অনলাইন
ভারতের বন্দরেও ভিড়তে পারেনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞাভুক্ত সেই রুশ জাহাজ!
মিজানুর রহমান
(২ মাস আগে) ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩১ পূর্বাহ্ন

পণ্য খালাস না করেই ভারতের জলসীমা ত্যাগ করেছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত সেই রুশ জাহাজ। পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল খালাসে ১৪ দিন অপেক্ষা করেছে জাহাজটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিল্লির অনুমতি না পাওয়ায় ফিরে গেছে। সেগুনবাগিচা বলছে, ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে হয়ত নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজটিকে ভারত তাদের বন্দরে ভিড়তে দেয়নি। যদিও হলদিয়ায় ভিড়তে দিবে এমন সিগন্যাল ছিল। এক কর্মকর্তা অবশ্য মধ্যরাতে মানবজমিনকে বলেন, ধারণা অমূলক হবে না, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সফরের পর দিল্লি হয়ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। বহুল আলোচিত ওই জাহাজকে গ্রহণে বাংলাদেশ এবং ভারত উভয়ের প্রতি অনুরোধ ছিল রাশিয়ার। এটি না হলে ঢাকার সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক নষ্টের হুমকি ছিল।
দিল্লির সঙ্গে মস্কোর বোঝাপড়া অবশ্য স্বতন্ত্র। কিন্তু এতদসত্ত্বেও জাহাজটিকে পণ্য খালাস না করেই ফিরতে হচ্ছে! নিশ্চিতভাবে এখানে নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটনের নতুন সমঝোতার ইঙ্গিত রয়েছে। উল্লেখ্য, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে ভিড়তে না দেয়া রুশ জাহাজ রূপপুরের সরঞ্জাম নিয়ে ভারতের হলদিয়া বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে মর্মে খবর দেয় বিবিসি বাংলা।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান আগেও যা ছিল, এখনো তা–ই। ভারতের সেই নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। রুশ জাহাজটি যদি ভারতের কোনো বন্দরে ভিড়ে থাকে বা ভিড়তে আসে, তাহলে তা–ই।’ তবে হলদিয়া বন্দরে জাহাজটির পণ্য খালাসের বিষয়ে জানতে সে সময় দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিবিসি, তারা অবশ্য তখন কোনো (সে সময়) সাড়া পায়নি। স্মরণ করা যায়, রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটির ২৪ ডিসেম্বর মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। তার আগে ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানতে পারে যে উরসা মেজর নামধারী জাহাজটি আসলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ‘স্পার্টা ৩’। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এক কূটনৈতিক পত্রে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়। তাতে বলা হয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ওই জাহাজে পণ্য ওঠানো-নামানো, জ্বালানি সরবরাহ, জাহাজের নাবিকদের যেকোনো ধরনের সহযোগিতায় যুক্ত হলে ওই দেশের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া বা বড় আর্থিক দণ্ডের মুখে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথ্যটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে জানায়। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় জাহাজটিকে বাংলাদেশের কোনো বন্দরে ভিড়তে দিতে রাজি হয়নি। তারা পূর্বের অনুমতি বাতিল করে। যদিও এ নিয়ে রাশিয়া কূটনৈতিক চিঠির মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে। এমনকি জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে দিতে বাংলাদেশের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে মস্কো। কিন্তু ঢাকা তাতেও রাজি হয়নি বরং জাহাজটিকে ফিরে যেতে বাধ্য করে।
পাঠকের মতামত
চীন হয়ে বাংলাদেশে আসতে সম্যসা কি?
বাংলাদেশ সরকার ফেঁসে গেছে।
ভারত কূটনৈতিকভাবে যেমন দক্ষ তেমন জাতে মাতাল তালে ঠিক। নিজের স্বার্থ বিলিয়ে দিয়ে তৃতীয় কোন দেশকে কোন দিন সাহায্য করবেনা এটা নিশ্চিত।
India buying n bringing everything fm Russia for them defying American sanction, and America didn't do anything for India's defyance. But for BD n for only one time, no no no..... Mr. FM - whete did your husband-wife relation go?? Why it is not working now? Do we hv to be reminded that ' A friend in need is a friend indeed'. India was not n will never be our 'true' friend, sooner the better we understand this bitter 'truth'.
