অনলাইন
সহযোগীদের খবর
নির্বাচন নিয়ে নতুন করে সংশয়ে বিএনপি
অনলাইন ডেস্ক
(৫ ঘন্টা আগে) ২৯ জুন ২০২৫, রবিবার, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩২ পূর্বাহ্ন

প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘নির্বাচন নিয়ে নতুন করে সংশয়ে বিএনপি’। খবরে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল লন্ডন বৈঠকের পর সেটা কেটেছে বলে মনে করা হচ্ছিল; কিন্তু দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই নতুন করে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংশয় তৈরি হয়েছে বিএনপিতে। বিশেষ করে ভোটের বিষয়ে সরকারের দিক থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট কোনো বার্তা না দেওয়ায় এ নিয়ে জল্পনাকল্পনা বাড়ছে।
বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, লন্ডন বৈঠকের কোনো প্রতিফলন নির্বাচনের কমিশনের কার্যক্রম তারা দেখছেন না। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচনসহ কিছু বিষয় নতুন করে সামনে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এটাকে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার উপাদান বলে মনে করছে বিএনপি।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তাঁরা দীর্ঘ সময় একান্তে কথা বলেন। বিএনপির নীতি–নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা ধারণা করেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার যমুনায় এই বৈঠকে সিইসিকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরুর কথা বলবেন; কিন্তু সরকারের দিক থেকে এই বৈঠককে শুধু সৌজন্য সাক্ষাৎ বলা হয়েছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনও কোনো বক্তব্য দেয়নি। ফলে বিএনপি মনে করছে, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের বিষয়ে সিইসিকে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি। যার ফলে প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির সাক্ষাতে কী আলাপ হয়েছে, তা পরিষ্কার করার আহ্বান জানায় বিএনপি। এ বিষয়ে গত শুক্রবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যদি উভয় পক্ষ থেকে জাতির সামনে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়, তাহলে আমরা আশ্বস্ত হই।’
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবারের ওই সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংস্কারপ্রক্রিয়া কতটা এগিয়েছে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সিইসির কাছে জানতে চেয়েছেন। তবে কবে নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো আলোচনার কথা জানা যায়নি।
১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সব প্রস্তুতি শেষ করা গেলে ২০২৬ সালে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও (ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে) নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে বলে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। সে ক্ষেত্রে ওই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, তাঁদের কাছে এখন পর্যন্ত সরকারের দিক থেকে লন্ডন বৈঠকের ওই ঘোষণার কোনো প্রতিফলন নেই; বরং রাজনীতিতে নতুন নতুন কিছু ইস্যু তৈরির চেষ্টা হচ্ছে, যা জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার উপাদান বলে মনে করছেন। এর মধ্যে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা এবং আগামী নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (পিআর) পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি জোরদার করা হচ্ছে।
বর্তমান ইসি বাতিলের দাবি এবং রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ ও জাতীয় পাটিকে (জাপা) নিষিদ্ধ করার দাবিও আবার সামনে আনা হতে পারে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।
মৌলিক সংস্কার, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবিতে গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন। এতে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিসের দুই ভাগসহ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষের দলগুলোর নেতারা আমন্ত্রিত হয়ে অংশ নিয়েছেন। তবে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপি তো সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির বিপক্ষে। সে কারণে আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানাইনি।’
যদিও বিএনপি আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন, রাষ্ট্রপতির অপসারণসহ এ সব দাবির সঙ্গে একমত নয়। দলটি মনে করে, এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই। আর আনুপাতিক হারে নির্বাচন একটি জটিল প্রক্রিয়া। এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গতরাতে সালাহউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘যারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং আনুপাতিক হারে নির্বাচনের দাবি করছে, এটা তাদের রাজনৈতিক অবস্থান হতে পারে; কিন্তু সেটা আমাদের সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার কোনো বিষয় নয়। এটা অবিবেচনাপ্রসূত।’ তিনি বলেন, ‘যারা যারা স্থানীয় নির্বাচন ও আনুপাতিক হারে নির্বাচনের মতো এসব দাবি তুলছে, তাদের একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে, হয় নির্বাচন বিলম্বিত করা, অথবা নির্বাচন না হওয়া। এ বিষয়গুলো আমাদের কাছ মনে হয়েছে।’
বিএনপির নীতি–নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়েও একটা জটিলতার আশঙ্কা করছেন। এর মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো মোটামুটি ঐক্যের পথে থাকলেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ‘ঘোষণাপত্র’ নিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলো এখনো একমত হয়নি।
বিএনপির নেতাদের অনেকে মনে করছেন, সরকার জুলাই ঘোষণাপত্র এনসিপি বা তাদের সমমনাদের মতো করে তৈরি করতে পারে। গত ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সুনির্দিষ্ট মতামত দিয়েছে। এর বাইরে সরকার কিছু করলে বিএনপি তাতে একমত হবে না। এমন কিছু হলে এ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে, যা জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে তিনি কোনো সংশয় দেখেন না। তাঁর মতে, ‘বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে চলবে এবং চলতে হবে। এ নিয়ে কারও খেলাধুলা করার সুযোগ নেই। যারা গণতন্ত্রের পথে বাধা দেবে, জাতীয় নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করবে, তারা গণতন্ত্রের শত্রুতে পরিণত হবে।’
সংবিধানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা চলছে। এ পর্বে ছয় দিনের আলোচনায় দেখা গেছে, সাংবিধানিক সংস্কার প্রশ্নে জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ খেলাফত মজলিসের দুই অংশের অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি। এর মধ্যে জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়ত ও খেলাফত মজলিসসহ ২৩টি দল নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন চায়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনেরও পক্ষে দলগুলো। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিতেও এ দলগুলোর অবস্থা কাছাকাছি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এখন দলগুলোর মধ্যে একটি বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতার চেষ্টা চলছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থাকছে না, এমনটা ধরে নিয়ে ডানপন্থী রাজনীতিতে যে নতুন মেরুকরণের চেষ্টা চলছে, তারই অংশ হিসেবে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতার চেষ্টা চলছে। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির মোকাবিলায় আগামী নির্বাচনে একে অন্যকে আসনভিত্তিক ছাড় দেবে, এমন চিন্তা নিয়ে দলগুলোর নেতারা অগ্রসর হচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, যেহেতু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, তাই দলটির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে। এখন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে নেবে কি না, দলটি অংশ না নিলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কি না; এমন কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে। এ ছাড়া বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যদি সরকার গঠন করে তাহলে বিরোধী দল কারা হবে, সেটারও স্পষ্ট আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়গুলোকে ঘিরেই এখনকার রাজনীতি আবর্তিত বলে মনে করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের যদি ভিন্ন চিন্তা থাকে, তাহলে এ বিষয়গুলো অল্প সময়ের মধ্যে মাঠে আসতে পারে। সে লক্ষ্যে একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হতে পারে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও করিডরসহ জাতীয় নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় নিয়েও বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা আছে। যা নির্বাচন বিঘ্নিত করতে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের অনেকের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে আসছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক মহিউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ধরে রাখতে পারি কোনো বড় রকমের দুর্ঘটনা না হলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। যেহেতু এটার কমিটমেন্ট হয়ে গেছে। বড় রকমের দুর্যোগ না হলে আমি এতে সমস্যা দেখি না। সে ক্ষেত্রে দলকে দৃশ্যমান রাখার জন্য এবং সরকারকে চাপে রাখার জন্য বিএনপির নেতারা অনেক কথাই বলবে, এগুলো একধরনের রাজনৈতিক কৌশল।’
যুগান্তর
‘ব্যবসা-বাণিজ্য মহাসংকটে’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচির কারণে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বন্দরে কাঁচামাল খালাস করা যাচ্ছে না। বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে মালামাল নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি বন্দরে ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে চারগুণ। এ অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলেন, দ্রুত সমাধানে আসতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ এনবিআর কর্মকর্তাদের দাবি আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীরা কেন খেসারত দেবেন। তারা বলেন, যুদ্ধাবস্থা ছাড়া পৃথিবীর কোথাও কাস্টমস বন্ধ রেখে এভাবে আন্দোলন করার নজির নেই। কোনো কোনো ব্যবসায়ী নেতা আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কেউ আবার বিষয়টি শুরুতেই শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এনবিআরের চলমান আন্দোলন পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশের (আইসিসি-বি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এবং লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। এছাড়া নিটপণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, সাবেক এফবিসিসিআই সভাপতি মীর নাসির ও মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি কামরান টি. রহমানসহ ব্যবসায়ী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার শিরোনাম ‘৩৪ বছর পর আবারও প্রতীক সংকটে ইসি’। খবরে বলা হয়, ৩৪ বছর পর নির্বাচন কমিশন আবারও প্রতীক সংকটে পড়েছে।
১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে সংকটে পড়ে সংস্থাটি।
সেসময় ১১১টি রাজনৈতিক দল ও জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রতীক বরাদ্দের আবেদন জানালে নির্বাচন কমিশনকে দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১৪০টি প্রতীক বরাদ্দ করতে হয়।
পেঁপে, পেঁয়াজ, মুলা, ফুলকপি, খাট, চেয়ার, শিলপাটা, বালতি-এসবও নির্বাচনী প্রতীকের তালিকায় স্থান পায়। পরে দলের সংখ্যা কমে এলে এবং দল নিবন্ধনের ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর নামসর্বস্ব দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়। সেই সঙ্গে প্রতীকের সংখ্যাও কমে আসে। এবার আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যাও বাড়তে চলেছে। বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০।
সমকাল
