বাংলারজমিন
চিরিরবন্দরে শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
২৪ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, জড়িয়ে ধরে চুমু দেয়া, নিয়মিত মাদক সেবন, অশালীন আচরণ, বিদ্যালয় চত্বরে প্রকাশ্যে ধুমপান, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণসহ বিভিন্ন কারণে চিরিরবন্দর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল আলম ওরফে (মার্শাল)কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই সহকারী প্রধান শিক্ষককে পরপর কয়েকবার কারণ দর্শানোর নেটিশ দেয়ার পরেও তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এ ছাড়াও ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২২৯ জন শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জনের চিঠি দিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবরে আবেদন করেন। প্রধান শিক্ষক দ্রুত ম্যানেজিং কমিটির সভা আহ্বান করেন এবং ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করে সত্যতা পাওয়ায় রিপোর্ট প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন ও শিক্ষকতা পেশাকে অমর্যাদা করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাকরিবিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি স্কুল ভবনের তৃতীয় তলায় জনৈক ছাত্রীকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ১৮ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড ধরে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এ ছাড়াও গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের বার্ষিক বনভোজনে স্বপ্নপুরী থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যা হয়ে গেলে চালককে গাড়ির লাইট বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে জনৈক ছাত্রীর সঙ্গে এক সিটে বসে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ, জড়িয়ে ধরে চুমু দিয়ে অসদাচরণ ও যৌন হয়রানি করেন। এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম ওরফে মার্শালের মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্যবৃন্দ সাময়িক বহিষ্কারের সত্যতা স্বীকার করেন এবং প্রধান শিক্ষক মো. মাহতাবউদ্দিন সরকার জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, ছাত্রীর অভিযোগসহ বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।