অনলাইন
বাবার মেয়াদ শেষ হলে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী এরিক ট্রাম্প
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ ঘন্টা আগে) ২৯ জুন ২০২৫, রবিবার, ৪:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:২২ অপরাহ্ন

হোয়াইট হাউসে তার বাবার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হলে তিনি অথবা ট্রাম্প পরিবারের অন্য কেউ প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন এরিক ট্রাম্প। ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সহ-নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট এরিক বলেন, যদি তিনি তার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার রাস্তা সহজ হবে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এরিক বলেন, ‘আমি যদি ঠিক করি রাজনীতিতে আসব, তাহলে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পথটা আমার জন্য কঠিন হবে না। কিন্তু আপনি আপনার পরিবারকে আবার এই যাত্রায় (রাজনীতিতে) নিয়ে যেতে চান কি না, সেটাই হলো প্রশ্ন?’
২০১৭ সালে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পর থেকে ৪১ বছর বয়সী এরিক ট্রাম্পকে রাজনীতির চেয়ে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক রাজনীতিবিদের কাজকর্মে (পারফরম্যান্স) হতাশ। আমি মনে করি, আমি অনেক ভালোভাবে এই কাজ করতে পারি।’
এরিক আরও বলেন, ‘শুধু আমি না, আমাদের পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য এই পদে লড়াইয়ের যোগ্যতা রাখেন।’
ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন মসনদে বসেছেন গত জানুয়ারিতে। নিয়ম অনুযায়ী, এটাই তার শেষবারের জন্য প্রেসিডেন্টের কুরসিতে বসা। কেননা দু’বারের বেশি ওই পদে থাকা যায় না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নটা এখন থেকেই উঠে আসছে ট্রাম্পের পর কে? যদি রিপাবলিকানরাই ফের ক্ষমতায় আসেন তাহলে জেডি ভ্যান্স কিংবা মার্কো রুবিওদের নাম উঠে আসতেই পারে। কিন্তু সেই আসনে নিজেকে দেখতে চাইছেন ট্রাম্পপুত্র এরিক। তার অন্যান্য ভাইবোন, ডনাল্ড জুনিয়র এবং ইভাঙ্কা ট্রাম্পের বিপরীতে, ৪১ বছর বয়সী ট্রাম্প বেশিরভাগ সময় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন, ২০১৭ সালে তার বাবা ওভাল অফিসে যোগদানের পর থেকে পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন। ডনাল্ড জুনিয়র কিংবা ইভাঙ্কা ট্রাম্পের মতো করে নয়, নিজেকে আলোকবৃত্তে না রেখেই চুপিসারে বাবার ব্যবসা দেখে এসেছেন। কিন্তু তার এদিনের মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, তিনি নিঃশব্দে সবদিকেই খেয়াল রেখেছেন। এবং এবার চাইছেন রাজনৈতিক মঞ্চে নেমে পড়তে।
২০২৪ সালে শেষবার ব্যালটে ট্রাম্পের নাম দেখা গিয়েছে কিনা একথা জানালে এরিক অবশ্য বলছেন, ‘সেটা সময় বলবে। তবে আমার চেয়েও যোগ্য মানুষেরা আছেন।’
অর্থাৎ স্রেফ অকারণ স্বপ্ন দেখতে চাইছেন না ট্রাম্পপুত্র। বাস্তবটাকে বিচার করে তবেই তিনি এগোতে চাইবেন মার্কিন মসনদের দিকে। ট্রাম্প পরিবার রাজনীতি থেকে অর্থ উপার্জন করেছে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেন এরিক। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ রাজনীতি থেকে উপকৃত না হয়ে থাকে, সেটা আমাদের পরিবার। আমার বাবা যদি প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতেন, তাহলে আমাদের পরিবারের সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি হতো। কারণ, রাজনীতিতে নামার কারণে আমরা অনেক সুযোগ হারিয়েছি। আইনি সমস্যা মেটাতে অনেক খরচ হয়েছে এবং এই পুরো প্রক্রিয়ায় আমাদের পরিবারের ওপর বড় ধরনের চাপ পড়েছে।’
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান