অনলাইন
‘নেতানিয়াহুকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে’, বললেন সাবেক ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনেট
মানবজমিন ডিজিটাল
(৮ ঘন্টা আগে) ২৯ জুন ২০২৫, রবিবার, ৪:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:২৫ অপরাহ্ন

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর অবিলম্বে তাঁর পদ ছেড়ে দেয়া উচিত । এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন নেতানিয়াহুর পূর্বসূরি নাফতালি বেনেট। তবে নির্বাচনে আবারও অংশ নিয়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো ইচ্ছা তাঁর আছে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি বেনেট। ইসরাইলের চ্যানেল টুয়েলভকে ওই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বেনেট। শনিবার এই সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। বেনেট বলেন, ‘নেতানিয়াহু ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন, এটা খুব বেশি সময়, মোটেই ভালো বিষয় নয়।’ বেনেটের মতে, ইসরাইলি সমাজে যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে, তার বড় দায় নেতানিয়াহুর ওপরই পড়ে। তিনি বলেন, ইসরাইলের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমানভাবে ফাটল বাড়ছে। নেতানিয়াহুর একদিকে যেমন শক্তিশালী সমর্থকগোষ্ঠী আছে, তেমন অনেক কঠোর সমালোচকও আছেন। এই সমালোচকেরা ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ পরিচালনায় নেতানিয়াহুর ভূমিকার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছেন।
২০২১ সালে বেনেট নেতানিয়াহু বিরোধী বিভিন্ন দলের সঙ্গে জোট গড়ে ক্ষমতায় আসেন। এর মধ্য দিয়ে তখন নেতানিয়াহুর টানা ১২ বছরের শাসনের অবসান হয়। তবে বেনেট বর্তমান বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদের সঙ্গে যে জোট সরকার গড়েছিলেন, তা প্রায় এক বছরেই ভেঙে পড়ে। এরপর আগাম নির্বাচন হয়, আর কট্টর ডানপন্থী ও ইহুদি দলগুলোর সমর্থনে নেতানিয়াহু আবারও প্রধানমন্ত্রী হন। রাজনীতি থেকে কিছুটা সময় বিরতি নেওয়া বেনেট আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসার পরিকল্পনা করছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে, জনমত জরিপে দেখা গেছে যে নেতানিয়াহুকে আবার ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তিনি যথেষ্ট সমর্থন পেতে পারেন। তবে ২০২৬ সালের শেষভাগের আগে কোনো নির্বাচন হওয়ার পরিকল্পনা নেই। যদিও ইসরাইলে আগাম নির্বাচন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
শনিবারের সাক্ষাৎকারে, বেনেট বলেন, এই মাসের শুরুতে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ইসরাইলের বোমা হামলার পরিকল্পনার ভিত্তিটা তিনিই তৈরি করে দিয়েছেন। বেনেট আরও বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে এই হামলা দরকার ছিল। বেনেটের দাবি, তাঁর নেতৃত্বাধীন স্বল্পস্থায়ী সরকার আগে থেকেই প্রস্তুতি না নিয়ে রাখলে এ হামলা সম্ভব হতো না। সাক্ষাৎকারে গাজা প্রসঙ্গেও কথা বলেন বেনেট। তাঁর মতে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী এ ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছে। তবে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার অবস্থা বিপর্যয়কর।
সূত্র : আরব নিউজ