অনলাইন
সহযোগীদের খবর
গণঅভ্যুত্থান দিবসে দেশে থাকতে চান তারেক রহমান
অনলাইন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:০০ অপরাহ্ন

দেশ রূপান্তর
‘গণঅভ্যুত্থান দিবসে দেশে থাকতে চান তারেক রহমান’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। দিবসটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হবে। এর আগেই দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশেই দিবসটি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি ও দেশে অবস্থানরত দলটির নেতারা। এদিকে ইতিমধ্যে তার জন্য গুলশান এভিনিউয়ের বাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশে ফিরে তিনি এই বাড়িতেই উঠবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দায়ের করা মামলা। এগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করেছেন আইনজীবীরা। তিনি এখন মুক্ত। তার দেশে ফেরার বিষয়টি আমরা অনুধাবন করছি। এ নিয়ে দলে, দলের বাইরে আলোচনা চলছে। তবে দেশে ফেরার সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজেই নেবেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশে ফেরার পর তারেক রহমান যে বাসায় উঠবেন তা প্রস্তুত বলে জানতে পেরেছি। ধারণা করছি লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যে বৈঠক হয়েছে এবং বৈঠক শেষে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে যে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পরই দিন-তারিখ ঠিক করবেন।’
জানা গেছে, দেশে ফিরতে হলে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের পাসপোর্ট দরকার। পাসপোর্ট না হলে অন্তত ট্রাভেল পাস দরকার। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত তিনি পাসপোর্ট কিংবা ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করেননি। যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতারা দেশ রূপান্তরকে জানান, পাসপোর্ট কিংবা ট্রাভেল পাস সংগ্রহ তেমন জটিল কোনো প্রক্রিয়া নয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে ফেরার দিন-তারিখ চূড়ান্ত করলে এগুলো সংগ্রহ করা একদিনের বিষয়। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষণা এলেই কেবল দিন-তারিখ চূড়ান্ত করবেন তারেক রহমান। সেক্ষেত্রে ৫ আগস্টের আগেই দেশে ফিরতে পারেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন সে বিষয়ে কিছু জানি না। সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ জানানো হয়নি। দিন-তারিখ ঠিক হলে গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
গত ১৯ জুন বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আগামী ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। দিবস উপলক্ষে ৫ আগস্ট ছুটি ঘোষণা করা হবে। এটা এই বছর থেকে প্রতিবছর পালিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘বৈঠকে জুলাই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে কী কী কাজ করতে পারি তার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। ৫ আগস্টকে টার্গেট করে ১ জুলাই থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। মূল ইভেন্ট শুরু হবে জুলাইয়ের ১৪ তারিখ থেকে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে জুলাইয়ে যেভাবে সারা বাংলাদেশ এক হয়েছিল, তার অনুভূতিটাকে আবার ফিরিয়ে আনা। সেটা আমাদের মধ্যে আছে, তারপরও আরও পুনরুজ্জীবিত করা।’
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এম এ মালেক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন। তিনি জুলাই-আগস্টের মধ্যেই দেশে ফিরতে চান। নতুন করে কোনো সংকট তৈরি না হলে দেশে ফিরবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরছেন এমন বার্তাই দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ১০ জুন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন ইঙ্গিত দেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান অবশ্যই দেশে ফিরবেন। তিনি খুব শিগগিরই ফিরছেন।’ তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ তিনিও বলেননি।
বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যের পর গত ১২ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারেক রহমানের ফিরে আসার ক্ষেত্রে কোনো সরকারি বাধা নেই।’
গত ১৩ জুন লন্ডনে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন তারেক রহমান। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। এর পর থেকে তিনি কবে ফিরবেন, সেটি নিয়ে নতুন করে আগ্রহ, কৌতূহল এবং আলোচনা চলছে দেশে। এরই মধ্যে তারেক রহমান ঢাকায় কোথায় থাকবেন, সেই বাড়ির প্রস্তুতির খবরও প্রকাশিত হয়েছে দেশ রূপান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর দ্রুততার সঙ্গে তারেক রহমান প্রায় সব মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলাসহ আরও যেসব মামলায় সাজা হয়েছিল আদালতের রায়ে তার সবগুলো থেকেই তিনি খালাস পেয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে এই মুহূর্তে তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো ধরনের বাধা নেই।
তারেক রহমান দেশে ফিরে রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন। বিচারপতি আবদুস সাত্তার সরকারের সময় দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত বাড়িটি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এত বছর বাড়িটি তার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নামজারি করা ছিল না। অন্তর্র্বর্তী সরকার গত ৪ জুন বাড়িটির নামজারির কাগজ খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দেন। বাড়িটিতে তিন বেড, ড্রয়িং, ডাইনিং, লিভিং রুম, সুইমিং পুলসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এর আগে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোর সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) এ বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ছয় মাস আগে তিনি বাড়িটি ছেড়ে দেন। এরপরই তারেক রহমান থাকার উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাড়িটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
প্রথম আলো
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে আলোচনা’। খবরে বলা হয়, ইরান–ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা টানা আট দিন ধরে চলছে। সংঘাতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্রও। এতে সংকট আরও গভীর হওয়ার শঙ্কা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংঘাত বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এরই অংশ হিসেবে জেনেভায় ইরানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আলোচনা চালিয়ে যেতে একমত হয়েছেন তাঁরা। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
শান্তি ফেরাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যে গতকাল শুক্রবারও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। এদিন ও আগের রাতে ইসরায়েল তেহরানের একটি হাসপাতালসহ শহরটির বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায়। জবাবে ইসরায়েলের বিরসেবা ও হাইফা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গতকাল অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে অংশ নেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ নোয়েল-ব্যারট, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান কাজা কালাস। বৈঠকে ইউরোপীয় দেশগুলোর মন্ত্রীদের মূল লক্ষ্য ছিল ইরানকে পরমাণু আলোচনায় ফেরানো।
যুগান্তর
‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে ঘর গোছাচ্ছে বিএনপি’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এমনটা ধরেই মাঠে নেমেছে বিএনপি। নির্বাচনি নানা কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ঘর গোছাতেও ব্যস্ত সময় পার করছেন দলটির নেতারা। ভোটের তফশিল ঘোষণার আগেই তৃণমূলের যেসব কমিটি ইতোমধ্যেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেখানে নতুন কমিটি দেওয়ার বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। ঢাকা ছাড়া ৯ সাংগঠনিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এ নিয়ে মাঠে কাজ করছেন।
দলটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গণতান্ত্রিক উপায়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে সারা দেশের ইউনিয়ন, পৌর, থানা, উপজেলা, মহানগর ও জেলা কমিটি করা হবে। তবে কমিটি গঠন নিয়ে অন্তর্বিরোধও নতুন করে সামনে আসছে। কয়েকটি উপজেলা কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। আবার কমিটি দিয়ে নানা বিতর্কের মুখে সেই কমিটি বাতিলের ঘটনা আছে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
এদিকে বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন, নির্যাতিত, ক্লিন ইমেজ ও দলের প্রতি আনুগত্য-এমন নেতাকর্মীদের কমিটিতে যথাযথ মূল্যায়ন করার বিষয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশনা রয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েকটি উপজেলা কমিটি গঠনে হাইকমান্ডের নির্দেশনা মানা হয়নি। কাউন্সিল না করেও কমিটি দেওয়া হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগের বিগত সাড়ে ১৫ বছরে যাদের দলের কর্মকাণ্ডে সক্রিয় দেখা যায়নি, হামলা-মামলার শিকার হয়নি তারাও কোনো কোনো কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন। এ নিয়ে দুর্দিনে মাঠে থাকা নেতাকর্মীদের অনেকে হতাশাও প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তুলে ধরেছেন।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘টাকা পাচার চলছেই’। খবরে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর প্রভাবশালীদের অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, দুবাইসহ অনেক দেশে বাড়ি-গাড়ি ও সম্পদ কিনেছেন। সাবেক এমপি-মন্ত্রী, নেতাদের অনেকে দেশের অবৈধ সম্পদ বিক্রি করে তা হুন্ডিতে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। বিদেশি বাংলাদেশি মিশন থেকে সম্পদ বিক্রির জন্য অনেকের ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ নেওয়ার হিড়িক পড়েছে।
সবশেষ তথ্য বলছে, মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ব্যাংকের টাকার পরিমাণ ৩৩ গুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা এক লাফে পৌঁছেছে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁতে, যার বাংলাদেশি মূল্য প্রায় আট হাজার ৯৭২ কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যখন বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে তখন সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানতের উল্লম্ফন খুবই উদ্বেগের।
