শেষের পাতা
শাহজালালের থার্ড টার্মিনালের নিরাপত্তায় ৮৫০ জন পুলিশ চেয়েছে এপিবিএন
আল-আমিন
৩০ মে ২০২৩, মঙ্গলবার
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হলেই উদ্বোধন হবে এই টার্মিনাল। আর এতে বিমান ও যাত্রীর জট কমবে মূল টার্মিনালে। তৃতীয় টার্মিনালে বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলছে। তবে এরমধ্যেই টার্মিনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবা শুরু করেছে পুলিশ। বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিনের (এপিবিএন) পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ৮৫০ জন পুলিশের জনবল চেয়ে পুলিশ সদর দপ্তর ও বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
কারণ বিমানবন্দরে যে জনবল রয়েছে তাতে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম পেতে হচ্ছে এপিবিএনকে। আর তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরধি আরও বাড়বে। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে যাত্রীদের কাঙ্খিত সেবা দান, প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, বন্দরের চারিদিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, কার্গো ভিলেজের পণ্য খালাসের সুষ্ঠু তদারকি, বিদেশি ট্যুরিস্টদের গাইডলাইন দেয়া, যাত্রীদের হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে সহযোগিতার কাজ আরও বাড়বে। এ ছাড়াও স্বর্ণ পাচার ঠেকানো, চোরাই মোবাইল জব্দ, মাদক জব্দ, রাজস্ব ফাঁকি ঠেকানো, অর্থ পাচার রোধ এবং মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি পণ্য জব্দে আরও এপিবিএন পুলিশের দরকার হবে। এজন্য আগেই জনবল চাওয়া হয়েছে এপিবিএনের পক্ষ থেকে। যাতে তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন হওয়ার পরেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ যাবতীয় কাজে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এডিসি মোহাম্মদ জিয়াউল হক মানবজমিনকে জানান, ‘তৃতীয় টার্মিনালের কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। আমরা নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে ৮৫০ জন জনবল চেয়ে চিঠি দিয়েছি। আবার এও বলেছি যে, এপিবিএনের একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাটালিয়ন তৃতীয় টার্মিনালে দেয়া হয়। এতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বেশি সুসংহত হবে।’
এপিবিএন সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্যতম প্রবেশদ্বার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এ ছাড়াও দেশি ও বিদেশি প্রায় ২৭টি বিমান সংস্থা বাংলাদেশে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের মূল নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব পালন করে থাকে এপিবিএন। ২৪ ঘণ্টাওয়ারি মূল টার্মিনাল ও ডোমেস্টিক টার্মিনালে তারা দায়িত্ব পালন করে থাকে। তবে এখন যে জনবল রয়েছে তাতে তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে তাদের দায়িত্ব পালনে আরও বেগ পেতে হবে। এ ছাড়াও বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজকে কেন্দ্র করে একটি চক্র গড়ে উঠেছে। ডায়মন্ড, শিশু খেলনা, ভিওআইপি পণ্য ও প্রদর্শনকৃত থাই গ্লাস সামগ্রীসহ বিদেশ থেকে আসছে চোরাচালানকৃত পণ্য। এতে মোটা অঙ্কের শুল্ক পাচ্ছে না সরকার।