ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

১০ দিনের মধ্য আমেরিকা সফর শুরু করলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

মানবজমিন ডেস্ক

(১ বছর আগে) ২৯ মার্চ ২০২৩, বুধবার, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

mzamin

১০ দিনের মধ্য আমেরিকা সফর শুরু করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। এই সফরে তিনি মধ্য আমেরিকার দেশগুলো ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। সেখানে হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তার। তাইওয়ানের সঙ্গে এখন কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে শুধুমাত্র গুয়াতেমালা এবং বেলিজের। বিশ্বের বাকি সব দেশ তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কিংবা কখনোই দেশটিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে এই দুই দেশ ছাড়া বাকি বিশ্ব তাইওয়ানকে চীনের একটি অঞ্চল হিসেবেই দেখে।

আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয় না। চীনের এই অঞ্চলটি যদিও স্বশাসিত এবং নিজস্ব নীতিতেই চলছে। দ্বীপটির সরকারি নাম ‘রিপাবলিক অফ চায়না’ বা আরওসি। তবে বেইজিং গত ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। চীনের সঙ্গে কোনো দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রথম শর্তই হচ্ছে ‘এক-চীন’ নীতি মেনে নেয়া। 

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এক-চীন নীতি মেনে চললেও তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে।

বিজ্ঞাপন
এমনকি বিচ্ছিন্ন দ্বীপটির কাছে অস্ত্রও বিক্রি করে তারা। আগামী ৩০শে মার্চ মধ্য আমেরিকা সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্রের হাডসন ইনস্টিটিউটে বক্তব্য রাখবেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। আবার মধ্য আমেরিকা সফর শেষে ফিরে যাওয়ার সময় ক্যালিফোর্নিয়ার রোনাল্ড রিগান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতেও একটি বক্তব্য রাখবেন তিনি।

তাইওয়ানের জাতীয় চেংচি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কুই-বো হুয়াং বলেছেন, তাইওয়ানের নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিক সফর করেন না এবং রাজধানী ওয়াশিংটনে যান না। এটা এক ধরনের অব্যক্ত নিয়ম। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্য আমেরিকা সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্রে থামা খুব সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। হুয়াং বলেন, অতীতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টরা প্রকাশ্যে ভাষণ দিতে পারতেন না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সাথে প্রকাশ্যে যোগ দিতে পারতেন না। এখন আর সেই বিষয়টি দেখা যায় না। তারা এখন মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। 

ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ২০১৮ সালে ‘তাইওয়ান ভ্রমণ আইন’ পাস হয়। এরপর থেকে তাইওয়ান এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে দেখা করা আরও সহজ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কও খারাপ হচ্ছে। এর আগে ২০১৬ সালে প্রথম দায়িত্ব নেয়ার পর চার বার যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন সাই। এই সময়ে তিনি রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও এবং টেড ক্রুজের সাথে দেখা করেছেন। প্রতিটি ট্রিপই পূর্বের বারের চেয়ে বেশি আনুষ্ঠানিক হয়ে উঠেছে। যদিও এসব সফরে সীমাবদ্ধতারও শেষ ছিল না।

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

‌‌‘‌আমাদের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা নয়’‌/ আমেরিকাকে সতর্ক করলো উপসাগরীয় দেশগুলো

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status