বাংলারজমিন
সেতু আছে, রাস্তা নেই
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
রাস্তা না থাকায় সেতু ব্যবহার করতে পারছে না মতলব পৌরসভার ১০ গ্রামের মানুষ। চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার চরমুকুন্দি এলাকায় মতলব-বাবুরহাট খালের উপর ৪ মাস আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় লোকজন তা ব্যবহার করতে পারছে না। এতে সেতুর ২ পাশের ১০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি হচ্ছে। মতলব পৌরসভার চরমুকুন্দি এলাকার খালের উপর নির্মিত ওই সেতু বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো পড়ে আছে। এর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নেই। খালে পানি নেই, জমে আছে আবর্জনা। সেতুটির দক্ষিণ দিকে খালের উপর বাঁশের একটি নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় লোকজন চলাচল করছেন। মালামাল আনা-নেওয়াতেও সমস্যা হচ্ছে। চরমুকুন্দি এলাকার বাসিন্দা মো. কামাল মিয়া বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এ এলাকায় একটি সেতু নির্মাণের। অবশেষে সেতু নির্মাণ করা হলো। অথচ সেতুতে উঠানামার জন্য এর দুই পাশে সড়ক নেই। ৪ মাসের বেশি সময় ধরে শুধু শুধু পড়ে আছে সেতুটি। এলাকাবাসীর সামান্যতম কাজে আসছে না এটি। স্থানীয় এলাকাবাসী সফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বলেন, সংযোগ সড়ক না থাকায় চরমুকুন্দি, কদমতলী, কলাদী, নবকলস, উদ্দমদী, চরনিলক্ষ্মী, কাজিরবাজার, মুনছবদি, শোভনকর্দী ও শীলমন্দি এলাকার প্রায় ৩০ হাজার লোক খাল পারাপারে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম খান জানান, মতলব-বাবুরহাট খালের উপর পিআইও’র কার্যালয়ের উদ্যোগে ২০২১ সালে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। নানা প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের জানুয়ারিতে ৫০ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট চওড়া ওই সেতুর নির্মাণ শুরু হয়। গত অক্টোবরে কাজটি শেষ হয়। এতে ব্যয় হয় ৬৮ লাখ টাকা। গোলাম মোস্তফা ও সুকুমার ঘোষ নামের দুই ঠিকাদার নির্মাণ কাজটির দায়িত্ব পান। সরকারি শর্ত অনুসারে, ওই সেতু ও এর সংযোগ সড়ক একইসঙ্গে নির্মাণ করার কথা। সংযোগ সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয় পৌরসভাকে। উপজেলার পিআইও মো. রবিউল ইসলাম খান বলেন, সেতুটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব স্থানীয় পৌরসভার। ওই সড়ক নির্মাণের জন্য পৌরসভাকে তাগাদা দেয়া হচ্ছে। মতলব পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন বলেন, সেতুটির দুই পাশে সড়ক নির্মাণের যে জমি রয়েছে, সেটি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জমি দিচ্ছে না। এ ছাড়া সংযোগ সড়ক নির্মাণের বরাদ্দও আসেনি। এসব কারণে ওই সড়ক নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।