বাংলারজমিন
অষ্টগ্রাম হাওরে ২৩ কিলোমিটার বাঁধের কাজে চলমান ৭৫ শতাংশ, তদারকিতে পিআইসি’র সভাপতি
অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বুধবারপ্রতি বছরই আগাম বন্যায় জমির ফসল সঠিক সময়ে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। তাই এবার কিশোরগঞ্জের হাওরে আগাম বন্যার পানি থেকে বোরো ধান রক্ষায় নতুন করে ১৭৪ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। জেলার ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামসহ ৯টি উপজেলায় এসব বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক হাওর অঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ/মেরামত কাজ বাস্তবায়নের জন্য চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে কাবিটা নীতিমালা-২০১৭ মোতাবেক বাঁধ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। জেলার ৯টি উপজেলায় ১৪৭টি পিআইসি’র মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৭ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৭৫ ভাগ। এলাকার লোকজন বাঁধ নির্মাণ কাজের মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
কিশোরগঞ্জ অষ্টগ্রাম উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সেলিম মিয়া জানান, অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১ কোটি ৩২ লাখ টাকায় ২৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাঁধ নির্মাণে উপজেলা পিআইসি’র সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো হারুন অর-রশীদ বাঁধগুলো নির্মাণে তদারকিসহ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, গত বছর দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হওয়ায় হাওরের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসীর চাহিদার প্রেক্ষিতে এবার পিআইসি’র সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অষ্টগ্রামে কিছু কিছু প্রকল্পে ইতিমধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই বাকি কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইন) আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তাই আশা করছি, আগাম বন্যা হলেও জমিতে পানি ওঠার আগেই কৃষক তার ধান কেটে গোলায় তুলতে পারবে।