অনলাইন
তালাকনামায় স্বাক্ষর নেয়ার পরই পুলিশের সোর্সকে হত্যা
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
(১ বছর আগে) ১৮ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:২২ অপরাহ্ন
ঢাকার ধামরাইয়ে আমিরুল ইসলাম (৩০) নামে পুলিশের এক সোর্সের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে ধামরাইয়ের নান্নার ইউনিয়নের কান্দকাউলি গ্রামের সড়কের পাশের ঝোপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, মঙ্গলবার আমিরুল ইসলামকে তার স্ত্রী শিল্পী বেগম সাভার থেকে ডেকে ধামরাইয়ের নান্নার ইউনিয়নের রোহিঙ্গা মার্কেট এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্র্বক তালাক নামায় স্বাক্ষর নেয়। এরপর তার স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে তার লোকজন দিয়ে স্বামীকে হত্যার করে লাশ সড়কের পাশের ঝোঁপে ফেলে পালিয়ে যায়। নিহত আমিরুল ইসলাম সাভারের গেন্ডা টিয়াবাড়ি এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। সে সাভারের ডিবি ও থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো বলে জানা গেছে।
নিহতের মামা হায়দার আলী জানান, আমিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সাভারের ডিবি ও থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছিল। গত কয়েক বছর আগে সাভারে ক্রসফায়ারে নিহত মুন্নাফের স্ত্রী শিল্পী বেগমকে বিয়ে করে আমিরুল ইসলাম। এরপর শিল্পী বেগম ধামরাইয়ের নান্নার ইউনিয়নের রোহিঙ্গা মার্কেট এলাকায় ভাড়া থেকে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। এ মাদক ব্যবসা নিয়ে কিছুদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে আমিরুল ইসলামের ঝগড়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে শিল্পী বেগম তার স্বামী আমিরুল ইসলামকে সাভার থেকে ডেকে ধামরাইয়ের রোহিঙ্গা মার্কেট এলাকায় নিয়ে যায়।
হায়দার আলী আরও জানান, মঙ্গলবার রাত থেকেই আমিরুলের মুঠো ফোনও বন্ধ পাই। গতকাল বুধবার রাতে ধামরাইয়ের কান্দকাউলি গ্রামের সড়কের পাশ থেকে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধারের খবর পাই। এরপর ধামরাই থানায় এসে তার লাশ শনাক্ত করেছি এবং নান্নার এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তালাকনামায় স্বাক্ষর নেওয়া ও মারধরের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ধামরাই থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রাসেল ফকির সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার স্বাক্ষী হিসেবে ভ্যানচালক পুটল মিয়াকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আমিরুল ডিবি ও থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো বলে শুনেছি। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।