অনলাইন
বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী বিমানের সফল ট্রায়াল
মানবজমিন ডিজিটাল
(৮ ঘন্টা আগে) ২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৫:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন
জ্বালানি তেল ভরার ঝঞ্ঝাট শেষ। এবার বিদ্যুতেই আকাশে উড়বে যাত্রীবাহী বিমান! শুনতে অবাক লাগলেও এই অসম্ভবই সম্ভব হল বিমান সংস্থা ‘বেটা টেকনোলজিস’-এর উদ্যোগে। সম্প্রতি এর বৈদ্যুতিক বিমান আলিয়া সিএক্স-৩০০ ট্রায়ালও সম্পন্ন করেছে, যা বিমান চলাচলের ইতিহাসে প্রথম।
ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই মাসের শুরুতে বিমানটি পূর্ব হ্যাম্পটন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে উড়েছিল চারজন যাত্রী নিয়ে। মাত্র ৩০ মিনিটে এটি প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল (১৩০ কিলোমিটার) পথ অতিক্রম করে। একই যাত্রা সম্পন্ন করতে একটি হেলিকপ্টারের জ্বালানি খরচ আনুমানিক ১৬০ ডলার ছিল, যেখানে ফ্লাইটের খরচ ছিল মাত্র ৮ ডলার । এছাড়া শব্দহীন ইঞ্জিন এবং প্রোপেলার না থাকার কারণে যাত্রীরা পুরো সময় নিজেদের মধ্যে স্বচ্ছন্দে কথা বলতে সক্ষম হন।
বিটা টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কাইল ক্লার্ক বলেন, ‘এটি একটি ১০০% বৈদ্যুতিক বিমান যা যাত্রীদের নিয়ে ইস্ট হ্যাম্পটন থেকে জেএফকে উড়েছে, এটি নিউ ইয়র্ক অঞ্চলে এই প্রথম। আমরা ৩৫ মিনিটে ৭০টি নটিক্যাল মাইল ভ্রমণ করেছি। বিমানটিকে চার্জ করে উড়ে যেতে আমাদের প্রায় ৮ ডলার খরচ হয়েছে। অবশ্যই, আপনাকে এর সঙ্গে পাইলট এবং বিমানের খরচ বহন করতে হবে। তবে, মৌলিকভাবে, এটি অনেক কম ব্যয়বহুল।
কোম্পানির মতে, সিএক্স-৩০০ যে ধরনের আরাম প্রদান করে তা যাত্রী এবং ভ্রমণকারীদের কাছে বৈদ্যুতিক বিমান ভ্রমণকে জনপ্রিয় করে তুলতে পারে। ভার্মন্টে অবস্থিত বিটা টেকনোলজিস ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সম্প্রতি তার বৈদ্যুতিক বিমানের নির্মাণ, সার্টিফিকেশন এবং বাণিজ্যিকীকরণ দ্রুত করার জন্য ৩১৮ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে। গত ছয় বছর ধরে কোম্পানিটি বিমানের প্রচলিত টেকঅফ এবং ল্যান্ডিং নিয়ে কাজ করছে। বছরের শেষ নাগাদ এটি ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) সার্টিফিকেশন পাওয়ার লক্ষ্যে রয়েছে। একবার চার্জে ২৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত উড়তে সক্ষম বিটা বিমানগুলো শহর এবং শহরতলির মধ্যে সংক্ষিপ্ত ভ্রমণের জন্য আদর্শ হতে পারে বলে জানাচ্ছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বিটা টেকনোলজিসই একমাত্র কোম্পানি নয় যারা ‘এয়ার ট্যাক্সি’ বিভাগে বিপ্লব আনতে চাইছে। গত মাসে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক ২০২৮ এর পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা কমিটি চার বছর অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টের জন্য আর্চার অ্যাভিয়েশনকে অফিসিয়াল এয়ার ট্যাক্সি প্রদানকারী হিসেবে ঘোষণা করেছে। লস অ্যাঞ্জেলেস ২০২৮ এর অলিম্পিক দর্শকরা শহরের কুখ্যাত যানজট থেকে মুক্তি পেতে এবং স্বচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে সক্ষম হবেন। যদিও আর্চার এভিয়েশন এখনও এফএএ থেকে সার্টিফিকেশন পায়নি, তবুও কোম্পানিটি ২০২৬ সালের মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসে নেটওয়ার্ক কার্যক্রম শুরু করার আশা করছে। সূত্র: এনডিটিভি