ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

ফুলবাড়ীগেট রেলক্রসিংয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প ২৭ মাস ফাইলবন্দি

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার
mzamin

খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেট এলাকার প্রাণকেন্দ্র মহাসড়কের উপর রেল ক্রসসিংয়ের কারণে মহাসড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী চালক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজটের ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রেলক্রসিংয়ের দায়িত্বপালনকারী এক গেটম্যান জানান,  দিবা-রাত্রি ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ বার (ক্ষেত্রবিশেষ কমবেশি) ট্রেন আসা-যাওয়া করে। প্রতিবার ট্রেন আসা-যাওয়ার সময়  কমপক্ষে  ৩-৪ মিনিট রেল ক্রসিংয়ের গেট  বন্ধ রাখা হয়। ৩-৪ মিনিট যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে রেলক্রসিংয়ের দু’পার্শ্বে মহাসড়কের উপর সৃষ্ট যানজটমুক্ত হতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লেগে যায়। মহাসড়কের এ স্থানটি দিয়ে ঝামেলামুক্ত ও দুর্ঘটনা এড়াতে দুই বছরের বেশি সময় ওভারপাস নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) ২০২১ সালের শুরুতে ফুলবাড়িগেট রেলক্রসিং-এ ওভারপাস নির্মাণের একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩শ’ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠিত কন্সালট্যান্ট ফার্ম দিয়ে প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করা হয়। কন্সালট্যান্ট ফার্মের বিশেষজ্ঞরাও ফুলবাড়িগেট রেল ক্রসিং-এ ওভারপাস নির্মাণের প্রয়োজনীতার স্বপক্ষে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। রেল ক্রসিং এর উত্তর, দক্ষিণ ও কুয়েট রোডের  প্রবেশদ্বারের দিকে আধা কিলোমিটার এবং এক কিলোমিটার সাইড উইংসহ মোট দেড় কিলোমিটার জুড়ে ‘ওয়াই লুফ’ আকৃতির ওভার পাসটি নির্মাণের পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রস্তাবনাটি  গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রস্তাবনাটি পাঠানোর পর প্রায় ২৭ মাস কেটে গেছে।

বিজ্ঞাপন
এখনো ফাইলবন্দি অবস্থায় রয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান,  ওই সময়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। কমিটির সদস্যদের সরজমিন প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন ও ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়াদি নিয়ে কেডিএ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে গত দুই বছরেও মন্ত্রণালয় থেকে ওই কমিটির সদস্যরা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে খুলনা সফরে আসেননি।
ফুলবাড়িগেট রেলক্রসিং এ ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের পিডি কেডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী (পূর্ত) মো. আরমান হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে কমিটির সদস্যরা পরিদর্শনে আসার পর আমরা প্রকল্পের ডিপিপি পাঠাবো। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দিলে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবো।
তিনি বলেন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) মাস্টার প্ল্যানের আওতাভুক্ত ফুলবাড়িগেট  এলাকার কিছু জমির মালিকদের ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র (প্ল্যান পাস) দেয়া বন্ধ রেখেছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। মহাসড়কের পাশে বাণিজ্যিক এলাকায় মূল্যবান এসব জমিতে প্ল্যানপাস না পাওয়ায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকরা।

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status