাময়িক হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমে ৬.০৩ শতাংশ হিসাব করা হয়।
এদিকে গত এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এক পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৬ শতাংশ হতে পারে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার ক্রমান্বয়ে কৃচ্ছ্রসাধন নীতি থেকে বের হয়ে আসবে। একই সঙ্গে মেগা প্রকল্পসহ প্রবৃদ্ধি বাড়াবে, এমন চলমান ও নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, আগামী অর্থবছরে সরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে জিডিপি’র ৬.৩ শতাংশ হবে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, চলতি বছরে বেসরকারি বিনিয়োগ কমে ২৩.৬৪ শতাংশ হয়েছে। তবে অর্থমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে জিডিপি’র ২৭.৪ শতাংশ হবে। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার বিনিয়োগ অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে। যেমন নিষ্কণ্টক জমি, উন্নত অবকাঠামো, নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা, আর্থিক প্রণোদনা ও সহজ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ সুবিধা অব্যাহত থাকবে।
মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ: বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে এসেছে। এ ছাড়া দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় ও খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব কারণে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়াবে।