দুনিয়ার সবচাইতে বড় ভন্ড ৪ টি দেশ আমেরিকা, ইসরাইল, ব্রিটেন!!
আমি যতদূর জানি রাশিয়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এক বিরাট ভূমিকা রেখেছিল। এমনকি ভারত যখন ভাবছিলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারি অস্ত্র সরবরাহ করবে না তখন রাশিয়াই বাংলাদেশকে সকল ধরনের ভারি অস্ত্র সরবরাহ করে। আমেরিকা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে। আর আমেরিকা তাদের সপ্তম নৌবহর পাঠায় বাংলাদেশের যুদ্ধের বিপক্ষে। আর ঐ সপ্তম নৌবহর যদি রাশিয়া অষ্টম নৌবহর দিয়ে না ঠেকাতো তাহলে হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্ভব হতোনা
Good Morning! India denied the American sanction for their own business & they never do it for Bangladesh. Bangladeshi fool peoples should understand it clearly! India never helped us without any interest. Some Bangladeshi Indian Dada feel bad by this message.
আমেরিকার যতরকম নিষেধাজ্ঞা সবই নিজের স্বার্থে। গনতন্ত্র, মুক্ত চলাচল ও মানবাধিকার কথার কথা। আমাদের দেশে এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় তারা গনতন্ত্রের ও মানবাধিকারের কথা বলে। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে কী গনতন্ত্র আছে? মধ্যপ্রাচ্যে তাদের তেলের স্বার্থ। তাই মধ্যপ্রাচ্যে গনতন্ত্র না থাকলে সমস্যা নেই। চীন ও রাশিয়ার অর্থে বাংলাদেশের উন্নয়ন আমেরিকার চক্ষুশূল। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশ আমেরিকার জন্য চ্যলেঞ্জ নয়, কিন্তু চীন ও রাশিয়া চ্যলেঞ্জ। আমাদের মতো দেশের ক্ষতি করে আমেরিকা মাতব্বরি করছে। এটা মানা যায় না।
আমেরিকা তার প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী এখনও রাশিয়া থেকে কিনছে । এমন কি চীন থেকেও। যত আপত্তি অন্য দেশের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করছে । পারমানবিক কেন্দ্রের পণ্য বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। এক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ অন্যায্য।
Alhamdulillah!
ঠেলার নাম বাবাজী। পরবর্তী ঠেলা সামলানোর প্রস্তুতি নিন।
দাদা .....
ভারত বাংলাদেশ কে উপকার করছে। এটা ভারতে মিডিয়া যেভাবে প্রচার করেছে! আমাদের মনে হয়েছে তারা যেন কি করে ফেলেছে বাংলাদেশের জন্য? এখন ভারতের মুখে ছাই পড়ল না?
যোদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়ার জাহাজে মাল আসছে এটি কখনো বন্ধ হয় নি কিন্তু বাংলাদেশের জন্য রাশিয়ার মালবাহী জাহাজ থেকে কলকাতা বন্দর থেকে মাল খালাস না করে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতেরই সিদ্ধান্ত। আসলে ভারত চায়না এ মাল বাংলাদেশে আসুক।
বাংলাদেশ সরকার ফেঁসে গেছে। আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য রুপপুর প্রকল্পের সরঞ্জাম নাকি আমরা নিতে পারছিনা, আমরা রাশিয়ার কাছে কিনেছি রাশিয়া আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে অথচ মাঝখানে আমেরিকা আসছে, এখানে বাংলাদেশ সরকারের উচিত আমেরিকা কে বর্জন করে দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে যত তাড়াতাড়ি পারা যায় চট্টগ্রাম এ পন্য খালাশ করা।