খেলা
ফটোসেশনে কেন নেই ঢাকার কোচ ভাস
স্পোর্টস রিপোর্টার
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বুধবার
শেষ ম্যাচের আগে ঢাকা ডমিনেটর্সে ফের অসন্তোষ দেখা দেয়। আগের রাতেই গুঞ্জন ছিল দলটির ক্রিকেটাররা চলতি আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে চান না। তবে চট্টগ্রামের বিপক্ষে মাঠে আসেন তারা। কিন্তু শুরুতেই তৈরি হয় জটিলতা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) বাইলজ অনুযায়ী কমপক্ষে দু’জন বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর কথা থাকলেও তারা একাদশে নাম দিয়েছিলেন একজনের। পরে অবশ্য ম্যাচ রেফারির আপত্তিতে দুই জনের নাম দেন। তা নাহলে ফিল্ডিং করতে হতো ১০ জনের। চট্টগ্রামের ১১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তারা হারে ১৫ রানে। এরপরই তাদের অফিসিয়াল ফটোসেশন শুরু হয়। যা করার কথা ছিল ম্যাচের পূর্বেই। কিন্তু পরে সেই ফটোসেশনে ক্রিকেটাররা থাকলেও অংশ নেননি প্রধান কোচ চামিন্ডা ভাস। কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে নিয়ম অনুসারে পারিশ্রমিক না পাওয়াতে শ্রীলঙ্কান এই লিজেন্ড ক্রিকেটার দলের ফটোসেশনে আসেননি। তবে ক্রিকেটাররা ঠিকভাবেই পারিশ্রমিক পেয়েছেন বলেই জানান দলের অধিনায়ক নাসির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় অনেক প্লেয়ার ৭৫ শতাংশ পেয়েছে, আমিও পেয়েছি, আরও ২৫ শতাংশ বাকি আছে। যখন কথা হয়েছে, তারা বলেছে, আমার মনে হয় চুক্তিতেই এমন আছে, বিপিএল শেষ হলে বাকি এক মাসের মধ্যেই বাকি পেমেন্ট দিয়ে দেবে। প্রথম পেমেন্টটা পেতে আমাদের একটু দেরি হয়েছে, তারপর তিনটা পেমেন্ট খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে গেছি।’ তবে ভাস কেন আসেননি তা নিয়ে দলটির কেউই মুখ খোলেননি! শুধু তাই নয় দলের ভালো বিদেশি ক্রিকেটার না আনা নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। এ বিষয়ে নাসির হোসেন বলেন, ‘আরও ভালো বিদেশি আমরা আনতে পারতাম। আমার কাছে মনে হয় দলটা একদম শেষ মুহূর্তে করেছে। উনারা (মালিকপক্ষ) একদম অনভিজ্ঞ। উনাদের কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না যে দল কেমন করা উচিত, দলে কী ধরনের ক্রিকেটার দরকার। এদিক থেকে একটু পিছিয়ে ছিলাম। একটা বছর গেল। এটা যদি পরের বছরও থাকে, আরও ভালো পরিকল্পনা করে দল করতে হবে। আমার সঙ্গে পরামর্শ করেছে। আমি কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম বলেছিলাম। তবে তারা খেলার জন্য ফ্রি ছিল না। এখন সব জায়গায় খেলা হচ্ছে। যে কারণে সবাইকে পাওয়া যায়নি। যাদের পেয়েছে তাদের আনা হয়েছে।’ বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি নাসির হোসেন। ব্যাট হাতে করেছেন সাড়ে তিনশর বেশি রান। আর নেতৃত্বও দিয়েছেন দলের। নেতৃত্ব ও নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমি সবসময় অধিনায়কত্ব উপভোগ করি। সবসময় দলের ভালোর জন্যই সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি। হয়তো অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত হয় বা ভুল কিছু হয়। আমি আমার তরফ থেকে শতভাগ চেষ্টা করি যেন দলের ভালো হয়। আমি খুশি হতাম যদি দল ভালো করত। যেহেতু ফল আসেনি তাই আমি খুশি নই। আমার দল সেরা চারে থাকলে বলতে পারতাম খুশি। নিজের পারফরম্যান্স আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমি বলব যে, ভালো পারফরম্যান্স হয়েছে। তবে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। যেমন আজকের ম্যাচটায় আমি জিতিয়ে বের হতে পারলে আরেকটু ভালো লাগতো।’