ভারত
সংকটের সাতকাহন (২)
আদানিরা কোমর বাঁধছে ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলো নিয়ে
(৭ মাস আগে) ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বুধবার, ১০:০১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:১৬ অপরাহ্ন

(আদানি সাম্রাজ্যের পতন নাকি ভারতের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ? যাই হোক না কেন থেমে থাকছে না আদানিদের প্রকল্প। আজ ধারাবাহিকের দ্বিতীয় কিস্তি )।
বেঙ্গল গ্লোবাল সামিটে বরাবরই এসে থাকেন আদানি সাম্রাজ্যের অধিশ্বর গৌতম আদানি। এবারও এসেছিলেন। সামিটে তাঁর দৃপ্ত ঘোষণা, ১০ বছরে বাংলায় আদানিরা ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। রাজারহাটের বাণিজ্য হাব, দেউচা পাচামির কয়লা প্রকল্প কিংবা তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন প্রকল্প এর আগেই আদানিদের হস্তগত হয়েছে। আদানিদের ভয়াবহ পতনের পর এই প্রকল্প গুলির ভবিষ্যৎ কি হতে পারে? এই প্রশ্নের জবাব বোধহয় একটি ঘটনায় নিহিত আছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলের কমার্শিয়াল বন্দর হাইফাতে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার এ স্বাক্ষর করেছেন গৌতম আদানি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহোর সঙ্গে ছবির পোজ দিয়েছেন। এই ঘটনাই প্রমাণ করে দেয় বাণিজ্যিক স্বার্থ যেখানে সেখানে কোনও আপস করেন না গৌতম আদানি কিংবা আদানিরা।
একই কারণে ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানিদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে স্পেশাল ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে আদানিদের বাংলাদেশে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পৌঁছানোর প্রকল্পেও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর যখন বাংলাদেশে গ্যাস এবং কয়লার অভাব দেখা গিয়েছিলো। তখনই আদানির দৃষ্টি পড়েছিল বাংলাদেশের দিকে। মৃগয়া ক্ষেত্র ছাড়তে চাননি আদানি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দিল্লি সফরে এসেছিলেন তখনই তাঁর সঙ্গে দেখা করে চুক্তি পাকা করেন আদানি। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড কিংবা শ্রীলংকার মতোই এই বিদেশী মৃগয়া ক্ষেত্র সঙ্গত এবং বাণিজ্য কারণেই ছাড়তে চাইবেন না আদানিরা তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। দেউচা পাচামি বিশ্বের দ্বিতীয় কোল ব্লকের খনি। মাটির নিচে এক হাজার ১৯৮ মিলিয়ন টন কয়লা এবং ১৪০০ মিলিয়ন টন বাসাল্ট আছে এখানে। আদানিরা কি এই কয়লা, এই বাসাল্ট ছেড়ে দেবেন? তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ নির্ভর করছে দেউচাতে দ্রুত কয়লা ব্লক উত্তোলনের কাজ শুরু হওয়ার ওপর। সুযোগসন্ধানী আদানিরা জানে ব্যবসা কিভাবে করতে হয়। তাই, এই পরণেও তারা অবিচল তাদের প্রকল্পগুলি নিয়ে।
মঙ্গলবার গৌতম আদানি তাঁর হৃৎ সম্মান কিছুটা ফিরে পেয়েছেন আদানি এন্টারপ্রাইজে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়ায়। তিনি বিশ্বের ধনী তালিকায় ১১ নম্বরে নেমে গেছেন। তাঁর পরিচালিত এনডিটিভি থেকে এক্সিকিউটিভ এডিটর নিধি রাজদান কিংবা শ্রীনিবাস জৈনের মতো দুদে সাংবাদিক ইস্তফা দিলেও আবুধাবির একটি ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং কোম্পানি পরিত্রাতা হয়েছে আদানিদের। আর তাই আদানিরা কোমর বাঁধছে ভবিষ্যৎ প্রকল্প গুলি নিয়ে। এত পতনের পরও বেঙ্গল গ্লোবাল সামিটে আদানির ভাষণটির উল্লেখ করা যেতে পারে- আমার জীবনে কাল বলে কোনও শব্দ নেই। আজ এবং আজই। আমার প্রকল্প থেমে থাকে না। দিনের আলো দেখেই। (চলবে)
মন্তব্য করুন
ভারত থেকে আরও পড়ুন
ভারত সর্বাধিক পঠিত
বাইডেন-মোদির বৈঠক/ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা হলেও বাংলাদেশ স্থান পায়নি
ভারতীয় সংবাদপত্রের খবর/ বাংলাদেশের নির্বাচন সংকটে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]