বাংলারজমিন
জলাবদ্ধতার কবলে কেন্দুয়ার মাছুয়াইল হাওর, বিপাকে কৃষক
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাছুয়াইল হাওর পানিতে টইটুম্বুর করছে। ফলে সহস্রাধিক হেক্টরের এ হাওরে আবাদ করা বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন হাজারো কৃষক। হাওরের পানি নিষ্কাশনে স্থায়ী ও টেকসই ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। জানা গেছে, এই হাওরটি একটি ফস?লি হাওর। এ হাওরে কৃষকের প্রায় কয়েক হাজার হেক্টরের জমি রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকশ’ হেক্টর জমিতে সারা বছর পানি থাকে। বাকি জমিতে বোরো ধান চাষ হয়। ত?বে নিষ্কাশ?নের সু?বিধা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে ধান নষ্ট হয়ে যায়। সরজমিন দেখা গেছে, হাওরের বেশির ভাগ জমিতে চাষ করা হয়েছে বোরা ধান। বৃষ্টির পানিতে হাওরের অনেক জায়গায় বোরো ক্ষেত ডুবে গেছে। অনেকে বাধ্য হয়ে ডুবন্ত ধান কেটে নেয়ার চেষ্টা করছেন। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চারদিক থেকে বৃষ্টির পানি এই হাওরে নামে। এই পানি নিষ্কাশন হয় রঙ্গিখালী নামে একটি খাল দিয়ে। ওই খাল দিয়ে পানি যায় খাকিনা বিলে। খাকিনা বিল থেকে বেতাই নদীতে পানি পতিত হয়। যে কারণে অল্প বৃষ্টিতেই মাছুয়াইল হাওরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আর সারা বছর জলাবদ্ধতা থাকে। তবে অনেকেই বলেছেন খাকিনা বিলের পানি সময়মতো নিষ্কাশন হলে মাছুয়াইল হাওরের জলাবদ্ধতা থাকবে না।
রোয়াইলবাড়ি ইউপি’র কৈলাটী গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, তাদের দুই একর জমি রয়েছে এই হাওরে। এবার সময়মতো পানি কমে যাওয়ায় সব জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছিলেন। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তার বেশির ভাগ জমি ডুবে গেছে। পানি সময়মতো না সরাতে পারলে তার মতো বহু কৃষকের সর্বনাশ হবে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান আকন্দ জানান, সামান্য বৃষ্টি হলে মাছুয়াইল হাওরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। প্রতি বছরেই এই এলাকার কৃষকরা তাদের বোরো ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান কবির বলেন, হাওরের বোরো জমি ডুবে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। জলাবদ্ধতার কার?ণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সময়মতো হাওরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করতে পারলে তেমন ক্ষতি হবে না বলেও জানান তিনি।