তাঁদের মতে, দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্ষমতার পালাবদল, বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের সুযোগের ফলে সুইস ব্যাংকগুলোতে টাকা জমা রাখায় আবারও আগ্রহ বেড়েছে।
সমকাল
‘জাতীয় পার্টিতে নেতাদের বিরোধ, ডিগবাজি’-এটি দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনে ৫ আগস্টের পর জাতীয় পার্টি (জাপা) চাপে পড়ায় পূর্ববর্তী ভূমিকার দায় এড়াতে বিরোধে জড়িয়েছেন দলটির নেতারা। তাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ আমলের তিন বিতর্কিত নির্বাচনে এমপি হলেও পরিবর্তিত রাজনীতিতে ‘টিকতে’ দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে সরাতে চাচ্ছেন। ফ্যাসিবাদের দোসর তকমামুক্ত হতে জাপায় নতুন নেতৃত্বের চেষ্টা করছেন তারা। এই তৎপরতায় দলের বাইরের ‘ইন্ধন’ও রয়েছে।
জাপা সূত্র সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছে। দলটির ছয় জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, তারা মনে করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের নেতৃত্বে থাকলে জাপা টিকতে পারবে না। অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের বিরোধিতার কারণে সরকারের বৈঠক এবং সংস্কারে ডাক না পাওয়া জি এম কাদের যেভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে বলছেন, তাতে জাপার বিপদ বাড়ছে। তাই তাঁকে ঝেড়ে ফেলতে ডিগবাজি খেয়ে তৎপর হয়েছেন জাপার আওয়ামী লীগপন্থি হিসেবে পরিচিত নেতারা।
জি এম কাদের ২৮ জুনের সম্মেলন স্থগিত করলেও জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, ওই দিন সম্মেলন হবেই। কাদের না এলে তাঁর অনুপস্থিতিতেই সম্মেলন হবে। নতুন নেতৃত্বও নির্বাচিত হবে সেদিন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কর্মসূচি থাকায় ২৮ জুন চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দলের সম্মেলন করা সম্ভব নয়– কারণ দেখিয়ে ১৭ জুন জি এম কাদের সম্মেলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপিয়েছে ২৮ ছাপাখানা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ২৮টি ছাপাখানা চলতি শিক্ষাবর্ষের ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪২ কপি পাঠ্যবই নিম্নমানের কাগজে ছাপিয়েছে। এসব বইয়ে কাগজের পুরুত্ব (মোটা), ব্রাইটনেস (উজ্জ্বলতা) ও টেকসই ক্ষমতা (বার্স্টিং ফ্যাক্টর) কিছুই ঠিক নেই। সারা দেশের মাঠ পর্যায় থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব টেস্টের পর এমন প্রতিবেদন তৈরি করেছে ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান।
বই ছাপার পর মান যাচাইয়ের জন্য বেসরকারি হাই-টেক সার্ভে অ্যান্ড ইন্সপেকশন সার্ভিস বিডিকে নিয়োগ দেয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি)। গত ১৮ জুন এ বিষয়ে এনসিটিবিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে মান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানটি।
এনসিটিবিতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনের একটি কপি ইত্তেফাকের হাতে এসেছে। নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপিয়ে সরবরাহ করা অভিযুক্ত ২৮ ছাপাখানা হলো—লেটার এন্ড কালার, বর্ণমালা প্রেস, রেদওয়ানিয়া প্রেস এন্ড পাবলিকেশন, ন্যাশনাল প্রিন্টার্স, দোয়েল প্রিন্টার্স, দ্য গুডলাক প্রিন্টার্স, মিলন প্রিন্টিং প্রেস, অনুপম প্রিন্টার্স লিমিটেড, এমএস নাহার প্রিন্টার্স, সুবর্ণা প্রিন্টার্স, শাফিন প্রিন্টিং প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স, অক্সফোর্ড প্রেস এন্ড পাবলিকেশন, আমাজন প্রিন্টিং প্রেস, এরিস্ট্রোক্রেট সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, এমএস টাঙ্গাইল প্রিন্টার্স, পিবিএস প্রিন্টার্স, ভাই ভাই প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স, দিগন্ত অফসেট প্রিন্টার্স, জিতু অফসেট প্রিন্টিং প্রেস, এমএস ঢাকা প্রিন্টার্স, এমএস মিলন প্রিন্টিং প্রেস, এমএস ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেড, নাইমা আর্ট প্রিন্টার্স, ন্যাশনাল প্রিন্টার্স, পাঞ্জেরি প্রিন্টার্স, সরকার অফসেট প্রেস ও আনন্দ প্রিন্টার্স। এর মধ্যে পূর্বে নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপিয়ে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছিল সাত ছাপাখানা।
বণিক বার্তা
‘অভিযোগ তুলে আপসের পথে হাঁটছে অন্তর্বর্তী সরকার’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, কোনো দেশের স্বৈরাচার বা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার যখন জনগণের উপকারের কথা মাথায় না রেখে দুর্নীতি ও লুটপাটের উদ্দেশ্যে বিদেশী ঋণ নেয় তা-ই ‘অডিয়াস ডেট’ বা ‘বিতর্কিত বিদেশী ঋণ’ হিসেবে পরিচিত। এ ঋণ নেয়া হয় স্বৈরাচার বা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের অনিয়ম, দুনীতি ও লুটপাটের স্বার্থে।
