ভারত
নিউজ চ্যানেলের সঞ্চালকদের আরও বেশি সচেতন হতে বললো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
বিশেষ সংবাদদাতা
(২ বছর আগে) ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২১ অপরাহ্ন

ভারতে রাজনীতিবিদরা যেভাবে হেট্ স্পিচ বা ঘৃণা ভাষণ ছড়াচ্ছেন তাতে অবিলম্বে আইন প্রণয়ন করে তা বন্ধ করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট এই মর্মে পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্তেও পৌঁছেছে যে টেলিভিশনের টকশোকে হাতিয়ার করে হেট্ স্পিচ ছড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। তাই নিউজ চ্যানেলের সঞ্চালকদের আরও বেশি দায়িত্বসচেতন হওয়ার পারামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উস্কানি না দিয়ে হেট্ স্পিচ কেউ দেয়ার চেষ্টা করলেই তাকে থামিয়ে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে, টিভি চ্যানেলের বাইরেও যেভাবে ভাষা সন্ত্রাস চলছে, যেভাবে হেট্ স্পিচ এর সংখ্যা বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন ভারতীয় ল কমিশন অবিলম্বে আইন প্রণয়নের পক্ষপাতী। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং ঋষিকেশ রায় কে নিয়ে গড়া ডিভিশন বেঞ্চ ল কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী হেট্ স্পিচ কে বিষের সঙ্গে তুলনা করে টিভি চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রকাশ্য সভায় হেট্ স্পিচ বন্ধ করার জন্যে আইন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। যেভাবে কর্মস্থলে যৌন নির্যাতন বন্ধ করতে বিশাখা আইন আনা হয়েছিল ঠিক সেই ভাবে হেট্ স্পিচ বন্ধ করতে দ্রুত আইন আনার কথা বলা হয়েছে। এখন হেট্ স্পিচ সংক্রান্ত অভিযোগ এলে পুলিশ ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের ১৫৩ এ কিংবা ২৩৫ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। ল কমিশনের সুপারিশ, এই সঙ্গে যুক্ত হোক ১৫৩ সি ধারা। এই ধারায় হেট্ স্পিচ কেউ দিলেই তাঁকে দুবছরের জেল এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করার ব্যবস্থার নির্দেশ আছে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে। কিন্তু কে বিচার করবে হেট্ স্পিচ দেওয়া হয়েছে কিনা। সুপারিশ করা হয়েছে এস পি পদমর্যাদার একজন করে নোডাল অফিসার প্রত্যেক জেলায় নিয়োগ করার জন্য। চোদ্দটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ল কমিশন এই সুপারিশ পাঠিয়েছে। এখন দেখার, রাজ্যগুলি কি প্রতিক্রিয়া জানায়। রাজনীতিবিদরা তো বটেই সাধারণ মানুষও যদি ধর্ম, জাতি, বর্ণ, যৌনতা এবং যৌন চরিত্র, সম্প্রদায় নিয়ে কথা বলে তাহলে তারাও এই আইনে পড়বে।