‘আন্দোলনে স্থবির এনবিআর আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত’-এটি দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। খবরে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ও চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের অপসারণের দাবিতে সারাদেশে কর্মকর্তা - কর্মচারীরা 'শাটডাউন' এবং রাজধানীতে 'মার্চ টু এনবিআর' কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ রোববারও কর্মসূচি পালন করা হবে। গতকাল শনিবার এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলনের কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে স্থবিরতা দেখা দেয়।
রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি আমদানি - রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়। চলমান পরিস্থিতিতে ১২টি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন উদ্বেগ জানিয়েছে।
তাদের দাবি, আন্দোলনের কারণে শুধু পোশাক খাতেই দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। এদিকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, তাদের শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি রোববারও চলবে।
তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মসূচির বাইরে থাকবে। গত ১২ই মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্বনীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে বিভক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে এনবিআর বিলুপ্তি রোধসহ কয়েকটি দাবিতে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছেন। গত ২৫শে মে অর্থ মন্ত্রণালয় ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে অধ্যাদেশটি সংশোধন করার আশ্বাস দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
নয়া দিগন্ত
‘রাতের ভোটের কর্তাদের পদোন্নতির তোড়জোড়’-এটি দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বিসিএস ৩০ তম প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা রাতের ভোটে দায়িত্ব পালন করে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে প্রাইজ পোস্টিং নিয়ে এবার উপসচিব পদোন্নতির জন্য তোড়জোর চালাচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে কর্মরতদের সাথে নিয়ে দল বেঁধে এসএসবির সদস্যদের ম্যানেজের চেষ্টা করছেন।
বিসিএস ৩০তম প্রশাসন ক্যাডারের ২৭৭ জন কর্মকর্তাকে ২০১২ সালে নিয়োগ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এই কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই রাতের ভোটের কারিগর। ২০১৮ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে রাতেই ভোট সম্পন্ন করেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে এই কর্মকর্তারাই ভোল পাল্টিয়ে নিজেদের এখন বঞ্চিত দাবি করতে শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটিএ খবর প্রকাশ করেছে।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রথম পাতার শিরোনাম ‘আবারো ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার’। প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারিতে ৭৬৪ জনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। গত দেড় দশকে বঞ্চিত আরো সাত শতাধিক কর্মকর্তার পদোন্নতির আবেদন পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিটের রায় বাস্তবায়নে আরো অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির বিষয়ে যাচাই - বাছাই কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বঞ্চিত আরো ৭৭৬ কর্মকর্তার ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সরকার। দুই - একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
হাইকোর্টে রিটের রায় বাস্তবায়নে বিবেচনা করা হচ্ছে আরো ৫১ কর্মকর্তার বিষয়টিও। এ কার্যক্রম অবশ্য চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয়েছে, যা শেষ হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।
আজকের পত্রিকা
‘বাতিল হচ্ছে ৫ হাজার অস্ত্রের লাইসেন্স’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেওয়া পাঁচ হাজারের বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এসব লাইসেন্সের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা - কর্মী ও দলটির সমর্থক ব্যবসায়ীদের নামে। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে জমা পড়া ও জমা না পড়া অস্ত্রের লাইসেন্সের তথ্য যাচাইয়ে এগুলোর কাগজপত্রে অসংগতি পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের সূত্রের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে বলে এ সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। অস্ত্র জমা না দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে। সূত্র বলেছে, সব লাইসেন্স স্থগিত করে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনো সাত হাজারের বেশি লাইসেন্সের অস্ত্র জমা পড়েনি।
বাড়ি বাড়ি গিয়েও পুলিশ এসব লাইসেন্সধারী বা লাইসেন্সের বিপরীতে থাকা অস্ত্র পায়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের অনেকে বিদেশে চলে গেছেন।
দেশ রূপান্তর
দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর ‘জুলাই সনদ ঘোষণায় দোলাচল’। খবরে বলা হয়, রাজনীতিতে জুলাই সনদ এখন গুরুত্বপূর্ণ দাবি হয়ে উঠেছে। জামায়াতসহ ৫ আগস্ট পরবর্তী প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সংগঠনগুলো জুলাই সনদ ঘোষণার জোরালো দাবি তুলেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তাদের সমমনা সংগঠনগুলো এ দাবিতে বেশ সরব। জুলাই সনদের দাবিতে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে তারা।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে। জুলাই স্পিরিটকে ধারণ করে ৩৬ দিনের কর্মসূচিও দিয়েছে জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত সরকার। তবুও জুলাই সনদ ঘোষণা সম্ভব না অসম্ভবের আলোচনা শুরু হয়েছে। জুলাই মাসে ঘোষণা না করার সম্ভাবনার আলোচনাও রয়েছে।
জুলাই সনদ নিয়ে সরকারি একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণার কথা থাকলেও প্রস্তুতিতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। আগামী মাসে ঘোষণা করার মতো চূড়ান্ত হয়নি জুলাই সনদ। তাই জুলাই সনদ ঘোষণার জন্য আরও কিছু সময় নিতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। এই নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার সঙ্গে কথা বলে জুলাই সনদ ঘোষণার সময় আরেকটু বাড়িয়ে নিতে পারে সরকার এ ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।