বাংলারজমিন
থানা থেকে আওয়ামী লীগ নেতার পালানোর ঘটনায় ওসি স্ট্যান্ডরিলিজ
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
১৪ মে ২০২৫, বুধবারফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা পালানোর ঘটনায় ওসি হারুন অর রশিদকে স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিক বদলি) করা হয়েছে । সোমবার (১২ মে) রাতে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। তার আগে দুপুরে আটকের পর থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান নাসির উদ্দিন (৫১) নামে আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরে অবশ্য নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
পুলিশ ও স'ানীয় সূত্রে জানা যায়, নাসির উদ্দিন একজন ব্যবসায়ী। আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কে তার টিনের দোকান রয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে তার নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নাসির উদ্দিনের বড় ভাই স'ানীয় বাকাইল মাদরাসার ব্যবস'াপনা কমিটির সভাপতি নবাব আলীকে ধরে থানায় নিয়ে আসে।
থানা থেকে পালিয়ে গোপালগঞ্জ চলে যান আওয়ামী লীগ এর নেতা। পরে তিনি ১৩ই মে মঙ্গলবার সকালে স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এ বিষয়ে নাসির উদ্দিনের ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতি করেন এটা ঠিক। কিন' তিনি কোনো মামলার আসামি না। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার ভাইকে পুলিশ থানায় নেওয়ার পর তিনি ভয় পান এবং থানা থেকে পালিয়ে যান। পরে আমার আরেক ভাইকে আটক করে পুলিশ। পরে আমাদের সিদ্ধান্তে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এখন তিনি থানায় আছেন।’
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মৌখিকভাবে স্ট্যান্ড রিলিজের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কাগজপত্র পাইনি। এর সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, নাসির উদ্দিন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সোমবার তাকে আটকের পর থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ থেকে তাকে ধরে আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে আমাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কাউকে ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আমাকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতেই আলফাডাঙ্গা ছেড়ে পুলিশ লাইনসে যোগদান করেন।