খেলা
ইসরাইলের হামলায় প্রাণ গেলো ফিলিস্তিনি ফুটবলারের
স্পোর্টস ডেস্ক
৫ জুলাই ২০২৫, শনিবারইসরাইলের চলমান আগ্রাসনে প্রাণ হারালেন ফিলিস্তিনের এক ফুটবলার। মুহান্নাদ আল লেলে নামের এ ফুটবলারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ফিলিস্তিন ফুটবল এসোসিয়েশন।
গত সোমবার সেন্ট্রাল গাজার আল-মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে নিজের বাসায় ইসরাইলি বোমা হামলায় আহত হয়ে পরে মৃত্যুবরণ করেন মুহান্নাদ। ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘সোমবার একটি ড্রোন মুহান্নাদের বাসার তৃতীয় তলায় আঘাত হানে। এ আঘাতে তার (মুহান্নাদ) মাথায় মারাত্মকভাবে রক্তক্ষরণ হয় এবং মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।’ সংবাদমাধ্যম ‘মিডল ইস্ট আই’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, মুহান্নাদ আল-লিলি গাজা ছেড়ে স্ত্রীর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যিনি গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলা শুরুর আগে নরওয়েতে চলে যান। সেখানেই তার সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু দেখা হয়নি বাবা মুহান্নাদের সঙ্গে। স্থানীয়ভাবে পরিচিত ফুটবলার মুহান্নাদ ফিলিস্তিনি ক্লাব খাদামাত আল-মাঘাজির হয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৬-১৭ মৌসুমে তিনি ফিলিস্তিন প্রিমিয়ার লীগে দলটির অধিনায়কত্ব করেন। এরপর মাঘাজি ছেড়ে শাবাব জাবালিয়াতে যোগ দেন মুহান্নাদ। এ ক্লাবের হয়ে তিনি দুটি মৌসুম খেলেন এবং ২০১৮-১৯ মৌসুমে দলকে দ্বিতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করতে সহায়তাও করেন। শাবাবে সাফল্য পাওয়ার পর মুহান্নাদ যোগ দেন গাজা স্পোর্টস ক্লাবে। কিন্তু লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে দলকে থেকে ছিটকে যান তিনি। এরপর তিনি আবার নিজের প্রথম ক্লাব খাদামাতে আল-মাঘাজিতে ফিরে আসেন। ফিলিস্তিন ফুটবল এসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর এখন পর্যন্ত ৫৮৫ ক্রীড়াবিদ মৃত্যুবরণ করেছেন। যাদের মধ্যে ফুটবল অঙ্গনেরই ছিলেন ২৬৫ জন। এদিকে ইসরাইলি আগ্রাসনে একের পর এক ক্রীড়াবিদদের মৃত্যুর পাশাপাশি ক্রীড়া স্থাপনাও ব্যাপকভাবে ধ্বংস হওয়ার কথা জানায় ফিলিস্তিন ক্রীড়া ফেডারেশন (পিএফএ)।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘দখলদার বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হওয়া ক্রীড়া স্থাপনার সংখ্যা এখন ২৬৪ তে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১৮৪টি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। আর ৮১টি ধ্বংস হয়েছে আংশিকভাবে। এর মধ্যে ফিফার অর্থায়নে নির্মিত ১২টি স্টেডিয়ামের সব কটিই ইসরাইলি হামলার শিকার হয়েছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমানে গাজা উপত্যকার ইয়ারমুক ও ফিলিস্তিন স্টেডিয়ামগুলো এখন বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।’