বাংলারজমিন
বড়লেখায় দিনমজুর হত্যা মামলায় বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৪ মার্চ ২০২৩, শুক্রবারমৌলভীবাজারের বড়লেখায় জাবলু আহমদ (২২) নামে এক দিনমজুর হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোর ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গুটমা-গুচ্ছগ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেনÑ হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি উজ্জ্বল মিয়া (২৫) ও ৪ নম্বর আসামি তার বাবা মনু মিয়া (৬০)। আসামিদের বাড়ি নাসিরনগরের গুটমা-গুচ্ছগ্রামে হলেও বর্তমানে তারা বড়লেখা উপজেলার মহদিকোনা আশ্রায়ণ কেন্দ্রে বসবাস করেন। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল দুপুরে বাবা-ছেলেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ৯ই মার্চ ছেলেকে হত্যার অভিযোগে নিহত জাবলুর বাবা শহীদ আহমদ উপজেলার মহদিকোনা আশ্রায়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা কাজল মিয়া, সজল মিয়া, উজ্জ্বল মিয়া ও তাদের বাবা মনু মিয়া এবং মহদিকোনা গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে আলী আহমদ ও জবরিল মিয়ার নামোল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার মহদিকোনা আশ্রায়ণ কেন্দ্রের সামনে কাজের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সজলের সঙ্গে জাবলুর কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সজলের ভাই কাজল, উজ্জ্বল ও তাদের বাবা মনু মিয়া জাবলুর ওপর হামলা চালান। তখন কাজল মিয়া তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে জাবলুর বুকে আঘাত করেন। একইভাবে সজল মিয়া ধারালো চাকু দিয়ে জাবলুর পেটে আঘাত করেন। এ সময় অপর আসামি উজ্জ্বল মিয়া, মনু মিয়া, আলী আহমদ, জবরিল মিয়া লাঠি দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে জাবলুকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে জাবলু মাটিতে পড়ে গেলেও আসামিরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে জাবলুর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আসামিদের কবল থেকে জাবলুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাবলুকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে কিছুটা সুস্থ হলে স্বজনরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর আবারো জাবলুর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে পুনরায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ই মার্চ রাত ১০টায় জাবলু মারা যান। এই ঘটনায় নিহত জাবলুর বাবা শহীদ আহমদ থানায় ৬ জনের নামোল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।