বাংলারজমিন
দেবে যাওয়া ডাকবাংলোর সেতু চালু ভাঙা পড়ছে গুদামের সেতু
২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের নলজুর নদীর ‘ডাকবাংলো সেতু’ ১১ মাস পর সংস্কার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে এ সেতু দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল শুরু করেছে। গেল বছরের ১৭ই এপ্রিল সেতুটি দেবে গেলে ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অবণর্নীয় ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয়রা। গত কয়েকদিন আগে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে কয়েকটি পাটাতন এনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সংস্কার কাজ করে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কার্যালয়। ২৩শে মার্চ কাজ শেষ হয়েছে। এদিকে গতকাল সদরের অপর প্রধান নলজুর নদীর গুদামের সেতুটি নতুন করে নির্মাণ কাজের জন্য ওই সেতু ভাঙার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়বেন উপজেলাবাসী। তবে দুর্ভোগ লাঘবে বিকল্প সেতু হিসেবে হেলিপ্যাড এলাকায় নতুন করে ডাইভারশন সেতু তৈরি করা হয়েছে। এ সেতু দিয়ে ছোট ছোট যান চলাচল করতে পারবে। ডাকবাংলো ও ডাইভারশন সেতু দিয়ে একমুখী যানচলাচল করার জন্য স্থানীয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ডাকবাংলো সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে মেরামত সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন থেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এ ছাড়া গুদামের সেতু নির্মাণের জন্য ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। জনভোগান্তির এড়াতে ডাকবাংলো ও ডাইভারশন সেতু দিয়ে একমুখী যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ দুই সেতু দিয়ে সকলধরনের ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে জনসাধারণের দুর্ভোগ কমবে। প্রসঙ্গত, ডাকবাংলো সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিতে ছিল। ঝুঁকি নিয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের যান চলাচল করে আসছিল। গত বছর নলজুর নদীর খননকালে সেতুর নিচ থেকে মাটি উত্তোলন করায় ১৭ই এপ্রিল রাতে সেতুটি দেবে যায়। অন্যদিকে সদরের অপর ঝুঁকিপূর্ণ গুদামের সেতু নতুন করে নির্মাণের জন্য ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। এ সেতুটি রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিল সেতুর আদলে এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে। কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জের মেসার্স ভাটিবাংলা এন্টারপ্রাইজ। সেতুটি হবে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের। সেতুর দুই পাশে ফুটপাথ থাকবে। রাতে সেতু ও সেতুর আশপাশের এলাকা আলোকিত করতে বিশেষ লাইটিং থাকবে।