অনলাইন
পটিয়া থানা ঘেরাও করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম
(১৯ ঘন্টা আগে) ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৪৭ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: মানবজমিন
চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীদের ওপর থানার ওসির নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দীপঙ্কর দেকে ধরে পটিয়া থানায় সোপর্দ করতে গেলে ‘গ্রেপ্তারে অস্বীকৃতি’ জানায় পুলিশ। এ সময় ওই থানার ওসি জাহেদ মো. নাজমুন নূর পলাশের আক্রোশের শিকার হতে হয়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। তবে পুলিশ বলছে, থানার ভেতরে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং ধস্তাধস্তির সময় ৩-৪জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পটিয়া থানার সামনে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে পটিয়া থানা ঘোরাও করে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপি’র নেতাকর্মীরা।
একইসঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তারা। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, দুর্ভোগে পড়েছেন এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পটিয়া থানার ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর পলাশের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী, এনসিপি’র মহানগর সংগঠক সাইদুর রহমান, পটিয়া উপজেলা সংগঠনের কর্মী তৌকির ও রাব্বিসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা দীপঙ্কর দেকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে থানায় সোপর্দ করতে গিয়েছিলাম। পুলিশ প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে রাঙ্গামাটি ছাত্রলীগ নেতা পটিয়া স্টেশনে আছেন। খবর পেয়ে আমি পটিয়ায় ঘটনাস্থলে যাই। তাকে ধরে থানায় নিয়ে গেলে আমিসহ আমাদের কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করে। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রিজাউর রহমান বলেন, ‘পটিয়া থানায় লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে সহযোদ্ধাদের ওপর ওসির নির্দেশে হামলার ঘটনায় ওসি জায়েদ নূরকে অপসারণ করতেই হবে। ওসিকে অপসারণ না করা পর্যন্ত পটিয়া থানার সকল কার্যক্রমকে সন্দেহ করুন। আজকের হামলার শিকার শুধু এনসিপি বা বৈষম্যবিরোধীরাই হয়নি ছাত্রদলও হয়েছে।’
তবে পটিয়া থানার ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর পলাশ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা এক ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে আসেন। কিন্তু তারা থানার ভেতরে তাকে (ছাত্রলীগ নেতা) মারধর করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তির সময় ৩-৪জন পুলিশ সদস্য আহত হন।’
পাঠকের মতামত
কক্সবাজার পটিয়া থানার ওসিকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা উচিত
আমি একজন প্রবাসী.আনোয়ারা থানার পুলিশ আমার উপর অনেক অত্যাচার করতেছে .আমাকে অনেক পেসার দিয়েছে টাকা দিবার জন্য. আমি এখন কি করতে পারি.
আনোয়ারা থানায় করতে হবে.কারন পুলিশ অনেক জুলুম করছে
হাছিনার পা চাটা গোলাম এই ওসিকে অনতিবিলম্বে এবং এখনই সরিয়ে দিতে হবে।
কাউকে মারতে হলে যখন পটিয়া স্টেশন থেকে ধরে নিয়ে এসেছে তখনি মারতে পারতো থানায় মারার তো কথা না, পুলিশ এর কথা হাস্যকর