অনলাইন
আবারো স্পষ্ট বার্তা বিলাওয়ালের
‘ভারত যদি পানি না দেয়, তাহলে পাকিস্তান যুদ্ধে যাবে’
মানবজমিন ডিজিটাল
(৫ ঘন্টা আগে) ২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

সিন্ধু পানি চুক্তির (আইডব্লিউটি) অধীনে ভারত যদি ইসলামাবাদকে তার ন্যায্য পানির ভাগ থেকে বঞ্চিত করে, তাহলে তার দেশ যুদ্ধে যাবে। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এ কথা বলেছেন।
গত ২২শে এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পরপরই ভারত ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে। গত সপ্তাহে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন, ঐতিহাসিক চুক্তিটি আর কখনও পুনরুদ্ধার করা হবে না। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি শাহের ‘অবজ্ঞার’ সমালোচনা করার দুই দিন পর ভুট্টোর মন্তব্য সামনে এলো।
পার্লামেন্টে এক ভাষণে ভুট্টো চুক্তি স্থগিত করার ভারতের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং পাকিস্তানের ভাগের পানি পাওয়ার হুমকি দেন। তিনি সিন্ধু অববাহিকার ছয়টি নদীর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ভারতের কাছে দু’টি বিকল্প আছে। সেটি হলো, ন্যায্যভাবে পানি ভাগাভাগি করা অথবা আমরা ছয়টি নদীর পানি আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়া।’
তিনি বলেন, ‘আইডব্লিউটি এখনও বিদ্যমান। তাই চুক্তিটি স্থগিত রাখা যাবে না।’ ভুট্টোর কথায়, আইডব্লিউটি শেষ হয়ে গেছে সংক্রান্ত ভারতের দাবি অবৈধ, কারণ আইডব্লিউটি স্থগিত নেই, এটি পাকিস্তান এবং ভারতের জন্য বাধ্যতামূলক। জাতিসংঘের সনদ অনুসারে পানি বন্ধ করার হুমকি অবৈধ।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধান ভুট্টো হুমকিও দিয়েছিলেন যে, যদি ভারত এই হুমকি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে পাকিস্তানকে যুদ্ধ যেতে হবে। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা এবং সহযোগিতার গুরুত্বও তুলে ধরেন। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রচেষ্টায়।
তিনি বলেন, ‘যদি ভারত-পাকিস্তান আলোচনার টেবিলে না বসে তাহলে সহিংসতা আরও তীব্র হবে’। ভারতের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসবাদকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ তোলেন ভুট্টো। তিনি দাবি করেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় দেশগুলোতে তার কূটনৈতিক সফরের সময়, এটা স্পষ্ট যে ভারত ফাইন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) ফ্রন্টে পাকিস্তানের অগ্রগতিকে বাধা দেয়ার জন্য অনেক তদবির করেছে।
বিলাওয়াল ভুট্টো দাবি করেন, যখন পাকিস্তান সফলভাবে এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে সাদা তালিকায় চলে এসেছে, তখন ভারত মিথ্যা বর্ণনা এবং কূটনৈতিক চাপ ব্যবহার করে আমাদের ধূসর তালিকায় ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
বিলাওয়াল আরও বলেন, ‘পাকিস্তান বিশ্ব মঞ্চে কাশ্মীরের বিষয়টি উত্থাপন করতে সফল হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীরের বিষয়ে মধ্যস্থতার পক্ষে কথা বলেছেন।’ সূত্র: দ্য হিন্দু
পাঠকের মতামত
Any other choice?