নড়াইলে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ না নেয়ায় সংবাদ সম্মেলন

হাইকোর্টের আদেশ থাকা সত্ত্বেও নড়াইল সদরের আউড়িয়া গ্রামে মেসার্স রুপা ব্রিকস ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল সকালে আউড়িয়া এপিবিএসএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও আউড়িয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি এই সংবাদ সম্মেলন করেন। আউড়িয়া এপিবিএসএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও আউড়িয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. মাসুদ সিকদার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান, আউড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ওসমান গণি, আতিকুর রহমান প্রিন্স প্রমুখ। অপরদিকে মেসার্স রুপা ব্রিকসের মালিক মো. মুক্ত শেখ দাবি করে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করেছেন, মহামান্য আদালত আপিল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও আউড়িয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. মাসুদ সিকদার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, মেসার্স রুপা ব্রিকস ইটভাটাটি আউড়িয়া গ্রামের ঘনবসতি এলাকায় অবস্থিত। ইটভাটার ২৫০ মিটারের মধ্যে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫০০ মিটারের মধ্যে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫০ মিটারের মধ্যে ঈদগাহ, কবরস্থান, মাদ্রাসা ও মসজিদ অবস্থিত। মেসার্স রুপা ব্রিকসের অবৈধ নছিমন ট্রাক্ট্রর কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে চলাচল করছে। বছর দুই আগে আউড়িয়া গ্রামের গফফার মোল্যার ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র রানা মোল্যা এ অবৈধ গাড়ির চাপা পড়ে নিহত হয়েছে। শুকনো মৌসুমী ইটভাটার কারণে ধূলাবালি ও বর্ষার সময় কাদা সৃষ্টি হয়। এ সব কারণে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় হাইকোর্টে ১১৮১/২০২৩ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন।

উভয় পক্ষে শুনানি শেষে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬ তারিখে উক্ত ইটভাটা বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক নড়াইল, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর নড়াইল ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আদেশ প্রদান করেন। উক্ত আদেশের কপি অনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত কর্মকর্তাগণ পেলেও আজও পর্যন্ত উক্ত ইটভাটা বন্ধের জন্য কোনো কার্যক্রম করেন নাই বলে অভিযোগ করেন। অপরদিকে মেসার্স রুপা ব্রিকসের মালিক মো. মুক্ত শেখ দাবি করে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করেছেন, আদালত  আপিল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছেন। তবে তিনি হাইকোর্টে আফিলের কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি।