ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

কালীগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাত আদালতে ধর্ষণ মামলা

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার
mzamin

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা এক যুবতীর গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে দারুশ শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ওই যুবতী। ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলার প্রধান আসামি এএফ রাফাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার অন্য ২ আসামি মিতু ইসলাম ও তার স্বামী সুমনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মামলার বিবরণে জানা গেছে, কালীগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকার ২০ বছর বয়সী ওই যুবতীর সঙ্গে নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা শওকত আলীর ছেলে এএফ  রাফা (২০) নামের এক যুবকের সঙ্গে  প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে রাফা ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিমতলা বাসস্ট্যান্ডে নিজ বাসায় নিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। এতে করে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর সে তার প্রেমিককে জানায় এবং বিয়ের জন্য বললে প্রেমিক রাফা তাকে বিয়ে করে ঘরে তুলে নেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দেয়। অপরদিকে রাফা যশোর কোতোয়ালি থানার লোহাপট্টির বাসিন্দা নিজ ভগ্নিপতি সুমন মিয়া এবং বোন মিতু ইসলামের সঙ্গে গর্ভপাত ঘটানোর ব্যাপারে পরামর্শ করে। সেই অনুযায়ী রাফা তার প্রেমিকাকে নিয়ে কালীগঞ্জ বাজারে কালীবাড়ীর সামনে অবস্থিত  ডা. জহুরুল হক জহর  পরিচালিত দারুশ সেফা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে ডা. রেক্সোনা পারভীনের তত্ত্বাবধায়নে গর্ভপাত ঘটায়।

বিজ্ঞাপন
গর্ভপাত ঘটানো প্রক্রিয়া যথাযথভাবে না হওয়ায় ওই নারীর প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং সে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় ডা. রেক্সোনা পারভীন রোগীকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর আলট্রাসনোগ্রাফি করার জন্য বলেন।  সরকারি হাসপাতাল থেকে পুনরায় ওই রোগীকে দারুশ শেফা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে এসে ডা. রেক্সোসানা পারভীনকে দিয়েই করা হয় আলট্রাসনোগ্রাফি। সেই রিপোর্ট নিয়ে পুনরায় সরকারি হাসপাতালে গেলে সেখানকার ডাক্তার জানান, বাচ্চার কিছু অংশ পেটের ভেতরে আছে। প্রাইভেট ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত গর্ভপাত ঘটানোর কোনো নিয়ম-নীতি না থাকলেও দারুশ শেফা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক রেক্সোনা পারভীন ওই নারীর অসম্পূর্ণভাবে গর্ভপাত ঘটিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেন। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন জানান, এভাবে গর্ভপাত ঘটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সিভিল সার্জন মহোদয়কে জানানো হবে। কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা ধর্ষণ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে আমরা আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

সিন্ডিকেট চক্রের ঈদ বাণিজ্য/ ট্রেনের ১০৫৩ টাকার এসি চেয়ার ২৫০০

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status