‘অডিয়াস বা বিতর্কিত বিদেশী ঋণের’ তাত্ত্বিক ধারণা অনুসারে, কোনো সরকার যদি জনকল্যাণের বাইরে নিজের ক্ষমতা, দমন নীতি, দুর্নীতি ও লুটপাটের উদ্দেশ্যে ঋণ নেয়, তবে তার বোঝা জনগণের ওপর চাপানো ন্যায়সংগত নয়। আন্তর্জাতিক আইন এখনো এ ধরনের ঋণকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে একে ‘অডিয়াস ডেট’ বিবেচনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মওকুফ বা ঋণ পুনর্গঠনের উদাহরণ রয়েছে।
গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। পতিত স্বৈরাচার সরকারের শাসনামলে এমন অনেক মেগা প্রজেক্ট নেয়া হয়েছিল যেগুলো দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষার চেয়ে উল্টো বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাড়িয়েছে। কর্ণফুলী টানেল, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প যার অন্যতম উদাহরণ। ক্ষমতায় আসার পর পর রাশিয়ার ঋণে নেয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বড় প্রকল্পগুলোর ঋণ চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা চলছিল। তবে এতে সংশ্লিষ্ট দাতাদেশ ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের একধরনের টানাপড়েন দেখা দিতে পারে—এমন আশঙ্কা করা হয়। এরপর এসব প্রকল্পে ঋণ চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ মহল অনেকটা নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। বিদেশী ঋণদাতাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতিও নেই।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর ‘ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার বেড়েই চলেছে প্রতিবছর’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ঢাকা শহরের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ায় জাতীয়ভাবেই তা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছরই বাড়ছে রোগী অনুপাতে মৃত্যুহার বা কেস ফ্যাটালিটি রেট (সিএফআর)। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেও রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যুহার তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা মন্তব্য করেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে কোনো দেশে একটি রোগে মৃত্যুর হার না কমলে তা রোগী ও রোগ ব্যবস্থাপনার ঘাটতিকেই নির্দেশ করে।
বাংলাদেশে ডেঙ্গু একসময় দূরের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের রোগ হিসেবেই পরিচিত ছিল। বিক্ষিপ্ত কিছু নমুনার পর আড়াই যুগ আগে, ২০০০ সালে দেশে কিছুটা বড় ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় সচকিত হয় সরকার। সরকারি তথ্য বলছে, সে বছর থেকেই প্রথম ডেঙ্গুর নিয়মিত পরিসংখ্যান রাখতে শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশে রোগতত্ত্বের পর্যালোচনায় গুরুত্ব পেতে থাকে রোগটি। ক্রমে প্রকোপ হ্রাস পেয়ে দেশ কয়েক বছর ডেঙ্গুহীন ছিল। তবে পরে আবার ফিরে আসে। সব মিলিয়ে শুরু থেকে বিগত সিকি শতাব্দী সময়ে ডেঙ্গু ধীরে ধীরে দৃশ্যত দেশের স্বাস্থ্য খাতের স্থায়ী সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
দেশে বিভিন্ন সময় ডেঙ্গু সংক্রমণের মাত্রা ও মৃত্যুর সংখ্যার ওঠানামা হয়েছে। প্রথম দিকে মূলত ঢাকা মহানগরে সীমিত থাকলেও ২০১৯ সালে এসে অন্যান্য শহর এমনকি গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গু। ২০১৯ সালে ১ লাখের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে দেড় শর বেশি মারা যায়।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
‘অনেক বিষয়েই ঐক্য বহুদূর’-এটি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, আট মাসের জার্নি। এখনো চলছে আলোচনা। সামনে আরও আলোচনা করার প্রত্যয়। অঙ্গীকার অনুযায়ী সময় রয়েছে আর মাত্র ৪১ দিন। এর মধ্যে কার্যদিবস রয়েছে আরও কম। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৩০ দিন। এ সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৬৬টি মতামতের ওপর তৈরি করতে চায় জাতীয় সনদ, যা ‘জুলাই সনদ’ হিসেবে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়গুলো থাকবে ওই সনদে। আর স্বাক্ষর নেওয়া হবে সব রাজনৈতিক দলের। কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য নিয়ে।
এ সময়ের মধ্যে সব রাজনৈতিক দল মৌলিক সংস্কার ইস্যুগুলো নিয়ে একমত হতে পারবে কি না? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক দলের নেতারাই। তাঁদের বক্তব্য, একমতের মধ্যেও রয়েছে নানান ধরনের দ্বিমত। কোনো ইস্যুতে কয়েকটি রাজনৈতিক দল একমত হলেও কোনো কোনো দল আবার ভিন্নমত দেখাচ্ছে। আবার কেউ ওই মতের সঙ্গে বাড়তি প্রস্তাব যোগ করছে।
তাই যেসব রাজনৈতিক দল কোনো নির্দিষ্ট ইস্যুতে ভিন্নমত পোষণ করছে, তারা জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বা সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নেয় তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে জাতি। তবে এসব বিষয় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বা সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপের কথা বলা হয়নি। তবে তারা মতের গতিবিধি ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখে পরে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।